1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

কোথায় কোথায় ‘টাকা খাটান’ রোনালদো?

ফোর্বস সাময়িকীর জরিপে টানা দুই বছর সবচেয়ে সম্পদশালী ক্রীড়াবিদ হয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ফুটবল সংক্রান্ত আয় দিয়ে। ক্লাব থেকে পাওয়া বেতন ভাতার সঙ্গে পণ্যের প্রচারের সুবাদে বেশ ভালোই আয় করেন রোনালদো। নতুন জরিপে শীর্ষস্থান হারালেও সম্পদের পরিমাণ কমেনি তাঁর। বরং ১৫ মিলিয়ন ডলার সম্পত্তি বেড়েছে রোনালদোর। বর্তমানে ১০৮ মিলিয়ন সম্পদের মালিক পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে, এত সম্পত্তি দিয়ে কী করেন রোনালদো?

এক সময় ফুটবলারদের জীবন মানেই যেন কোনো বিয়োগান্ত গল্প ছিল। ফুটবল খেলে খ্যাতি-যশের সঙ্গে আয়কৃত অর্থ বাইরের রঙিন জীবনে খরচ করে দেউলিয়া হয়ে পড়ার গল্প। আধুনিক ফুটবলাররা এমন নন। তাঁরা নৈশজীবনে অংশগ্রহণ করেন আবার অর্থের সদ্ব্যবহারও করেন। এদের মাঝেও অনন্য রোনালদো।

বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগ করে নিজের পোর্টফোলিওটা সমৃদ্ধ করছেন নিয়মিত। এই তো কদিন আগে চুল প্রতিস্থাপনের ব্যবসাতেও নাম লিখিয়েছেন। চুলের পরিচর্যার জন্য বিশেষায়িত ক্লিনিক ইন্সপারায়ার ৫০ ভাগ মালিকানা কিনেছেন রোনালদো। এর দায়িত্ব দিয়েছেন জর্জিনা রদ্রিগেজকে। পর্তুগালে বেশ কয়েকটি শাখা আছে ইন্সপারায়ার। শোনা যাচ্ছে এই ক্লিনিকে ২৫ মিলিয়ন ইউরোর বেশি বিনিয়োগ করেছেন রোনালদো!

পর্তুগিজ তারকা তাঁর ব্যবসায়ী বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছেন এর আগেই। পেস্তানা হোটেল গ্রুপের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সিআর সেভেন নামের হোটেল চেইন সৃষ্টি করছেন রোনালদো। এর নাম দেওয়া হচ্ছে পেস্তানা সিআর সেভেন। পর্তুগাল এর মাঝেই দুটি হোটেল বানানো হয়ে গেছে। ২০২০ সালে এর পরবর্তী হোটেলটি খোলা হবে। প্যারিস ও নিউইয়র্কেও পরবর্তীতে শাখা খুলতে চাচ্ছেন রোনালদো। স্পেনের মাদ্রিদেও দুটি হোটেল চালু করার ব্যাপারে অনেক এগিয়ে গিয়েছিল পেস্তানা গ্রুপ। কিন্তু রোনালদোর জুভেন্টাসে চলে যাওয়ার পর সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

গ্ল্যামার ও ফ্যাশন জগতের সঙ্গে নিত্য ওঠাবসা রোনালদোর। ফ্যাশন ব্যবসায় তাই সবার আগে এসেছেন রোনালদো। নিজস্ব সুরভি এনেছেন রোনালদো। পুরুষের জন্য ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো পারফিউম এবং অন্যান্য প্রসাধনী সামগ্রী বাজারজাত করে তারা। আর অন্তর্বাস জগতে সিআরসেভেন ব্র্যান্ড এরই মাঝে নাম করে নিয়েছে, যার বিজ্ঞাপন রোনালদো নিজেই করেন। সিআরসেভেন ডেনিম ব্র্যান্ডের অধীনে জিন্সও বাজারজাত করা হচ্ছে।

রেস্টুরেন্ট ব্যবসাও নজর এড়ায়নি রোনালদোর। রাফায়েল নাদাল (টেনিস তারকা), পল গ্যাসল (বাস্কেটবল তারকা), এনরিক ইগলেসিয়াসের (গায়ক) সঙ্গে ম্যাবেল ক্যাপিটাল গ্রুপ সৃষ্টি করেছেন। মায়ামি, মাদ্রিদ ও ইবিজাতে তাতেল চেইন অব রেস্টুরেন্ট এই গ্রুপের অধীনে সৃষ্টি হয়েছে। জেলা নামে আরেকটি রেস্টুরেন্টেও মালিকানা আছে রোনালদোর। এর মাঝে লন্ডন শাখা বেশ নাম কামিয়েছে। কারণ, কদিন আগে মাত্র ১৫ মিনিটে সেখানে ৩১ হাজার ইউরো খরচ করেছিলেন রোনালদো। বিপণন একেই বলে!

কিছুদিন আগে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল, সেখানে ৩৩ বছরের রোনালদোর শরীরের সঙ্গে ২৩ বছরের তরুণের তুলনা করা হয়েছিল। ফিটনেস নিয়ে এতটাই সচেতন রোনালদো। তাই নিজেই নেমেছেন জিমনেসিয়ামের ব্যবসায়। ক্রাঞ্চ ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত হয়ে সিআর সেভেন ক্রাঞ্চ ফিটনেস চালু করেছেন। প্রথমে এক থেকে দেড় শ সেন্টার খোলার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত দুটি সেন্টার খোলা হয়েছে।

এ ছাড়া মোবাইলের অ্যাপ মার্কেট ধরতে দুটি গেম ছাড়া হয়েছে। খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত বিমানটিও তাঁর আয়ের উৎস। ১৯ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের গালফ স্ট্রিম জি২০০ টি চাইলেই ঘণ্টায় ৩ হাজার ইউরোর বিনিময়ে ভাড়া নিতে পারবেন আপনি। ২০১৮ সালে এ থেকেই এক মিলিয়ন ইউরো পেয়েছেন রোনালদো! তথ্যসূত্র: প্রথমআলো।

More News Of This Category