সিয়াম সাধনার মাস রমজান। এ মাসে সারাদিন রোজা রাখার পর মনে হয় যেন অনেক কিছু খেয়ে ফেলি। কিন্তু রোজার দিনে খাবারে পরিমিতিবোধ তৈরি করাই উত্তম। সারাদিন রোজা রাখার পর হুট করে অনেককিছু একসঙ্গে খেয়ে ফেলা কিন্তু কখনোই উচিত হবে না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। শরীরের জন্য হয়ে যেতে পারে ক্ষতির কারণ।
মনে রাখতে হবে রোজার মাস সংযমের মাস। তাই খাওয়া থেকে শুরু করে ব্যায়াম, জীবনযাত্রা সবই হতে হবে নিয়ম মতো।
এ সময় শরীরের কথা খেয়াল রেখে খাওয়া পরিমিত করতে হবে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য যাতে ভেঙে না পড়ে তার জন্য খেতে হবে স্বাস্থ্যকর, পুষ্টিকর ও সুষম খাবার। তাহলে জেনে নিন রমজান মাসে ইফতারিতে কেমন খাবার খাওয়া উচিত।
ইফতারির জন্য অনেকেই অনেক ধরনের আয়োজন করে থাকে। তবে ইফতারির সময় প্রথমে সাধারণ পানি (১-২ ঢোক) পান করুন আস্তে আস্তে। তারপর ঘরে বানানো এক গ্লাস শরবত খেলে ভালো হয়। সম্ভব হলে ২-৩টি সাধারণ খেজুর খান। ইফতারিতে ছোলা ভুনা, পেঁয়াজু, বেগুনি, বাইরের ভাজা চপ, হালিম, কাবাব ও বিরিয়ানি এসব খাবার না খাওয়াই ভালো।ইফতারিতে সহজপাচ্য ও ঠাণ্ডা খাবার যেমন দই চিড়া অথবা আখের গুড়ের সঙ্গে চিড়া ভিজিয়ে খেতে পারেন।এরফলে সারাদিন রোজা রাখা নাজুক পাকস্থলী সহজেই খাবার হজম করতে পারবে।
ইফতারিতে খেজুর বা খোরমা অবশ্যই খাবেন। এতে আছে শর্করা, চিনি, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, কপার, সালফার, ম্যাঙ্গানিজ, সিলিকন, ক্লোরিন ফাইবার, যা সারাদিন রোজা রাখার পর খুবই দরকারি। ইফতারিতে কাঁচা ছোলা খাওয়া খুবই ভালো। কাঁচা ছোলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি।এটি দীর্ঘক্ষণ রোজা রাখার ফলে আপনার শরীরের হারিয়ে যাওয়া শক্তি ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করবে।ইফতারির খাদ্য তালিকায় তাজা ফলের পাশাপাশি রাখতে পারেন প্রচুর পরিমাণে সবুজ সবজি।
বেশি দুর্বল লাগলে ডাবের পানি বা স্যালাইন খেতে পারেন ইফতারের পর। ইফতারের পর থেকে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত পানি খাবেন একটু পরপর। রমজান মাসে চা ও কফি কম খাওয়াই ভালো।তা না হলে পানিশূন্যতা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ঘুমের সমস্যা হতে পারে। চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিলে ভালো হয়। এটা খুব তাড়াতাড়ি রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ও ওজন বাড়ায়। তাই যথাসম্ভব চিনি ও চিনিযুক্ত খাবার কম খান।
তথ্যসূত্র: আরটিভি অনলাইন।