বাড়ি বানানো কিংবা বাড়ি মেরামতের জন্য আমাদের অনেক টাকা লাগে। অধিকাংশ সময় সেই টাকা হাতের নাগালে থাকে না। ধরা যাক একজনের বাড়ী বানানো কিংবা ফ্ল্যাট কেনার জন্য বিশ লক্ষাধিক টাকার দরকার পড়ে গেল। কি করা যায়? এত টাকা কোথায়? সেই মুহুর্তের জন্য কিছু চট জলদি সমাধান হচ্ছে হোম লোন অর্থাৎ ব্যাংক লোন।
বাংলাদেশে হোম লোন পাওয়া ততটা সহজ নয় যতটা অন্যান্য দেশে পেয়ে থাকে। তাই সরকারী ব্যাংকের পাশাপাশি বেসরকারী ব্যাংক বৃদ্ধি পেয়ে এই অবস্থার কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। ব্যাংকিং সেবার উন্নয়ন হচ্ছে। খুব জরুরী না হলে সরকারী ব্যাংকে কেউ আর যাচ্ছে না। বাড়ি সংক্রান্ত লোন এর ক্ষেত্রে তাই বেসরকারি ব্যাংক এগিয়ে আছে নাগরিক সেবায়। এখানে তাই বেসরকারি ব্যাংকে কিভাবে হোম লোন পাওয়া যাবে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করছি।
একেক ব্যাংকের একেক সীমাবদ্ধতা আছে। এর মাঝে একেক জন আবার একেক ধরনের সেবা নিয়ে এগিয়ে এসেছে। কেউ সময় অথবা সুদের হার কমিয়ে বাড়িয়ে মোটামুটি একটি সুন্দর সাধ্যের কাছাকাছি প্যাকেজ ছেড়েছে বাজারে। একে অবশ্য ব্যাংকার ভাষায় প্রোডাক্ট হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। একে একে তাই হোম লোন প্রোডাক্ট নিয়ে আলোচনা শুরু করি।
এইচ এস বি সি ( HSBC )ঃ
লোনের পরিমান BDT 750,000 – BDT 10,000,000
সর্বোচ্চ ৭০% মুল্য রেজিস্ট্রেশন খরচ সহ
রেজিষ্ট্রেশন খরচ সহায়তা
টাইম প্ল্যান ৫বছর থেকে ২৫বছর
বাড়ির বয়স ২৫বছরের বেশি হতে পারবে না।
কারা আবেদন করতে পারবেনঃ
বয়স ২৩ বছর হতে হবে।
প্রফেশনাল এক্সপেরিয়েন্স:
– বেতনভুক্ত: প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীতে ন্যুনতম ২বছের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
– ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান: দুই বছরের প্রমান সহ দক্ষতা থাকতে হবে।
ন্যুনতম মাসিক আয়:
– চাকুরিজীবি ৪০০০০টাকা
– নিজের প্রতিষ্ঠান: ৫০০০০টাকা
দরকারী কাগজপত্রঃ
মর্টগেজ এবং অরিজিনাল নামে ডিট
সম্পত্তির বীমা , প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা অগ্নি কভারেজসহ
সাধারন ক্ষমতা প্রদানের নথি (IGPA)
লোনের জন্য যে কোন ব্রাঞ্ছে অথবা কল সেন্টারে কল করা যেতে পারে। কল সেন্টারঃ 880 2 9660547
তথ্যসুত্র: ইন্টারনেট।