1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

আল্লাহ তাআলা বান্দার যে সব অঙ্গিকার পূরণের ওয়াদা করেছেন

আল্লাহ তাআলা কোরআনের অসংখ্য স্থানে বলেছেন যে তিনি আদৌ অঙ্গীকার ভঙ্গ করেন না। যা অঙ্গীকার করেন, তা অবশ্যই বাস্তবায়ন করেন। সেগুলো হলো— ১. আল্লাহ তাআলার একটি অঙ্গীকার হলো, ‘তোমরা আমাকে ডাকো (আমার কাছে দোয়া করো), আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব (দোয়া কবুল করব)।’ (সুরা : গাফের, আয়াত : ৬০)

উম্মতে মুহাম্মদীর বিশেষ সম্মানের কারণে দোয়া করার আদেশ করা হয়েছে এবং তা কবুল করার ওয়াদা করা হয়েছে। যারা দোয়া করে না, তাদের জন্য শাস্তিবাণী উচ্চারণ করা হয়েছে। কাব আহবার থেকে বর্ণিত আছে, আগের যুগে শুধু নবী-রাসুলদেরই বলা হতো, দোয়া করুন, আমি কবুল করব। কিন্তু এ উম্মতের বেলায় এ আদেশ ব্যাপক করে দেওয়া হয়েছে। এটি উম্মতে মুহাম্মদীর বৈশিষ্ট্য। (ইবনে কাসির)

২. আল্লাহ তাআলার আরেকটি অঙ্গীকার হলো, ‘তোমরা আমাকে স্মরণ করো, আমিও তোমাদের স্মরণে রাখব এবং আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো, অকৃতজ্ঞ হয়ো না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৫২) এ আয়াতের অর্থ হলো, তোমরা যদি আমাকে আমার হুকুমের আনুগত্যের মাধ্যমে স্মরণ করো, তাহলে আমিও তোমাদের সওয়াব ও মাগফিরাত দানের মাধ্যমে স্মরণ করব।

সাঈদ ইবন জুবাইর (রা.) এ আয়াতের তাফসির প্রসঙ্গে বলেছেন, জিকির তথা আল্লাহকে স্মরণ করার অর্থ হলো তাঁর আনুগত্য ও নির্দেশ মান্য করা। যে ব্যক্তি আল্লাহর নির্দেশের আনুগত্য করে না, সে আল্লাহর জিকিরই করে না, প্রকাশ্যে সে যত বেশি নামাজ এবং তাসবিহই পাঠ করুক না কেন।

৩. আল্লাহ তাআলার আরেকটি অঙ্গীকার হলো, ‘স্মরণ করো, তোমাদের পালনকর্তা ঘোষণা করলেন যে যদি তোমরা (নিয়ামতের) কৃতজ্ঞতা স্বীকার করো, তবে তোমাদের (নিয়ামত) আরো বাড়িয়ে দেব।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ৭)

এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলছেন, যদি আমার নিয়ামত আমার অবাধ্যতায় ও অবৈধ কাজে ব্যয় না করো এবং নিজেদের ক্রিয়াকর্মকে আমার মর্জির অনুগামী করার চেষ্ট করো, তাহলে আমি এসব নিয়ামত আরো বাড়িয়ে দেব। এ বাড়ানো নিয়ামতের পরিমাণেও হতে পারে এবং স্থায়িত্বেও হতে পারে। মহানবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের তাওফিক প্রাপ্ত হয়, সে নিয়ামতের বরকতও প্রাপ্ত হয়। (তাফসিরে মাজহারি)

৪. আল্লাহ তাআলার আরেকটি অঙ্গীকার হলো, ‘আল্লাহ এমন নন যে তারা ক্ষমা চাইবে অথচ আল্লাহ তাদের শাস্তি দেবেন।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ৩৩) এ আয়াতে আল্লাহর শান্তি আসার পথে একটি অন্তরায়ের কথা বলা হয়েছে, তা হলো ক্ষমা প্রার্থনাকারী এক দল লোকের উপস্থিতি।

আল্লাহ তাআলা অঙ্গীকার করেছেন যে যদি কোনো এলাকায় মুত্তাকি-পরহেজগার ও ক্ষমা প্রার্থনাকারী এক দল লোক থাকেন, আল্লাহ তাআলা সেখানে শাস্তি দেবেন না। করোনাভাইরাসসহ সব ধরনের মহমারি ও বিপদাপদ থেকে অবশ্যই আল্লাহ তাআলা রক্ষা করবেন, যদি তাঁর কাছে নিজের ভুলের জন্য তওবা করে ক্ষমা চাওয়া হয়। লেখক : প্রধান ফকিহ, আল জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদরাসা, ফেনী তথ্যসূত্র: কালেরকন্ঠ।

More News Of This Category