ফাইভ জি নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা চলছে। এ নেটওয়ার্কে ভিডিও কল কেমন হবে, তা নিয়ে সম্প্রতি পরীক্ষা চালিয়েছে চীনা মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অপো। প্রতিষ্ঠানটির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, থ্রিডি স্ট্রাকচারড লাইট প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বের প্রথম ফাইভজি ভিডিও কল পরীক্ষা করেছে অপো গ্লোবাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট (শেনজেন)।
অপোর দাবি, তাদের এ প্রযুক্তির সফলতা ফাইভজি প্রযুক্তির ব্যবহারিক প্রয়োগ ও ফাইভজি সম্পর্কিত অ্যাপ্লিকেশন তৈরিতে ভূমিকা রাখবে। তাদের এ প্রযুক্তি পরীক্ষায় কোয়ালকম জিপ ও ফাইভজি এনআর টার্মিনাল প্রোটোটাইপ থ্রিডি ক্যামেরা ব্যবহৃত হয়। অপো রিসার্চ ইনস্টিটিউটের হার্ডওয়্যার রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক বাই জিয়ান বলেন, ‘থ্রিডি স্ট্রাকচার লাইট প্রযুক্তি ব্যবহারে ফাইভজি ভিডিও কলের সফলতা এসেছে। এ উদ্ভাবন কাজে লাগানো হবে। শিগগিরই নতুন প্রযুক্তির স্মার্টফোন বাজারে আনবে অপো।
অপো রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মানোন্নয়ন গবেষণা গ্রুপের পরিচালক তাং হাই বলেন, দিন বছর আগে থেকে ফাইভজি নিয়ে কাজ করছে অপো। চলতি বছরের জানুয়ারিতে কোয়ালকমের সঙ্গে ফাইভজি নিয়ে কাজ শুরু হয়। ২০১৯ সালের মধ্য প্রথম ফাইভজি হ্যান্ডসেট আনবে অপো।অপো গ্লোবাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট (শেঞ্জেন) ঘোষণা করেছে যে, কোম্পানিটি থ্রিডি স্ট্রাকচারড লাইট টেকনোলজি ব্যবহৃত বিশ্বের সর্বপ্রথম ফাইভজি ভিডিও কলটি প্রদর্শন করেছে।
থ্রিডি স্ট্রাকচারড লাইট টেকনোলজি ব্যবহৃত এই প্রদর্শনীতে কোয়ালকম টেকনোলজির অপো ফোন এবং ৫জি এনআর টার্মিনাল প্রোটোটাইপের থ্রিডি ক্যামেরার পোর্ট্রেট ইনফরমেশন থেকে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে রিমোট রিসিভারে থ্রিডি ভিডিও চিত্রায়িত করা হয়েছে। এই উদ্ভাবনীয় প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রদর্শনীটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়। এই সফলতা ফাইভজি প্রযুক্তির ব্যবহারিক প্রয়োগ এবং এ যুগের ফাইভজি সম্পর্কিত নতুন অ্যাপ্লিকেশন তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।
অপোর এই থ্রিডি স্ট্রাকচারড লাইটে পরীক্ষামূলক ফাইভজি ভিডিও কলে অপো আর১১ হ্যান্ডসেটটি ব্যবহৃত হয়। এই ফোনে রয়েছে ইন্টিগ্রেটেড স্ট্রাকচারড লাইট ক্যামেরা। এই পরীক্ষামূলক ভিডিও কলে ইন্টিগ্রেটেড স্ট্রাকচারড লাইট ক্যামেরার মাধ্যমে ফোনটি সফলভাবে থ্রিডি লাইট গ্রহণে সক্ষম হয়। ফাইভজি ইন্টারনেট প্রযুক্তির মাধ্যমে রিসিভার প্রান্তে সফলভাবে থ্রিডি অবজেক্ট প্রদর্শিত হয়।
অপো রিসার্চ ইনস্টিটিউটের, হার্ডওয়্যার রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক বাই জিয়ান বলেন, “থ্রিডি স্ট্রাকচার লাইট টেকনোলোজি ব্যাবহারের মধ্যমে ফাইভ-জি ভিডিও কলের সাফল্য, আমাদের উদ্ভাবনী শক্তিকে ব্যাবহারকারীর চাহিদাকে ও কাটিং-এজ টেকনোলোজিকে কেন্দ্র করে পরিচালনা করার দক্ষতাকে প্রদর্শন করে। অপো আনুমানিক ৬ মাসের মধ্যে স্মার্টফোনে এই থ্রিডি স্ট্রাকচার্ড লাইট টেকনোলোজি প্রয়োগকে বাণিজ্যিকীকরণ করবে এবং এই গ্রাউন্ডব্রেকিং টেকনোলোজি ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেবে”।
অপো রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মানোন্নয়ন গবেষণা গ্রুপের পরিচালক, তাং হাই বলেন, “অপো ৩ বছর আগে থেকে ফাইজি সংক্রান্ত গবেষণা এবং বিকাশ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এবং ফাইভজি পন্য উন্নয়নে আন্তর্জাতিক মানোন্নয়নে কার্যকরী ভাবে অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে, আমরা কোয়ালকম টেকনোলোজির সাথে ফাইভজি পাইলট প্রোগ্রামটি ঘোষণা করেছিলাম এবং ২০১৯ সালের মাঝে প্রথম ফাইভজি হ্যান্ডসেট নির্মাতা হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে নিবেদিত হয়েছিলাম”।
উচ্চ গতির (ইএমবিবি), বৃহৎ ধারণ ক্ষমতা (এমএমটিসি), এবং নিম্ন-প্রচ্ছন্নতা (ইউআরএলএলসি) সমন্বিত ৫ জি প্রযুক্তি মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন শিল্পের একটি নতুন সূচনা হিসাবে বিবেচিত হয়। ইএমবিবি এর মানকরণ এবং পরিপক্কতা হিসাবে OPPO অন্যান্য নতুন ধারনা ও সেন্সর প্রযুক্তির।
চেন ইয়ান, অপো রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সফটওয়্যার রিসার্চ গ্রুপের পরিচালক, বলেন যে মোবাইল ইন্টারনেট বাস্তব বিশ্ব এবং ডিজিটাল বিশ্বের মধ্যে সীমানা হ্রাস করছে, যেখানে থ্রিডি কন্টেন্ট ব্যবহারকারীর মুগ্ধকর অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করতে একটি ফ্যাক্টর হবে । ইমেজিং প্রযুক্তি এবং আমাদের ব্যবহারকারীদের চাহিদার মধ্যে একটি অনন্য অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে অপো ভবিষ্যতে উদ্ভাবনী অ্যাপ্লিকেশন প্রদান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। থ্রিডি কাঠামোগত আলো প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের অভূতপূর্ব মোবাইল অভিজ্ঞতা প্রদানের পাশাপাশি নিরাপদ অর্থ প্রদান, থ্রিডি রিকনস্ট্রাকশন, এআর এবং গেমিং প্রভৃতির সম্ভাব্যতা প্রদান করবে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।