সফলতা আর ইচ্ছাশক্তি যেন একই সুতায় গাথা। ইচ্ছাশক্তি থাকলে জীবনে হেরে যাওয়ার সম্ভবনা কম থাকে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইচ্ছাশক্তি থাকলে নিয়মিত ছোট ছোট অনুশীলনের মাধ্যমে বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা যায়।
মাঝে মাঝে অনেকেই নানা কারণে ইচ্ছাশক্তি হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সৃজনশীলতাকে কাজে লাগালে ঠিকই লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। ইচ্ছাশক্তি বাড়িয়ে নেয়ার বেশ কিছু কৌশল রয়েছে। চাইলে যে কেউ এসব অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেকে ঝালিয়ে নিতে পারেন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুষ্টিকর খাবারের অভাবে শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা কমে গেলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। আর শরীর দুর্বল হয়ে গেলে কাজ করার শক্তি কমে যায়। তাই নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। পুষ্টিকর খাবার খেলে একদিকে যেমন শরীর কাজ করার শক্তি পাবে সেইসঙ্গে কাজের গাতিও বেড়ে যাবে কয়েকগুন।
ইচ্ছাশক্তির পাশাপাশি পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে হবে। কোনো কাজ করার আগে প্রথমে পরিকল্পনা করে নিতে হবে। পরিকল্পনা মতো কাজ করলে যে কোনো কাজ সহজে করা যায় এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় সহজে।
অনেকেই বিভিন্ন কারণে প্রতিনিয়ত কাজের রুটিন পরিবর্তন করেন। কিন্ত রুটিন পরিবর্তন করলেও পরিকল্পনা মাফিক তা করা উচিৎ। যাতে একটি কাজের জন্য অন্যটির ব্যাঘাত না ঘটে।নিয়মমাফিক কাজ করলে সফলতা আসবেই আজ অথবা আগামীকাল।
শত ব্যস্ততার মধ্যেও নিজের জন্য সময় বের করুন।নিজে আনন্দ পান এমন কাজ করুন।নিজের ও নিজের কাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। একাগ্রতা ও ধৈর্য সহকারে কাজ করলে সফলতা আসবে।
কর্মক্ষেত্রে কিংবা ব্যক্তি জীবনে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর উদ্দ্যেশে কঠোর পরিশ্রম করুণ। কাজ করার সময় চিন্তা করুন কাজের মাধ্যমে যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে প্রেরণার উৎস হয়ে থাকা যায়। সবসময় ইতিবাচক চিন্তা করুন। তাহলেও জীবনে সফলতা আসতে বাধ্য।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।