এক কথায় পুষ্টির আধার বলা যায় যে খাবারকে সেটি হলো দুধ। অথচ শরীরের জন্য অতি উপকারী এ খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের কতই না অনীহা। ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের ঘাটতি দূর করতে দুধের সমকক্ষ কিছু নেই, এটা সবারই কমবেশি জানা। অন্যদিকে শরীরের অধিকাংশ সমস্যার সমাধান হিসেবে চিকিৎসকের পরামর্শ থাকে দিনে এক গ্লাস দুধ পান করা।
কিন্তু কী ধরনের উপকারের জন্য কখন দুধ পান করা উচিত, সে বিষয়ে আমাদের খুব একটা ধারণা নেই। জেনে নিন উপকার পেতে কোন সময় দুধ পান করবেন—
সকালের নাশতার টেবিলে প্রোটিনের আধিক্য রাখা চাই। কেননা সারা রাত পেট খালি থাকার পর সকালে নাশতা যেমন ভারী হওয়া প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন প্রোটিন-সমৃদ্ধ হওয়া। সকালের নাশতায় বেশি প্রোটিন পেতে চাইলে নাশতার তালিকায় রাখতে পারেন এক গ্লাস দুধ। ক্যালসিয়াম, প্রোটিনের বাইরেও দুধে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন। নিয়মিত দুধ পান করলে এসব পুষ্টিও গ্রহণ করা সম্ভব হবে।
সকালে দুধ পান না করলে সারা দিনের কর্মব্যস্ততা শেষে ঠিকই টের পাবেন শারীরিক অবসন্নতা। সেক্ষেত্রে দিনভর পরিশ্রমের পর ক্লান্ত লাগলে রাতে দুধ পান করুন। দুধের মধ্যে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড। এটি মস্তিষ্কের সেরোটোনিনের হরমোর নিঃসরণে সাহায্য করে। ফলে শরীর শিথিল থাকবে।
অনেকেই শরীর ফিট রাখার জন্য দৌড়ান কিংবা ব্যায়াম করেন। ব্যায়াম করার জন্য উত্কৃষ্ট সময় যেহেতু সকাল, তাই সকালে ব্যায়াম শেষে এক গ্লাস দুধ পান করতে পারেন। হাড় ও পেশির বৃদ্ধির জন্য ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন প্রয়োজনীয় উপাদান। সেসব উপাদান দুধে ভরপুর।
ঘুমের সমস্যা হলে এবং ভালোভাবে ঘুমাতে চাইলে, রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ পান করুন। এটি ঘুমাতে সাহায্য করবে। ঠাণ্ডা দুধের চেয়ে গরম দুধ পান করাই ভালো। গরম দুধ হজমে সাহায্য করে।