বাংলাদেশের বেসরকারি ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইট যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে। তবে মারাত্মক কোনো সমস্যা না পাওয়ায় কিছু সময় পর মালয়েশিয়াগামী উড়োজাহাজটি ঢাকা ছেড়ে যায়। বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি যতটুকু জানতে পেরেছি, ইউএস-বাংলার বিএস-৩১৫ ফ্লাইটটি মালয়েশিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার ১৫ মিনিট পর আবার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শাহজালাল বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।’ রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘ইউএস-বাংলার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, সমস্যা খুব মারাত্মক নয়।’
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এটিসি কর্মকর্তা ওহিদুল আলম বলেন, ‘ইউএস-বাংলার কুয়ালালামপুরগামী ফ্লাইটটি সকাল নয়টা ৩৩ মিনিটে ঢাকা থেকে রওনা দেয়ার পরে টেকনিক্যাল ত্রুটি দেখা দেয়। পরে ১৫ মিনিট পরে ফিরে আসে।’
এ বিষয়ে ইউএস-বাংলার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ফ্লাইট উড্ডয়নের পরপরই একটু টেকনিক্যাল সমস্যা হয়েছিল। পাইলট যাত্রীদের নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে কোনো ধরনের ঝুঁকি না নিতেই ল্যান্ড করেন।’ তিনি বলেন, ‘উড়োজাহাজটিতে ১৬৪ জন যাত্রী ছিলেন। পরে সমস্যার সমাধান করে সিভিল এভিয়েশনের অনুমতি নিয়ে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফ্লাইটটি আবার রওনা দিয়েছে।’
এদিকে, বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ফ্লাইট সেফটি ডিরেক্টর জিয়াউল ইসলাম বলেন, ‘এটিকে জরুরি অবতরণ বলা যাবে না। ফুয়েল ফিল্টারে ত্রুটি দেখা দেয়ায় ফ্লাইটটি ল্যান্ড করেছিল।’ এর আগে গত ২০ মার্চ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ড্যাশ-৮ মডেলের একটি উড়োজাহাজ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছিল।
এছাড়া গত ১২ মার্চ নেপালে ৬৭ জন যাত্রী ও চার ক্রু নিয়ে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজটি। এতে মারা যান ৫১ জন। বিমানে বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন ৩৬ জন। তাদের মধ্যে ২৬ জনের মৃত্যু হয়।
তথ্যসূত্র: পরিবর্তন ডটকম।