কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে জামাই আদুরে ধান। স্থানীয় কালো কালো রঙের এ ধানকে অনেকে কালোজিরা আবার কেউ ভোগ ধান নামে চিনে থাকে। তবে এ জাতের ধানকে এখন তেমন আর চোখে পড়ে না। কেউ বলে ভোগ ধান, কেউ বলে কালোজিরা। আবার জামাই আদুরি ধান নামেও বেশ পরিচিতি রয়েছে এ ধানের। আগেকার দিনে অধিকাংশ কৃষক ও গৃহস্থরা এ ধান চাষ করতো। এই ভোগ ধান রয়েছে দুই ধরনের।
একটি সাদা আরেকটি কালো রংয়ের। তবে কালো রংয়ের ধানটাই চাষ হতো অনেক। ধান ক্ষেতের পাশ দিয়ে যেতেই আসতো এ ধানের মনোমুগ্ধকর সুগন্ধি। সুগন্ধি পেলেই মনে হতো এর পায়েশ, পোলাও, বিরিয়ানী এবং পিঠা খাওয়ার কথা। সে সময় কোনো বাড়িতে আত্মীয় কিংবা জামাই আসলেই ভোগ ধানের চালে তৈরি এসব সুস্বাদু খাবার রান্না করে খাওয়াতো শ্বশুর বাড়িতে।
কিন্তু ধীরে ধীরে এ ধানের বিলুপ্তি হওয়ায় এমন মজাদার খাবার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে সবাই। এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না এ ধান। জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে যেমন কমিয়ে যাচ্ছে আবাদী জমি তেমনই এসব ধান চাষেও আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষকরা। এখন নতুন নতুন আবিষ্কৃত স্বল্প মেয়াদী উচ্চ ফলনশীল ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। ফলে ভোগ ধান অথবা জামাই আদুরি ধানের বিলুপ্তি ঘটছে।
রায়গঞ্জ ইউনিয়নের সাপখওয়া এলাকার কৃষক আবুবক্কর সিদ্দিক জানায়, তিনি মাত্র ৫০০ গ্রাম ধানের বীজ দিয়ে বাড়ির পাশেই ৮ শতক জমিতে ভোগ ধানের আবাদ করেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় পরবর্তীতে আরও বেশি করে আবাদের চিন্তা আছে তার। এছাড়াও সাপখাওয়া বাজার এলাকার আব্দুল হাই বাড়ির পাশের ৩০ শতক জমিতে চাষ করেছেন সাদা রঙের ভোগ ধান। তার বাড়িতে বোন, বোন জামাইসহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজন আসায় এসব ধান প্রতিবারই চাষ করেন তিনি।
নাগেশ্বরী উপজেলা কৃষি অফিসার শাহরিয়ার হোসেন জানায়, পিঠা, পায়েশ কিংবা ফিন্নি খেতে শখের বশে কেউ খুবই কম সংখ্যক লোক এ ধানের চাষ করেন। বর্তমানে কৃষকরা হাইব্রিড ও ব্রি ধানসহ অন্যান্য ধানের ফলন বেশি হওয়ায় এবং তুলনামূলকভাবে ভোগ ধানের ও বিক্রি সুবিধা কম হওয়ায় এ ধান চাষে আগ্রহ কমছে কৃষকদের।
ফাইবার সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণে ভরপুর লাল আউশ ও আমন চাউল, পিঠা পায়েশ ও খিচুরীর জন্য সুগন্ধী দূর্লভ রাণী স্যালুট চাউল, পোলাও
কিংবা বিরানির জন্য ছোট দানার সুগন্ধী অরজিনাল চিনিগুড়া ও কালোজিরা চাউল, দূর্লভ প্রজাতির মৌভোগ, সূর্যকণ্যা, কঞ্চিমতি, জামাই আদুরী চাল পাইকারী কিনতে সরাসরি যোগাযোগ করুন ০১৭৩০-৮২৭৮২৯ নাম্বারে।