মানুষের জীবন ও সম্পদ বিভিন্ন অনিশ্চিত ঝুঁকি বা দূর্ঘটনার হাত থেকে আর্থিকভাবে রক্ষার ব্যবস্থাই হল ইন্স্যুরেন্স। ব্যক্তিগত জীবনে, ব্যবসায় ক্ষেত্রে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ও মানুষ সৃষ্ট ঝুঁকি মোকাবেলা বা হ্রাস করার লক্ষ্যে যেকোন ব্যক্তি ইন্স্যুরেন্স পলিসি গ্রহণ করতে পারেন। সাধারণত ব্যবসায়ের ধরন ও প্রতিষ্ঠানের উপর ভিত্তি করে অগ্নি, নৌ, বন্যা, মোটরযান ইত্যাদি দূর্ঘটনার ক্ষতি হ্রাসের জন্য ইন্স্যুরেন্স পলিসি গ্রহণ করা যায়। এছাড়া ব্যক্তিগত ও সামাজিক নিরাপত্তার জন্যও ইন্স্যুরেন্স পলিসি গ্রহণ করা যায়।
ইন্স্যুরেন্স বা বীমা পলিসিতে দুটি পক্ষ থাকে, বীমাকারী ও বীমাগ্রহণকারী। এক্ষেত্রে উভয়পক্ষ একমত হয় যে, ইন্স্যুরেন্স পলিসিতে উল্লিখিত কোন কারণে সংঘটিত ক্ষতি বীমাকারী পূরণ করবে, যার বিপরীতে ইন্স্যুরেন্স পলিসি গ্রহীতা নির্দিষ্ট প্রিমিয়াম প্রদান করবে। ইন্স্যুরেন্স পলিসির প্রিমিয়াম এককালীন বা নির্দিষ্ট সময় অন্তর কিস্তিতে প্রদান করা যেতে পারে।
শিল্প প্রতিষ্ঠানের মেশিন, আসবাবপত্র, কাঁচামাল, উৎপাদিত পণ্য আগুন, বন্যা, চুরি ইত্যাদির ক্ষতিপূরণের জন্য ইন্স্যুরেন্স পলিসি গ্রহণ করা যেতে পারে। এছাড়া কাঁচামাল, উৎপাদিত পণ্য আমদানী বা রপ্তনীর সময় নৌ বীমা পলিসি গ্রহণ করা যেতে পারে। ব্যাংক ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে সহজামানত হিসেবে যদি কোন সম্পত্তি বন্ধক রাখা হয় সেক্ষেত্রে ঐ সম্পত্তির জন্য ইন্স্যুরেন্স পলিসি গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক। এজন্য একজন উদ্যোক্তার ইন্সুরেন্স পলিসি সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অত্যন্ত জরুরী।
আমাদের দেশে নিবন্ধিত সরকারী ও বেসরকারী মিলিয়ে ৪৩টি নন লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী, ১৭টি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী এবং দুইটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী রয়েছে। ইন্স্যুরেন্স পলিসি পরিচালনার জন্য উদ্যোক্তা বা পলিসি গ্রহণকারী পছন্দসই যেকোন কোম্পানীর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর প্রতিনিধিগণ স্বপ্রণোদিতভাবেই বীমা গ্রহণকারীর সাথে যোগাযোগ করে থাকে।
এতে সুবিধা হলো যদি কোন কারনে ব্যবসায় দূর্ঘটনা ঘটে বা যে কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটে তহালে ইন্সুরেন্স কোম্পানী তাকে ক্ষতি পূরণ দিতে বাধ্য থাকবে। এই ক্ষতি পুরণ পেলে ব্যবসায়ী আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারেন। নতুন উদ্যোগে আবার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ব্যবসায় তার দেউলিয়া হওয়ার কোন সম্ভাবা থাকে না।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।