1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

ব্যবসায় ঋণ নেওয়ার সঠিক সময়!

যদি আপনি কোন উদ্যোগ নেয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন আপনাকে অবশ্যই সঠিক সময়ে ঋণ নিতে হবে। তো ঋণ নেয়ার সঠিক সময় কোনটি ? চলুন খুঁজে বের করি! আপনি কি নয়টা পাঁচটা চাকরি করে ক্লান্ত ? আপনার কি অনবরত মনে হতেই থাকে আপনার অন্য আরো কোন ভাল অবস্থানে যাওয়ার কথা?

বড় কোন কিছু যেটা অনেক আকর্ষণীয়? তাহলে আপনি কিসের জন্য অপেক্ষা করছেন? এখনি সময় আপনার মনের কথা শোনার, বন্ধু! একজন উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন পূরণে আর্থিক প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্যই আমরা এখানে। আমরা শুধু আপনাকে সেরা ঋণের অফার খুঁজে পেতে সাহায্য করি না আমরা আপনাকে ব্যবসার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কেও অবহিত করবো।

সঠিক ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নেয়াও এর মধ্যে অন্যতম। আপনি কি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন? না ? কোন চিন্তা নেই। আমরা আপনাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করবো। ব্যবসাকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সফল করতে চাইলে আপনাকে আপনার সেরা পদক্ষেপ এগিয়ে রাখতে হবে এবং খুব ভাল বিজনেস পরিকল্পনা করতে হবে। এবং এটা বাস্তবায়ন করার জন্য আপনার গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো ভালভাবে জানতে হবে। নিম্নোক্ত পয়েন্ট গুলো মিলিয়ে নিন-

আপনার পণ্য বা সেবা ভাল করে বুঝুন: খেলায় অংশগ্রহনের পূর্বে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে আপনার ব্যবসায় শক্তিশালী এবং দুর্বল দিকগুলো কি।এটা করার জন্য প্রথমেই আপনাকে বুঝতে হবে আপনার ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো কি! আপনার পণ্য বা সেবার ওপর একটি বিস্তারিত SWOT(শক্তি দুর্বলতা ঝুঁকি হুমকি)পরিচালনা করুন।

এটা আপনাকে শুধু ব্যবসার অন্যান্য দিকগুলো সম্পর্কে পরিকল্পনা নিতেই সাহায্য করবে না। আপনাকে খেলার সামনে এগিয়েও রাখবে।ব্যবসায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে সাফল্য আনতে আপনাকে অবশ্যই আপনার প্রতিযোগীর থেকে এক কদম সামনে এগিয়ে থাকতে হবে। এই বিশ্লেষণ আপনাকে আপনার শক্তির চেয়ে দুর্বল দিক সম্পর্কে বেশি পরিষ্কার ধারনা দেবে।

আপনাকে অবশ্যই আপনার দুর্বল দিক সম্পর্কে সম্পূর্ণ সজাগ থাকতে হবে।কেন? কারণ এটা আপনাকে আপনার সক্ষমতা সম্পর্কে ভাবতে সাহায্য করবে যার ফলে আপনি নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন বিশেষ করে যখন আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী আপনার দুর্বল দিক নিয়ে আপনাকে আঘাত করতে চাইবে।

আপনাকে অবশ্যই আপনার পজিটিভ দিকগুলো সম্পর্কেও জানতে হবে।এবং সে অনুযায়ী পা ফেলতে হবে। সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকা সবসময়ের জন্যই ভাল।এটা আপনাকে খারাপ কিছুর ক্ষেত্রে পরিকল্পনা করার ভাল সুযোগ দেবে।

ভোক্তাকে জানুন: একবার আপনি আপনার পণ্য বা সেবার বিভিন্ন দিক নিয়ে বিশ্লেষণ করে ফেলার পরবর্তী কাজ হবে আপনার পণ্য বা সেবার গ্রাহক বা ভোক্তা যারা হবেন তাঁদের ওপর স্টাডি করা।আপনার লক্ষ্য অর্জনে আপনি অবশ্যই অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়বেন না।আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে আপনার পণ্য বা সেবা কোথায় কার কাজে লাগবে আর কোথায় আপনার পণ্য বা সেবার গ্রহনযোগ্যতা নেই। সঠিক গ্রাহক খুঁজুন এবং একটি মার্কেটিং কৌশল সম্পর্কে ভাবুন।

আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীদের অবস্থান সম্পর্কে জানুন: যদি আপনি চান আপনার ব্যবসা কেন্দ্রিক সবকিছু সঠিক পথে চলুক তাহলে অবশ্যই আপনাকে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে হবে।এটা আপনাকে তাঁদেরকে টেক্কা দেয়া এবং তাঁদের চেয়ে ভাল পরিকল্পনা ও ভাল পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা দেবে।

সঠিক মার্কেটিং কৌশল অনুসরণ করুন: আপনার পণ্যটি যত ভালই হোক এটা কোন কাজেই আসবে না যদি আপনি এটার ঠিকমত প্রচার প্রসার না করেন। সঠিক জায়গায় পণ্যের প্রচার প্রসার করা একটি আবশ্যিক বিষয় ব্যবসার।যদি আপনি মার্কেটিং এ অভিজ্ঞ না হন তাহলে অবশ্যই কোন মার্কেটিং বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন।

সম্পদের পরিকল্পনা ভালভাবে করুন: সঠিক ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সম্পদের পরিকল্পনা করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।এর আওতায় পরে জনশক্তি, অফিস স্পেস, অর্থ ইত্যাদি।আপনাকে খুব বেশি চিন্তা করতে হবে না। একটি আর্থিক পরিকল্পনা তৈরি এবং সে অনুযায়ী আপনার অর্থ ব্যয় করা আপনার সম্পদ পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

এভাবেই আপনি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা করতে পারেন।এখন চলুন ব্যবসা শুরু করার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে চিন্তা করি। আপনার ব্যবসার জন্য ঋণ নেয়ার সঠিক সময় কোনটা? আপনি কি কখনো এটা নিয়ে ভেবেছেন? আপনার হঠাৎ করে মাঝপথে ঋণ নেয়ার প্রয়োজন নেই।আর আপনার ইচ্ছা হল বলেই ঋণ নিয়ে নিলেন এটারও কোন মানে নেই। অন্যান্য সবকিছুর মতই ব্যবসার জন্য ঋণ নেয়ার একটি সঠিক সময় রয়েছে। এটা নিয়ে পরবর্তিতে বিস্তারিত বলা হবে।

যখন আপনি ব্যবসা শুরু করছেন: আপনার ব্যবসা শুরু করার আগেই আপনার ঋণের প্রয়োজন হতে পারে। ঋণদাতার কাছে ঋণের আবেদন করার সময় সতর্ক হোন। আপনার একটি বিস্তারিত এবং পরিষ্কার ঋণের আবেদন থাকা জরুরী।শুধুমাত্র একটা অসাধারন ব্যবসায়িক ধারনা এক্ষেত্রে কোন কাজে আসবে না যদি না আপনি আর্থিক দিক থেকে বিস্তারিত বিশ্লেষণ না করেন।

আপনাকে ঋণদাতাকে বোঝাতে হবে কীভাবে আপনার ব্যবসায়িক ধারনা কাজ করবে এবং পুরোপরি কার্যকর হলে লাভবান প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।অন্যান্য খরচ সম্পর্কেও ভাবুন। নিশ্চিত হয়ে নিন সেগুলো যেন খুব বেশি না হয়। অন্যথায় এটি আপনার ব্যবসায়িক মুনাফায় ব্যাঘাত ঘটাবে। এছাড়া ব্যবসার শুরুতেই ঋণ নেয়াটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।কোন কারণ ছাড়াই নিজের বোঝা বাড়াবেন না। দুইবার ভাবুন এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারে স্মার্ট হোন।

যখন আপনি ব্যবসাকে প্রসারিত করছেন: যদি আপনি আপনার ব্যবসাকে প্রসারিত করতে চান সেক্ষেত্রে হয়ত আপনার ঋণের প্রয়োজন হবে। অতিরিক্ত খরচ যেন আপনার ওপর ভারি না হয়ে যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।এছাড়া আপনার জন্য সুখবর হচ্ছে একটা চলমান ব্যবসার জন্য ঋণ নেয়া সহজ কারণ আপনার ব্যবসার মুনাফার বিস্তারিত দলিলাদি আপনার সাথে রয়েছে।

আরো যন্ত্রপাতি ক্রয়ের ক্ষেত্রে: ব্যবসা প্রসারিত করতে গেলে আপনাকে অফিসের জন্য বাড়তি জিনিসপত্র ও কিনতে হবে। অফিসের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য আপনি ঋণ নিতে পারেন।

নতুন উদ্যমে কাজে লেগে থাকা: যদি আপনার ব্যবসা আমার আশানুরুপ না হয় তাহলে হয়তো আপনাকে বাড়তি কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। এগুলো হয়তোবা খুব একটা সস্তা হবে না। আপনি হয়তো আবার ঋণ নিতে চাইবেন।

এগুলো কিছু উদাহরন যেখানে আপনার অর্থের চেয়ে কিছু ঘুমহীন রাত আর কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন হবে। কিছুটা আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন ও থাকবে নিশ্চয়ই তবে এখানে বড় অংকের ঋণ না নেয়াই ভাল। ব্যাক্তিগত ঋণ এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে। তাহলে আর কিসের অপেক্ষা? তথ্যসূত্র: স্মার্ট কম্পেয়ার।

More News Of This Category