দেশ থেকে চার হাজার কোটি টাকা পাচারের তথ্য পেয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা চার হাজার কোটি টাকা পাচারের তথ্য পেয়েছি। তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। এ বিষয়টি নিয়ে আরও খোঁজখবর নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
বেসরকারি খাতে ১৬.৮ শতাংশ ঋণের প্রবৃদ্ধি রেখে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবীর এ মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন। এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন মুদ্রানীতিতে খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। কারণ, এই বছর জাতীয় নির্বাচনের কারণে কালো টাকার প্রবাহ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বাজারে নগদ অর্থের প্রবাহে লাগাম টানার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল গত অর্থবছরের (জানুয়ারি-জুন) দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে।
এছাড়া ঋণ প্রবৃদ্ধি মাত্রারিক্ত বাড়ার কারণে ঋণের লাগাম টেনেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঋণ আমানত অনুপাত কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে ব্যাংকগুলোর চাওয়া অনুযায়ী নতুন এ হার কার্যকরের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মে শেষে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭.৬০ শতাংশে। আগের মাস এপ্রিল শেষে যা ছিল ১৭.৬৫ শতাংশ। সম্প্রতি বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বেশি ঋণ প্রবৃদ্ধি হয় গত বছরের নভেম্বরে। ওই মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১৯.০৬ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য বাজারে কী পরিমাণ টাকা ছাড়া হবে, তার একটি ধারণা দিতে প্রতি ৬ মাসের আগাম মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত জানুয়ারিতে ঘোষিত মুদ্রানীতিতে এই বছরের জুনে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয় ১৬ দশমিক ৮০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাবে, গত মে পর্যন্ত বেসরকারি খাতে মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৯২ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা। আগের বছরের মে শেষে যা ছিল ৭ লাখ ৫৮ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা। এতে এক বছরে ঋণ বেড়েছে এক লাখ ৩৩ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা বা ১৭ দশমিক ৬০ শতাংশ।
তথ্যসূত্র: বাংলাট্রিবিউন ডটকম।