1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

কম্পিউটার খাতে সেরা কিছু কাজ যা এনে দিবে লক্ষ লক্ষ টাকা!

কম্পিউটার খাতে ক্যারিয়ার গড়ার অনেক ধরণের সুযোগ রয়েছে। আইওটি, ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ডেটা সায়েন্সের মতো বিষয়গুলোতে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য কম্পিউটার খাত উপযুক্ত। চলুন তাহলে জেনে নিই, এমন কিছু ক্যারিয়ার সম্পর্কে যেগুলোতে কম্পিউটার খাতে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার: একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মূলত যেকোনো কোম্পানির জন্য সফটওয়্যার ডিজাইন, ডেভেলপ ও ম্যানেজমেন্টের কাজ করে থাকেন। একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য আপনাকে যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, প্রোগ্রামিং, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর ব্যাচেলরস ডিগ্রি অথবা মাস্টার্স ডিগ্রি গ্রহণ করতে হবে।

একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে যেসব কাজ করতে হয়, সেগুলো হচ্ছে, ১. বিভিন্ন সিস্টেম, প্রোগ্রাম, হার্ডও্য়্যার এবং নেটওয়ার্কের অ্যাপ তৈরি করা ২. সিস্টেম ও নেটওয়ার্কের অনধিকার প্রবেশ, মডিফিকেশন ও ডেস্ট্রাকশন ফেজ থেকে অ্যাপকে রক্ষা করা। ৩. বিভিন্ন ধরণের সিকিউরিটি অ্যাপ্লিকেশন ও টুলসকে (যেমন, ফায়ারওয়াল, অ্যান্টিভাইরাস, প্যাচ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ইত্যাদি) সাপোর্ট ও কনফিগার করা।

৪. বিভিন্ন সফটওয়্যারের কন্ট্রোল স্ট্রাকচার, রিসোর্স ও এক্সেস প্রিভিলিজেস রক্ষা করা। ৫. সিস্টেম ও অ্যাপের ভালনারেবিলিটি, রিস্ক অ্যানালাইসিস ও সিকিউরিটি অ্যাসেসমেন্ট পরীক্ষা করা। ৬. বিভিন্ন সফটওয়্যার, সিস্টেম ও নেটওয়ার্কের অ্যাবনরমালিটি ও ভায়োলেশনের রিপোর্ট তৈরি করা। ৭. সফটওয়্যারের সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের রুটিন মনিটরিং করা। ৮. বিজনেস কন্টিনিউটি ও ডিজেস্টার। রিকোভারি প্রোটোকল ডেভেলপ ও আপডেট করা।

৯. বিভিন্ন সিকিউরিটি কনফারেন্স ও ট্রেইনিংয়ে সিকিউরিটি প্রোটোকল, প্রসিডিউর ও নিরাপত্তা সচেতনতা সম্পর্কে আলোচনা করা। ১০. অপারেশনাল সিকিউরিটি ও সিকিউরিটি থ্রেডের জন্য সিকিউরিটি অডিট ডিজাইন ও পরিচালনা করা। ১১. বিভিন্ন কম্পিউটার সিকিউরিটি অ্যাটাকের জন্য প্রস্তুত থাকা ও অ্যাটাকের পোস্ট অ্যানালাইসিস করা। ১২. সিকিউরিটি আপগ্রেড সম্পর্কে রিসার্চ করা। ১৩. বিভিন্ন সিস্টেম স্পেশালাইজড সিকিউরিটি সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ডেভেলপ করা।

ওয়েবসাইট ডেভেলপার: একজন ওয়েবসাইট ডেভেলপার মূলত যেকোনো কোম্পানির জন্য ওয়েবসাইটের ইন্টারফস, ডিজাইন, ডেভেলপ, মনিটরিং এবং ম্যানেজমেন্টের কাজ করে থাকেন। একজন ওয়েবসাইট ডেভেলপার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য আপনাকে যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, প্রোগ্রামিং, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর ব্যাচেলরস ডিগ্রি অথবা মাস্টার্স ডিগ্রি গ্রহণ করতে হবে।

একজন ওয়েবসাইট ডেভেলপার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে, আপনাকে যে সকল বিষয়ে পারদর্শী হতে হবে তা হচ্ছে, ১. টেকনিক্যাল ও নন-টেকনিক্যাল বিষয় সম্পর্কে অভিজ্ঞ হতে হবে। ২. আইটির উপর বেশ ভালো দক্ষতা থাকতে হবে। ৩. মাইক্রোসফট অফিসসহ অন্যান্য অফিস অ্যাপ্লিকেশনের উপর যথেষ্ট অভিজ্ঞ হতে হবে।

৪. বিভিন্ন ধরণের সফটওয়্যার ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ্লিকেশন ও হার্ডওয়্যারের উপর দক্ষ হতে হবে। ৫. কম্পিউটার ও আইটি ইথিকসের উপর পারদর্শী হতে হবে। ৬. ক্রিয়েটিভ থিংকিং করার দক্ষতা থাকতে থাকবে। ৭. নিত্যনতুন টেকনোলজির সাথে আপডেটেড থাকতে হবে। ৮. যেকোনো প্রোগ্রামিং ভাষার সাথে সম্পৃক্ত অ্যালগরিদম ও ফ্লো চার্ট সম্পর্কে জানতে হবে। ৯. কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের এম্বেডেড সিস্টেমস সম্পর্কে অভিজ্ঞ হতে হবে।

১০. ডিএলপি, অ্যান্টিভাইরাস ও অ্যান্টি ম্যালওয়্যারের উপর দক্ষ হতে হবে। ১১. ফায়ারওয়াল, ইনট্রুশাল ডিটেকশন সিস্টেম ও প্রিভেন্টিং প্রোটোকল সম্পর্কে জানতে হবে। ১২. সিকিউর কোডিং, ইথিক্যাল হ্যাকিং ও থ্রেট মডেলিং সম্পর্কে সম্পূর্নভাবে দক্ষ হতে হবে। ১৩. উইন্ডোজ, ইউনিক্স, লিনাক্স (বিভিন্ন ডিস্ট্রো) এবং ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমের উপর গভীর দক্ষতা থাকতে হবে। ১৪. পিএইচপি, পাইথন, জাভাস্ক্রিপ্ট, ওয়েব প্রোগ্রামিং ভাষা (যেমন, এইচটিএমএল, সিএসএস ইত্যাদি), স্ক্রিপ্টিং ভাষা ও শেল প্রোগ্রামিং ভাষায় গভীর দক্ষতা থাকতে হবে।

সিনিয়র ডেটা সায়েন্টিস্ট: কম্পিউটার খাতে একজন সিনিয়র ডেটা সায়েন্টিস্ট মূলত অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিভাগে কাজ করে থাকেন। একজন সিনিয়র ডেটা সায়েন্টিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে আপনার যে সকল দক্ষতা থাকতে হবে সেগুলো হচ্ছে, ১. কম্পিউটার সায়েন্স, স্ট্যাটিস্টিকস, ইনফরমেশন সায়েন্স, গণিত, অর্থনীতি অথবা অপারেশন রিসার্চের উপর কমপক্ষে ২ বছরের অনার্স অথবা মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হবে।

২. মেশিন লার্নিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও এনএলপির উপর দক্ষতা থাকতে হবে। ৩. ডেটা ড্রাইভেন স্ট্যাটিস্টিক্যাল অ্যানালাইসিস ও মডেলিংয়ের উপর গভীর জ্ঞান থাকতে হবে। ৪. পাইথন, আর, সি প্লাস প্লাস, স্ক্যালা এবং মেশিন লার্নিং ভাষার উপর দক্ষ হতে হবে। ৫. টেনসর ফ্লো, কেরাস, ক্যাফে, ম্যাক্স নেট, স্পার্ক এবং হ্যাডপ ফ্রেমওয়ার্কের উপর কমপক্ষে ৩ থেকে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ৬. কাস্টম অ্যালগরিদম ও এনভায়রনমেন্টের উপর কমপক্ষে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

ইউনিক্স এন্ড সি প্লাস প্লাস ডেভেলপার: কম্পিউটার খাতে একজন ইউনিক্স এন্ড সি প্লাস প্লাস ডেভেলপার মূলত ব্যাংকের অ্যাপ্লিকেশন ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট বিভাগে কাজ করে থাকেন। একজন ইউনিক্স এন্ড সি প্লাস প্লাস ডেভেলপার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে আপনার যে সকল দক্ষতা থাকতে হবে সেগুলো হচ্ছে, ১. সি প্লাস প্লাস ও মডার্ন সি প্লাস প্লাসের উপর কমপক্ষে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

২. সার্ভার সাইড অ্যাপ্লিকেশনের মডেল ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টের উপর যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে। ৩. ডিস্ট্রিবিউটেড সিস্টেম ডিজাইন, নেটওয়ার্ক প্রটোকল ও মেসেজিং ফ্রেমওয়ার্কের উপর গভীর জ্ঞান থাকতে হবে। ৪. লো লেটেন্সি সার্ভার আর্কিটেকচারের উপর দক্ষ হতে হবে। ৫. ডিবাগিং টেকনিক ও কোড টার্গেটিং সম্পর্কে জানতে হবে। ৬. জিসিসি, জিডিবি, এমএসভিসি এবং এসভিএনের উপর দক্ষ হতে হবে। ৭. পাইথন, পার্ল ও শেল স্ক্রিপ্টিং ভাষার উপর কমপক্ষে ৩ থেকে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

জাভা হেজ ফান্ড ডেভেলপার: কম্পিউটার খাতে একজন জাভা হেজ ফান্ড ডেভেলপার মূলত হেজ ফান্ড ও ট্রেডিংয়ের উপর বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকেন। একজন জাভা হেজ ফান্ড ডেভেলপার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে আপনার যে সকল দক্ষতা থাকতে হবে সেগুলো হচ্ছে, ১. জাভা প্রোগ্রামিং ভাষার উপর কমপক্ষে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা। ২. জাভা ও সি প্লাস প্লাস এবং মাল্টি থ্রেডেড প্রোগ্রামিংয়ের উপর যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে।

৩. ফিক্স ও অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। ৪. মার্কেট ডেটা এপিআই, ব্লুমবার্গ ও রিউটারসের উপর দক্ষ হতে হবে। ৫. মেসেজিং ফ্রেমওয়ার্ক, জিরো এমকিউ, একটিভ এমকিউ, জিআরপিসির উপর দক্ষ হতে হবে। ৬. ডিজাইন প্যাটার্ন ও ইঞ্জেকশন ফ্রেমওয়ার্কের উপর কমপক্ষে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ৭. ইউনিট টেস্টিং, জিআইটি ও কম্পিউটার অ্যালগরিদমের উপর দক্ষতা থাকতে হবে। তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

More News Of This Category