1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

রাশিয়ার সাথে আরও বৃহৎ বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ!

চার বছর আগে রাশিয়ার আর্থিক সহায়তায় বিশ্ব পরমাণু ক্লাবে যুক্ত হয়েছিল বাংলাদেশ। পাবনায় অবস্থিত ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সিংহভাগ অর্থের জোগান দিচ্ছে রাশিয়া। দেশটির সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় বাংলাদেশ। তারই অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ প্রকল্প বাস্তবায়নে রাশিয়ার সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ। দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কেও রাশিয়ার বিনিয়োগ চায় সরকার।

বিনিয়োগ সম্ভাবনা ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে শুরু হচ্ছে তিন দিনের বৈঠক। এ বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন। রাশিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন দেশটির মৎস্য বিভাগের প্রধান ইলিয়াভি চেস্তাকো। বৈঠকটি হবে ভার্চ্যুয়ালি।

রাশিয়ায় পণ্য রপ্তানিতে ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও তা কাজে লাগাতে পারছে না বাংলাদেশ। ছয় বছর থেকে দেশটিতে বাংলাদেশের আলু রপ্তানি বন্ধ। ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব পাওয়ায় ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে আলু আমদানি বন্ধ রেখেছে রাশিয়া। এবারের যৌথ অর্থ ও বাণিজ্য সহযোগিতা কমিশনের বৈঠকে আলুর পাশাপাশি চিংড়ি ও তামাকজাত পণ্য রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চাইবে সরকার।

সরকারের একাধিক নীতিনির্ধারক জানান, এখন বাংলাদেশের ৭৬টি পণ্য রাশিয়ার বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধায় প্রবেশ করছে। এ পণ্যের সংখ্যা খুবই কম। তাই পোশাক খাত, বস্ত্র, কৃষি প্রক্রিয়াজাত, বস্ত্রজাত পণ্য, ওষুধ, সিরামিকজাতীয় পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় রাশিয়ায় রপ্তানির সুযোগ চাইবে বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার সমমূল্যের পণ্য রাশিয়ায় রপ্তানি হয়েছে।

এদিকে অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে রাশিয়ার বিনিয়োগ চায় সরকার। সরকার সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। সেসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারত, চীন, জাপান এরই মধ্যে জমি পেয়ে কাজ শুরু করেছে। এসব দেশের মতো অর্থনৈতিক অঞ্চলে রাশিয়ারও বিনিয়োগ আশা করছে সরকার। সারা দেশে এখন ৩৩টি হাইটেক পার্ক রয়েছে।

সেখানেও রাশিয়ার বিনিয়োগ আশা করছে বাংলাদেশ। তারই অংশ হিসেবে অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে সরকারের পক্ষ থেকে কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, তা আজকের বৈঠকে রাশিয়ার সামনে তুলে ধরা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ইআরডি একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিপুল সম্ভাবনা থাকলেও এ ক্ষেত্রে প্রধান বাধা দুই দেশের মধ্যে ব্যাংকিং লেনদেনের ব্যবস্থা না থাকা।

দুই দেশের মধ্যে ব্যাংকিং লেনদেন চালুর বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পর্যায়ে আলোচনা চলছে। দুই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে শিগগির সোয়াপ চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে। সোয়াপ চুক্তি হলো, দুই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একে অপরের সঙ্গে নির্দিষ্ট মুদ্রার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ লেনদেন করবে। এবারের বৈঠকে সোয়াপ চুক্তি নিয়েও আলোচনার কথা রয়েছে। তথ্যসূত্র: প্রথম আলো।

More News Of This Category