প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে ১১০০ বর্গফুটের চেয়ে ছোট ফ্ল্যাটের দামের ওপর আরোপিত মূল্য সংযোজন কর মধ্যবিত্তদের ফ্ল্যাট কিনতে নিরুৎসাহিত করবে। এতে আবাসন ব্যবসাও ধসের মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য আবাসন সংকট কাটাতে বাজেটে আরোপিত কর সংস্কার জরুরি।
বর্তমানে ১ থেকে ১১০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট কিনতে গেলে দেড় শতাংশ মূসক দিতে হয়। তবে আগামী অর্থবছর থেকে একই সাইজের ফ্ল্যাট কিনতে মূসক গুণতে হবে ২ শতাংশ হারে। অর্থাৎ মূসক বাড়ছে দশমিক পাঁচ শতাংশ। এদিকে একই পরিমাণ মূসক কম দিতে হবে যদি কেনা হয়, ১১০১ থেকে ১৬শ’ বর্গফুটের পর্যন্ত কোনো ফ্ল্যাট। অর্থাৎ এক্ষেত্রেও মূসক ২ শতাংশ।
এ খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১১০০ বা তার কম বর্গফুটের ফ্ল্যাট কিনেন মূলত মধ্য আয়ের মানুষ। এরা মোট ক্রেতার প্রায় ৭০ শতাংশ। তাই বাজেটে আরোপিত মূসক বেশ ভোগাবে তাদের। আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের পরিচালক প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন শিকদার বলেন, এক হাজার বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটের দাম যদি ৪ হাজার করে হয়, তবে দাম পড়ে ৪০ লাখ টাকা। খরচ যদি বাড়ে তবে যারা চাকরিজীবী, মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত তারাই কিন্তু ক্ষতিগস্ত হবেন। এতে আবাসন খাত বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
এই ব্যবসায়ী বলেন, ফ্ল্যাট বিক্রি করতে না পারলে আমাদের প্রকল্পগুলো স্লো হয়ে যাবে। যেটা গেলো ৪ বছরে হয়েছে। আমাদের সঙ্গে ২৫০ কোম্পানির সম্পৃক্ততা আছে। এতে করে ব্যবসা কমে যাবে। ফলে এর পুরো নেতিবাচক প্রভাবটা পড়বে দেশের ওপর।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট যেহেতু সংস্কারের সুযোগ আছে, তাই সরকারকে এ ব্যাপারে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কর ব্যবস্থা সংস্কারের পাশাপাশি এক হাজার বর্গফুটের কম ফ্ল্যাটের মূসক পুরোপুরি তুলে নেয়া জরুরি বলে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
তথ্যসূত্র: আরটিভি অনলাইন।