ব্যর্থতা জীবনেরই অংশ। ব্যর্থ হবার পরেই আপনি বের করতে পারবেন আপনার ভুলটা কোথায় হচ্ছে এবং আপনি তা শুধরে নিয়ে সাফল্যের পথে অগ্রসর হতে পারবেন। কিন্তু কেউ কেউ ব্যর্থ হবার পর আর খতিয়ে দেখেন না কী কারণ ছিলো ব্যর্থতার পেছনে। কিছু কিছু কারণে আপনার একের পর এক প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে। জেনে নিন এসব অভ্যাসের কথা।
আপনার প্রাত্যহিক কিছু অভ্যাস আছে নিশ্চয়ই। খুব নিরীহ এই অভ্যাসগুলোই কিন্তু আপনার জীবনে অনেক বড়, গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রভাব রাখে। ভালো অভ্যাসগুলো যেমন আমাদের জীবন ভালো করে তোলে, খারাপ অভ্যাসগুলো তেমনি হয়ে ওঠে আমাদের সাফল্য হাতছাড়া হবার কারণ। এমন একটি অভ্যাস যদি আপনারও থাকে, তবে সেটাই হয়ে উঠতে পারে আপনার সাফল্যের অন্তরায়।
ব্যর্থতা জীবনেরই অংশ। ব্যর্থ হবার পরেই আপনি বের করতে পারবেন আপনার ভুলটা কোথায় হচ্ছে এবং আপনি তা শুধরে নিয়ে সাফল্যের পথে অগ্রসর হতে পারবেন। কিন্তু কেউ কেউ ব্যর্থ হবার পর আর খতিয়ে দেখেন না কী কারণ ছিলো ব্যর্থতার পেছনে। কিছু কিছু কারণে আপনার একের পর এক প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে। জেনে নিন এসব অভ্যাসের কথা।
১) পরিকল্পনা না করা: জীবনের পথে সফল হওয়া আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে আপনার যদি একটা পরিকল্পনা থাকে। এই পরিকল্পনা নিশ্ছিদ্র হতে হবে এমন নয়। নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য পরিকল্পনা ঠিক করে রাখুন। এখন কী করছেন, এর পর কী করবেন তা আপনার জানা থাকা দরকার। এসব পরিকল্পনা নির্দিষ্ট, পরিমাপযোগ্য এবং সময়-নির্ধারিত হওয়া বাঞ্ছনীয়।
২) ব্যর্থতার ভয়ে চেষ্টা না করা: আপনি যদি সামনে অগ্রসর হবার জন্য পা ফেলেন, তাহলে হয় আপনি সামনে যাবেন, নয়তো পিছলে পড়বেন। এতে সাফল্য ও ব্যর্থতার সম্ভাবনা থাকবে সমান সমান। কিন্তু আপনি যদি পা আগাতেই ভয় পান, তাহলে আপনার সাফল্যের বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা থাকবে না, ব্যর্থতা হবে সুনিশ্চিত। যতো ব্যর্থতাই আপনার জীবনে আসুক না কেন, সফল হতে চাইলে আপনাকে সাহস করে সামনে আগাতে হবে।
৩) সহজেই হাল ছেড়ে দেওয়া: নিজের স্বপ্ন ছোঁয়ার ইচ্ছে আপনার কতটুকু? লক্ষ্যের পৌঁছানোর জন্য আপনি কী করতে পারেন? আপনার জীবনের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ যে লক্ষ্য, তা সহজে অর্জন করা যাবে এটা ভাবলে অনেক বড় ভুল করা হবে। অনেকেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন, ভাবেন লক্ষ্য পূরণে অনেক দেরি হচ্ছে, হয়তো তিনি অযথাই সময় নষ্ট করছেন। কিন্তু জীবনের স্বপ্ন পূরণে প্রয়োজন অনেক বেশি ধৈর্য এবং অধ্যাবসায়। সহজে হাল ছেড়ে দিলে আপনি সহজেই ব্যর্থ হবেন।
৪) অনাস্থা: নিজের ওপর বিশ্বাস রাখাটা জরুরী। নিজের লক্ষ্যের ওপরেও বিশ্বাস থাকাটা জরুরী। এই বিশ্বাস আপনার কাজের ওপরে বড় একটা ভূমিকা রাখবে। আপনি যদি নিজের ওপর আস্থা রাখতে না পারেন তাহলে কাজে ব্যর্থ হবার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। নিজের ওপর আস্থা রাখুন। যতো প্রতিকূলতাই আসুক না কেন আপনি সব ঠেলে ঠিকই লক্ষ্যে পৌঁছে যাবেন।
৫) অজুহাত: ব্যর্থতার পেছনে সব সময়েই কারণ থাকে। মানুষ ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে তারা অমুক কারণে পিছিয়ে গেছেন, এটা করতে পারেননি, সেটা করতে পারেননি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এগুলো হয় অজুহাত। ব্যর্থতা এড়াতে হলে আপনাকে নিজের জীবনের ওপর পুরো নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। নিজের সিদ্ধান্তের দায়িত্বটাও আপনারই। এভাবে চিন্তা করলে আপনি আর অজুহাত দিয়ে ব্যর্থতার ভার এড়াতে পারবেন না এবং সফল হবার তৃষ্ণা বেশি থাকবে আপনার মনে।
লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে আপনার সামনে বাধা আসবে, আসবে প্রতিকূলতা। এসব বাধা বিপত্তিকে ব্যর্থতা বলে মনে করেন কেউ কেউ। কিন্তু এসবের কারণে হাল ছেড়ে দেবেন না। লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য মনোবল অটুট রাখুন। সাফল্য আপনার হাতেই ধরা দেবে।
তথ্যসূত্র: প্রিয় ডটকম।