গত সপ্তাহে বেশ কিছু মানুষের সাথে কথা বলেছি। কথা বলেছি তাদের বর্তমান আর ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে। তারা কোথায় যেতে চায় সে লক্ষ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছি।
তেমনি একজন কানিজ ফাতেমা সেতু। বয়স মাত্র আট। তৃতীয় শ্রেনীতে পড়াশুনা করেন তিনি। স্বপন তার বড় হয়ে হবেন নামকরা ডাক্তার। উদ্দেশ্য তার মানুষের সেবা করবেন। আমি তাকে অফার করেছিলাম বড় হয়ে বিমানের পাইলট, কিংবা জাহাজের নাবিক হতে পারেন। হতে পারেন বড় একজন শিল্পপতি। যেখানে অর্থ আর ভোগ বিলাসিতার সুযোগ পাবেন। আপনাকে হাজার নয় কোটি মানুষ চিনবে।
আমার কথাগুলো বেশ ধৈয্য সহকারে শুনছিলেন তিনি। তবে কথা শেষ না হতেই আমার প্রস্তাবে তিনি বাধসাধলেন। আমার অফার তার কাছে নিউটনের আপেল না পড়ে তাল পড়ার মত হালই করল বোধহয়। সে তার লক্ষ থেকে এক চুল পরিমান ছাড়ও দিতে নারাজ। আমি তাকে নানান ভাবে তার লক্ষ থেকে সাময়িক সরিয়ে আনার চেষ্টা করছিলাম।
ডাক্তার হলেও তার চিন্তা কোন একটা জায়গায় ব্যবসায়ের সাথে জড়িত হয়ে আছে। তার স্থির লক্ষের সাথে একটা ছোট্ট স্বপ্ন লুকিয়ে আছে। একটা উন্নতমানের হাসপাতাল করা। যেখানে গরীব লোকেদের জন্য থাকবে উন্নত চিকিৎসার সু-ব্যবস্থা।
আমি তাকে উৎসাহ দিতে হল ভুল করলাম না। আমি তার ওপর বেজায় খুশি হয়েছি সেদিন। তার অটুট লক্ষের বিস্তৃতি আমায় মুগ্ধ করেছে। আর তার সফলতার জন্য আমার শুভকামনা থাকবে সবসময়।
আপনারা যারা আগামী দিনের উদ্যোক্তা হবেন তাদের লক্ষ হতে হবে স্থির। লক্ষে পৌছানোর জন্য পরিকল্পনার পরির্ব্তন হতেই পারে তবে লক্ষ নয়। আপনার স্বপ্ন আপনি ছুয়ে দেখতে চাইলে লক্ষের সাথে নো কম্প্রোমাইজ।
যতবড় কঠিন পরিস্থিতি আসুক না কেন লক্ষ বাস্তবায়নে আপনাকে হতে হবে দৃড় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কৌশুলী হয়ে আপনাকে কাজ করতে হবে। আর ধৈয্য সহকারে লেগে পড়ে থাকতে হবে যতক্ষন না সফলতা আসে।
আরো যাদের সাথে কথা বলেছি তাদের অনেকেই ব্যবসার চিন্তা ভাবনা করছেন। ইতিমধ্যেই কেউ কেউ আবার শুরুও করেছেন। যারা শুরু করেছেন তারা নিশ্চয় এগিয়ে আছেন। কারন যারা পথ দেখায় তারা তো সবসময় এগিয়েই থাকেন। আর সেই পথে আপনি কেন পিছিয়ে থাকবেন।
আপনার লক্ষ স্থির করে পরিকল্পনা গুলো সাজিয়ে নেমে পড়ুন কাজে। ধৈয্য ধরে সাহস আর বুদ্ধি দিয়ে সকল প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে হয়ে উঠুন একজন সফল উদ্যোক্তা।
লেখক:
মোঃ মাসুদুর রহমান মাসুদ
উদ্যোক্তার খোঁজে ডটকম।