আমরা অনেকেই নিজের সীমানা ছাড়িয়ে অন্যের সীমানায় বেড়া ভেঙে ঢুকে পড়ি। যেখানে যতটুকু অধিকার তার থেকে বেশী প্রয়োগ করে ফেলি। ফলাফল যতটুকু সাপোর্ট পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল তা খেকেও বঞ্চিত হতে হয়।
ব্রেক বিহীন গাড়ি চালালে এক্সিডেন্ট হতেই পারে ঠিক তেমনি আপনার অতিরিক্ত কৌতুহল কিছু সময় আপনার জন্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। কিছু মানুষ আছেন যারা তাদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে অন্যের সাথে আলাপচারিতায় যেতে যায় না। আবার কিছু মানুষ আছে যারা নিজ থেকেই আপনার সাথে তাদের ব্যাক্তিগত বিষয় শেয়ার করবে। কেউ আত্ম প্রচারণার প্রলাপ বকতে ভালবাসে আর কেউবা আত্মপ্রচারনা বিমুখ।
কার সাখে কেমন কৌতুহল দেখাবেন এটা তো আপনার একান্ত ব্যাপার। তবে যার সাখে যেভাবে কৌতুহল দেখালে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে না তার সাখে সেভাবেই উপস্থাপন করতে হবে। কেউ আপনাকে কোন একটি বিষয়ে অফার করল অতি লোভনীয়। আপনি না জেনে বুঝে তার লোভনীয় প্রচারনায় কৌতুহলী হয়ে তার সাথে বিনিয়োগ করলেন। কয়েকদিন পর উধাও লোকটি তার সমস্ত অফারের বাক্স বন্ধ করে।
আবার কারও কাছ থেকে বাস্তব সম্মত কোন একটি অফার পেলেন। যা বাস্তবিক অর্থেই আপনার জন্য বিনিয়োগ বান্ধব ছিল। কিন্তু আপনার অতিরিক্ত কৌতুহল দেখে যে অাপনাকে অফার করেছিল সে নিজ থেকেই পলায়ন করতে পারে। কারন সে আপনার অতিরিক্ত কৌতুহল দেখানোর কারন কিসেবে ভাবতে পারে আপনার কোন লুকায়িত গোপন উদ্দেশ্য আছে যা তার জন্য ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়াতে পারে।
মানুষ চিনতে শিখুন। কারন প্রতিটা মানুষের আলাদা বৈশিষ্ট্য, ধ্যান ধারনা আছে। ব্যক্তিগত একান্ত কিছু ব্যাপার আছে। যে জগৎটা তার একান্ত নিজের। ব্যক্তি বিশেষ এখানে কারও কারও ক্ষেত্রে অনধিকার প্রবেশ নিষেধ। আপনাকে চিনতে হবে বুঝতে হবে সে আপনার জন্য কতটুকু সীমানা রেখেছে। কিংবা আপনার সাথে তার সম্পর্ক কোন পর্যায়ে যেখান খেকে আপনার পরামর্শ মতামত প্রকাশ করতে পারেন।
কিছু ব্যাক্তিক বিষয়ে আছে যেগুলো নিয়ে কোন ধরনের কৌতুহল প্রকাশ করাই ঠিক না। এমনকিছু স্পর্শকাতর বিষয় আছে যেগুলো নিয়ে কতুহলী হলে আপনার সাথে চিরশত্রুতা তৈরী হয়ে যেতে পারে। এড়িয়ে চলুন সবসময় এ সকল বিষয়। অতি আবেগে কারও কাছে কোন বিষয় জানতে চাওয়া কিংবা একজনের বিষয়ে কোন কিছু নিয়ে অন্য আরেক জনের কাছে শেয়ার না করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কারন এই বিষয়টা কোন কোন সময় এতটা গ্যাপের সৃষ্টি করে যে তা থেকে সম্পর্ক অবনতির সাথে সাথে বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করে ফেলতে পারে।
জ্ঞানের পরিধি বাড়ান। কোন বিষয়ে তর্ক-বিতর্ক করার প্রয়োজন হলে তা করুন যুক্তি দিয়ে। তবে মুর্খ্য মানুষের সাথে তর্কে জড়াতে যাবেন না। কারন মুর্খ্য মানুষ আপনাকে তার অবস্থানে নামিয়ে এনে জিততে চাইবে। সে ক্ষেত্রে আপনার মান সম্মান রাস্তায় রেখে আসতে হতে পারে। তবে যতক্ষন পর্যন্ত কোন ধরনের বাক-বিতন্ডায় না জড়ানো যায় ততই ভাল।
আপনার চামড়ার ওই মুখে সবমময় হাসি ধরে রাখুন। আর কন্ঠ শক্তিকে সঠিক ভাবে কাজে লাগান। কারন এই আগুনের যতক্ষন পর্যন্ত সঠিক ব্যবহার করতে পারবেন ততক্ষনই সুফল পাবেন। কিন্তু ভুল ব্যবহার আপনার এতটাই ক্ষতি করবে যা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। এই কন্ঠ শক্তির অপব্যবহার আপনার গড়া যা কিছু মুহুর্তেই ছাই করে দিয়ে আপনার নামটি মুছেও ফেলতে পারে এ ধরা থেকে চিরতরে সুতরাং সাবধান।
লেখক:
মাসুদুর রহমান মাসুদ
উদ্যোক্তার খোঁজে ডটকম।