ব্যবসা পৃথিবীর প্রাচীন পেশা। এই পেশা শুরু হয় ঠিক কোন যুগে তা সঠিকভাবে না জানা গেলেও নব্য প্রস্তর যুগে এসে এর বিশাল বিস্তৃতির কথা জানা যায়। কাঠুরিয়া কাঠ কাটেন আর সেটা বিক্রি করেন। এটাই তার ব্যবসা। আগেকার দিনে এমনই ছিলো, এখন সেই প্রেক্ষাপট বদলে গেছে। ব্যবসা করার জন্য এখন আর সেই প্রস্তুতকারক হতে হয় না। এখন শুধু মাত্র কিনে এনেও বনে যাওয়া যায় বনিক। চাহিদা আছে। গ্রহনযোগ্যতা আছে তবে সমস্যা কি? আপনি হয়ত ভাবছেন এটা আবার কিভাবে?হতে পারেন সফল ব্যবসায়ী শুধু জেনে নিন কিভাবে করবেন এর শুরুটা।
সত্যি কথা বলতে কি প্রাচীন কালের সেই নীতি আজ অচল প্রায়। ব্যবসা এখন অনেক বড় গবেষনা ক্ষেত্র। অনেক কোম্পানী বা ব্যবসায়ী আছেন, শুরু করেছেন যে উৎসাহে শেষ করেছেন কিংবা বন্ধ করেছেন তারচে বেশি হতাশায়। আবার বিপরীত চিত্রটা হাতের কাছেই, সবচে ধনী মানুষেরা ব্যবসা করেই বড় হয়েছেন। তাই একজন স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে ব্যবসা শিখে নেওয়া অনেক বেশি কার্যকারী। আপনাকে জানতে হবে কি করলে আপনি হতে পারেন সফল ব্যবসায়ী।
প্রথাগত ব্যবসা যেমন সুপার সপ কিংবা ছোট খাট দোকান এসব ব্যবসার অংশ হলেও মুলত ব্যবসা হলো কোন কিছু তৈরী করে মানুষের মাঝে তার গ্রহনযোগ্যতা দিন দিন বাড়ানো। উদাহরন দেই কয়েকটা। যেমন- পন্য সামগ্রী- তেল, সাবান, চাল ডাল, মাছ সব্জী। সেবামুলক- হাস্পাতাল, ওষধ, ক্লিনিক , ডাক্তার। ইলেক্ট্রনিক্স- নতুন আবিষ্কার, কল্যানকর যন্ত্রপাতি , সফটওয়্যার। ক্রিয়েটিভ- ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট।
খুবই সিম্পল উদাহরন এগুলো। তবে নিজে থেকেই যখন আপনি বের করে ফেলবেন নতুন কিছু যার চাহিদা বিশ্বব্যপী তখনি আপনি হবেন সফল উদ্যোক্তা। অনেকেই সাপের খামার করে ব্যবসায়ী হতে পেরেছেন। সেই প্রসংগ বাদ দিলাম। আপনি যদি নিজে কিছু করতে চান তা হওয়া উচিত স্বকীয় আর ভিন্ন ধারায়। তো আসুন আমরা জেনে নেই কী কী বিষোয় প্রাকটিস করলেআপনিও হতে পারেন সফল ব্যবসায়ী?
উদ্যোগঃ সফল উদ্দ্যোগ আর সঠিক চিন্তা আপনাকে দিতে পারে সাফল্য। আপনি যখন উদ্যোগ নিতে যাবেন তখন অনেকেই আপনাকে খারাপ বুদ্ধি দিতে পারে আবার অনেকেই ভাল বুদ্ধি দিতে পারে। সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াই হচ্ছে সফল ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য।
যাচাইঃ কি যাচাই করবেন ? খুবই গুরুত্বপুর্ন প্রশ্ন। আপনি কি যাচাই করবেন? কেন করবেন? ব্যবসা কিংবা উদ্যোগ যা-ই করতে যাবেন আপনার উচিৎ হবে অনেক যাচাই বাছাই করা। এই ব্যবসা এর আগে কেউ করেছেন কিনা? করলে তিনি সফল না বিফল, বিফল হলে কেন বিফল আর সফল হলে কিভাবে সফল? এই বিষয় আপনাকে খুব সুন্দর করে গবেষনা করতে হবে। সফল ব্যক্তির কাছে গিয়ে আপনি জেনে নিতে পারেন কিভাবে তিনি সফল হয়েছেন। বাধা বিপত্তি কি কি এসেছিল? ইত্যাদি ।
সিদ্ধান্ত গ্রহনঃ যখন অনুপ্রেনিত হয়ে আপনার মনে হবে এই ব্যবসা আপনি করতে পারবেন তখনি সিদ্ধান্ত নিন। দেরি করে ফেললে দৌড় প্রতিযোগীতার মত পিছিয়ে পড়বেন। সিদ্ধান্ত গ্রহন হচ্ছে এমন এক্ পর্যায় যেখান থেকে আপনি একা , কেউ সহ যোদ্ধা নাও থাকতে পারে। তবে কার্যকরি সিদ্ধান্তের কারনেই ব্যবসায়ের সফলতা আসে। বিল গেটস হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়ন শেষ না করেই ব্যবসায়ের সাথে জড়িত হন। তিনিই হয়েছেন শীর্ষ ধনাড্ড ব্যক্তি। আমি বলছি, আপনিও হতে পারেন সফল ব্যবসায়ী।
পরিচালনাঃ ব্যবসা যা ই হোক, পরিচালনায় আপনি হবেন কঠোর আর নিবেদিত প্রান। সব কিছু সিরিয়াস , কোন ছাড় দেয়া চলবে না। আপনি যদি স্বাভাবিক জীবন না মেনে চলেন তবে ভেঙ্গে যেতে পারে পুরো সিস্টেম। তাই সিস্টেম যেভাবেই গড়বেন তা যেন কখনোই না ভেঙ্গে যায়।
শেষ কথা হল, ব্যবসা করুন তবে তা আপানার উন্নতির জন্য অন্য কারো জন্য নয়। সজাগ থাকুন ফলো করুন সফল ব্যবসায়ীদের।
তথ্যসূত্র: কিভাবে ডট ইনফো।