আজকাল অনলাইন শপিং আর হোম ডেলিভারি সার্ভিসের মাত্রা বেড়ে গেছে। ফলে জেনে বুঝেও ফসকে যায় ‘আয় বুঝে ব্যয়’র চিন্তা। তবে কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে খরচের মাত্রা কমানো সম্ভব। টাকা বাঁচিয়ে চলা যতই অপ্রিয় হোক, মাস শেষে পকেটে বাড়তি কিছু টাকা দেখে মন ভালো হতে বাধ্য। আসুন জেনে নিই অপচয় কমানোর কিছু সহজ উপায়।
বড় কেনাকাটায় সময় নিন
আপনার নতুন আসবাবপত্র দরকার। কিন্তু তার মানে এই নয় আপনার যেদিন নতুন আসবাবের কথা মনে হলো ওইদিনই সেটা কিনে ফেলবেন। কয়েকটা দোকান ঘুরে দেখুন, অনলাইনে খুঁজুন, বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নিন। এতে সময় বেশি লাগবে কিন্তু নিশ্চিতভাবে আপনার খরচ বাঁচাবে।
ফিক্সড ডিপোজিট করুন
কি পরিমাণ অর্থ আপনি রাখছেন সেটা ব্যাপার না, ব্যাপার হলো আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমাচ্ছেন। আপনার প্রয়োজনের সময় এটি অনেক কাজে দেবে।
পুরানো অব্যবহৃত জিনিস বিক্রি করে দিন
পুরানো জিনিস ব্যবহার না করলেও তার মায়া কাটাতে কষ্ট হয় অনেকের। তবে প্রয়োজন না থাকলে এগুলো বিক্রি করে দিন। এত যেমন বাড়তি কিছু পয়সা পাবেন, তেমনি নতুন কোনো শখ পূরণ করতেও আর্থিক সহযোগিতা পাবেন।
সিগারেট ছাড়ুন
স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এই সিগারেটের নেশা। এই নেশা যাদের আছে তাদের জন্য কঠিনতম কাজ এটি ছাড়া। কিন্তু কখনো হিসাব করে দেখেছেন কি শুধু সিগারেটের পেছনে আপনার মাসে কত খানি টাকা চলে যায়?
রেস্টুরেন্টের খাবার রোজ নয়
ভাবলেন কই রোজ খাই রেস্টুরেন্টে? মাস শেষে হিসাব করে দেখুন মাসের কয়দিন রেস্টুরেন্টে খেয়েছেন আপনি। মন চাইলেই রেস্টুরেন্ট বা রাস্তার ধারে খাওয়ার যাওয়ার অভ্যাস যদি থাকে, তাহলে বুঝে নিতে হবে মাসের শেষে পকেট গড়ের মাঠ হওয়ার আসল কারণ কোথায়।
বাজারের সবজি আনুন বাগানে
টমেটো বা কাঁচামরিচ এসব ছোটখাটো সবজি ঘরের উঠানে বা বারান্দাতেই লাগানো যায়। অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি নিজের চাষ করা সবজি খাওয়ার আনন্দের কোনো তুলনা হয় না।
অনলাইন শপিং করুন বুঝেশুনে
অনলাইনে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি শখের ও বিলাসদ্রব্যও পাওয়া যায়। ব্রাউজ করতে করতে চোখের দেখায় তা ভালো লেগে যেতে পারে। কিন্তু তাই বলে সবসময় অর্ডার করতে যাবেন না। কেনার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন- আসলেই কি এটা আমার চাই? বাজেট ও প্রয়োজন মাথায় রেখেই অনলাইনে শপিং করুন।
তথ্যসূত্র: অর্থসূচক।