আগামী ৫ বছরে ২৮ হাজার নারী উদ্যোক্তা তৈরি হবে। তারা নিজেরাই নিজেদের কর্মসংস্থানের পথ খুঁজে নিতে পারবেন। একটি সরকারি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। বাসসের খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে নারীর ক্ষমতায়ন। নারীর সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে প্রণয়ন করা হয়েছে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০১১।
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী ২০২০ সালের জুনের মধ্যে আরও ৫৬ হাজার ১০০ নারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে; যাতে তারা বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন সক্ষম হবেন।
সূত্র বলছে, সরকারি চাকরিতে প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সর্বনিন্ম পর্যায় পর্যন্ত নারীর উপস্থিতি বেড়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ৬ মার্চ ২০১৮ তারিখের হালনাগাদকৃত তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে দেশে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে সচিব পদমর্যাদায় ৭৭ জন কর্মরত আছেন। তার মধ্যে ৮ জন নারী। আর অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদায় ৫১৭ জনের মধ্যে ৮৪ জন নারী রয়েছেন। উপসচিব এবং যুগ্ম সচিব পদে এই হার কয়েকগুণ বেশি।
বর্তমানে দেশে পুলিশ বাহিনীর মোট সদস্য সংখ্যা ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৫৩ জন। সেখানে নারী পুলিশের সংখ্যা ১১ হাজার ৭৬৭ জন। নিয়মিত পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি ২০১১ সালে মহিলা পুলিশ ব্যাটালিয়ন গঠন করা হয়।
নারীর উন্নয়নে উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি তাদের কাজের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতেও সহায়ক উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নে ২০১১ সালে জয়িতা ফাউন্ডেশন গড়ে তোলা, মহিলা হোস্টেল নির্মাণ, নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ এবং নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ আইন ২০১৫ প্রণয়ন এই উদ্যোগেরই ধারাবাহিকতা।
পাসপোর্টে মায়ের নাম অন্তর্ভুক্ত করা এবং মুক্তিযুদ্ধের ‘বীরাঙ্গনা’দের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার মধ্যে দিয়ে সমাজে নারীর প্রকৃতি মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আরেকটি ধাপ অতিক্রান্ত হয়েছে।
এছাড়া তৃণমূলের নারীদের জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশব্যাপী ১২ হাজার ৯৫৬টি পল্লি মাতৃ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য , পুষ্টি, মা ও শিশুর যত্নসহ যাবতীয় বিষয়ে উদ্বুদ্ধকরণ ও সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: আরটিভি অনলাইন।