প্লাস্টারের জন্য বাংলাদেশের বাজারে বিশেষায়িত সিমেন্ট আনছে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড। বিশেষায়িত এই সিমেন্ট প্রথম পর্যায়ে শুধুমাত্র কার্পোরেটরাই পাবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজেশ সুরানা।রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
লিখিত বক্তব্যে রাজেশ সুরানা বলেন, প্লাস্টারক্রিটের মাধ্যমে প্লাস্টার অনেক বেশি মসৃণ হয়। যা এই কাজটাকে অনেক সহজ করবে। এই পণ্যের ব্যবহারে স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পাবে এবং ক্র্যাক কম হবে। ফলে মেরামতের প্রয়োজন পড়বে না। নতুন এই সিমেন্ট গ্রাহকদের সময় বাঁচাবে, খরচ কমাবে এবং দেশের নির্মাণ খাতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, প্লাস্টারক্রিট ছাড়াও বাজারে আমাদের কোম্পানিটি হোলসিম স্ট্রং স্ট্রাকচার, সুপারক্রিট, হোলসিম গ্রে ও হোলসিম রেড নামে চার ধরনের সিমেন্ট রয়েছে। নির্মাণ খাতে সেরা সল্যুশন আনতে কোম্পানিটি প্রতিনিয়ত গবেষণা এবং পণ্য উন্নয়নের কাজ করে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাজারে প্লাস্টারক্রিটের মতো সিমেন্ট আনতে যাচ্ছি আমরা।
লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ বছরে ৪.২ মিলিয়ন টন বিশ্বমানের সিমেন্ট উৎপাদন করছে জানিয়ে তিনি বলেন, কোম্পানিটি বাংলাদেশে ৫০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার বিনিয়োগ করেছে এবং আরো বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। দেশের নির্মাণ খাতে এটাই সবচেয়ে বৃহৎ বিদেশি বিনিয়োগ। কোম্পানিটির সুনামগঞ্জের ছাতকে অবস্থিত প্ল্যান্টটি দেশের একমাত্র স্বয়ংসম্পূর্ণ সিমেন্ট প্ল্যান্ট। ক্লিংকার উৎপাদনের মাধ্যমে প্রতি বছর ৪০-৫০ মিলিয়ন ইউএস ডলার বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় করে। কোম্পানির প্ল্যান্টগুলো দেশের উত্তর-পশ্চিম, মধ্যাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত হওয়ার কারণে গ্রাহকদেরও সুবিধা হয়েছে।
এই প্রকল্পগুলোর সাথে সরাসরি জড়িত রয়েছে প্রায় তিন হাজার কর্মী। এছাড়া বিশ হাজারের মতো সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে কোম্পানিটির। এর শতকরা ৪১ ভাগ শেয়ারের মালিক বাংলাদেশের প্রায় ৩০ হাজার বিনিয়োগকারী এবং বাকি শেয়ারের মালিকানা রয়েছে সুইজারল্যান্ড এবং ফ্রান্সের লাফার্জহোলসিম গ্রুপ এবং স্পেনের সিমেস্টোস মলিন্সের হাতে।
সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানিটির বাংলাদেশের মার্কেটিং অ্যান্ড কমার্শিয়াল ট্রান্সফরমেশন পরিচালক আরিফ ভূইয়া এবং হেড অব মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি কমিউনিকেশন সৈয়দ নাঈমুল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যসূত্র: আবাসন বার্তা।