1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

এবার বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে কিউবি!

ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান কিউবি বাংলাদেশ থেকে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে। ব্যবসা বন্ধের অংশ হিসেবে কিউবি এখন বাংলালায়নে গ্রাহক স্থানান্তর করছে। ২০০৮ সালে সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত নিলামের মাধ্যমে ২১৫ কোটি টাকায় ব্রডব্যান্ড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস (বিডব্লিউএ) লাইসেন্স পায় কিউবি।

উচ্চমূল্যের লাইসেন্স, প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তন ও গ্রাহক ধরে রাখতে ব্যর্থতার কারণে ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে হুমকির মুখে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি।পরবর্তী সময়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন নিয়ে ২০১৩ সালে এলটিই প্রযুক্তি সেবা চালু করে কিউবি। কিন্তু এলটিইর জন্য বড় ধরনের বিনিয়োগের প্রয়োজন হলেও তার জোগান পায়নি প্রতিষ্ঠানটি।

ফলে প্রতিষ্ঠানটি এখন বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় আছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এরই মধ্যে জনবল কমিয়ে আনার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় গুলশান থেকে মিরপুরে স্থানান্তর করা হয়েছে।

কিউবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফয়সাল হায়দার বলেন, ‘বগুড়া ও নারায়ণগঞ্জে স্বল্প পরিসরে এলটিই সেবা চালু করে হলেও পরিচালন ব্যয়ের তুলনায় গ্রাহকসংখ্যা কম। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এসব গ্রাহককে হস্তান্তরে বাংলালায়নের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। গ্রাহকের অনুমতিসাপেক্ষে বাংলালায়ন তাদের সেবা দেবে।’

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, ‘নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন ছাড়া নিজেদের গ্রাহক অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তরের সুযোগ নেই।’

কিউবির এলটি গ্রাহক গুলশানের বাসিন্দা মাহবুব হোসেন জানান, সম্প্রতি কিউবি থেকে দেওয়া এসএমএসে জানতে পারেন এখন থেকে তিনি বাংলালায়নের গ্রাহক। ওই এসএমএসে তার নতুন বাংলালায়ন অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য দেওয়া হয়। অথচ সংযোগ পরিবর্তনসংক্রান্ত কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি তার কাছ থেকে।

বাংলালায়নের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা জি এম ফারুক খান বলেন, ‘আমরা কিউবির গ্রাহকদের সম্ভাব্য গ্রাহক হিসেবে ধরছি। শুধু তাদের সাহায্য নিয়ে নোটিফিকেশন দিচ্ছি। চেষ্টা করছি আরও ভালো প্যাকেজ দিয়ে তাদের বাংলালায়নের সেবার আওতায় আনতে।’

এদিকে লাইসেন্স ও তরঙ্গ বরাদ্দ ফি এবং আয় ভাগাভাগির অংশ হিসেবে কিউবির কাছে সরকারের পাওনা প্রায় ৩৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা। বিটিআরসি সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালের মাঝামাঝি থেকে ধারাবাহিকভাবে গ্রাহক হারাতে শুরু করে কিউবি। চলতি বছরের মে মাস শেষে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক সংখ্যা ৫০ হাজারের নিচে নেমে এসেছে। তথ্যসূত্র: প্রিয় ডটকম।

More News Of This Category