লেস ক্যাশের তাড়নায় বাজারের হাল বেহাল। পকেটের অবস্থাও এমন কিছু ভালো নয়। কিন্তু মনটা বড় বেয়াদপ। ট্যাঁকে যখন টাকা কম থাকে, তখনই যেন কেনাকাটা করতে বেশি ইচ্ছে করে। বেয়াদপ এই মনের খাতিরেই রইল শহরের সস্তা শপিংয়ের এই সেরা সাত ঠিকানা।
নিউমার্কেট: জীবনে একবার নিউমার্কেট দর্শন করেননি, এমন বাঙালি পাওয়া বড় দুষ্কর। রাজ্যের সবচেয়ে পুরনো মার্কেট আজও জীবন্ত এর বিকিকিনির জোরে। হগ মার্কেট, শ্রীরাম আর্কেড থেকে ট্রেজার আইল্যান্ড কিংবা মাটির নিচে সিমপার্ক মল সব জায়গায় ব্যবসায়ীরা বসে থাকেন পসরা সাজিয়ে৷ শুধু দর কষাকষিটা করতে জানতে হবে৷
বড়বাজার: তর্কাতীতভাবে ভারতের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার। কথায় বলে, বাঘের দুধ চাইলেও নাকি বড়বাজারে পাওয়া যায়। তবে এখানে বাজার করতে গেলে আপনাকে একটু গলি তস্য গলি হেঁটে চলে দেখে-বেছে নিতে হবে।
গড়িয়াহাট: গড়িয়াহাট ব্রিজের এই নিচের এলাকা সারা বছরই ব্যস্ত থাকে। হকারদের চিল চিৎকারে গোটা দিন কান পাতা দায় হয়ে দাঁড়ায়। তবে একটু মন দিয়ে শুনলে আপনার কাজের জিনিসটা অনেক সস্তায় পেয়ে যেতে পারেন।
বি কে মার্কেট: ট্রেন্ডি অথচ সস্তা। সেক্সপিয়র সরণির এই মার্কেটের এটাই মূলমন্ত্র৷ সাধারণত হংকং, ব্যাংককের ব্র্যান্ডের দেখা মেলে এই বাজারে। ফ্যাশনপ্রেমীদের কাছে স্বর্গ এই স্থান।
দক্ষিণাপণ: দক্ষিণের শপিং প্রেমীরা সহজেই আপন করে নিয়েছেন এই স্থান। কারণ একটাই, পছন্দের জিনিসের দাম এখানে বেশ সস্তা। ঢাকুরিয়া ফ্লাইওভারের নিচের এই মার্কেটে তরুণদের ভিড়ই বেশি দেখা যায়।
হাতিবাগান: হাতিবাগান মানেই উত্তরে শপিংয়ের নস্টালজিয়া। শোনা যায়, প্রতিবার এখানে যাওয়ার পর শপিং প্রেমীদের নাকি একটাই আফশোস থাকে, আগের থেকে জিনিসের দাম আরও সস্তা হয়ে গিয়েছে।
মেট্রোপ্লাজা: যেদিকে তাকাবেন নতুন কিছু দেখতে পাবেন। সবেরই দাম সাধ্যের মধ্যে। আর কী চাই শপিং প্রেমীদের! এই কারণেই সস্তায় শপিংয়ের প্রয়োজন পড়লেই হো চি মিন সরণির এই স্থানে চলে আসতে পারেন। তথ্যসূত্র- সংবাদ প্রতিদিন