1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

কোনো কিছুতেই হতাশ হওয়া যাবে না

অর্থনৈতিক অবস্থায় মন্দা। চাকরির বাজারে চলছে অস্থিরতা। বড় বড় প্রতিষ্ঠানে দেদার ছাঁটাই হচ্ছে। বেশি বেতনে কর্মরতদের আতঙ্কে ঘুম নেই। এই বুঝি ছাঁটাইয়ের তালিকায় নাম উঠছে! আপনার আতঙ্ক পরিবারকে অস্থির করে তুলেছে। আপনি কাজের গতি বাড়িয়ে দিয়েছেন। আগের চেয়ে আরো বেশি আন্তরিকতা দিয়ে অফিসে কাজ করছেন।

রাত নেই দিন নেই আপনি শুধু খেটে মরছেন। তারপরও আপনি দেখছেন, আপনার কাজের কোনো মূল্যায়ন হয় না। আপনার পদোন্নতি হয় না। আপনার বেতন বাড়ে না। উপরন্তু আপনাকে কোনো কারণ ছাড়াই ডেকে নিয়ে ওয়েটিং রুমে বসিয়ে রাখে। আপনি কারণ খোঁজেন, কোথায় গণ্ডগোল হলো? কোথায় ভুল হলো? তাহলে কেন এই শাস্তি? আপনি কারণও খুঁজে পান না।

আপনি দেখছেন, আপনার অফিসের অন্য কলিগ গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘোরে। অফিসে তেমন কোনো কাজ করে না। অফিসকে নিজের মনে করে না। তারপরও তার পদোন্নতি হচ্ছে এবং তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে। আর আপনি কলুর বলদের মতো খেটে মরছেন। আবার আপনিই ছাঁটাই আতঙ্কে ভুগছেন। আপনি কি একবারও চিন্তা করেছেন, আপনি কাজের মানুষ হয়েও কেন আতঙ্কে ঘুম হারাম করছেন?

আজ থেকে একটু নিজেকে নিয়ে ভাবুন। নিজের কাজ নিয়ে ভাবুন। আপনি সত্যি সত্যিই ভালো কাজ করে থাকেন তাহলে আপনার ভাবনার কোনো কারণ নেই। কাজের লোকদের চাকরির অভাব হয় না। এক দরজা বন্ধ হলে হাজার দরজা খুলে যায়। শুধু শুধু দুশ্চিন্তা করে রাতের ঘুম হারাম করবেন না।

পরিবারকেও কোনরকম দুশ্চিন্তায় রাখবেন না। আপনি সবসময় ভালো চিন্তা করুন। নেতিবাচক চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। গভীর সংকটেও আপনি মাথা ঠাণ্ডা রাখুন। দেখবেন, জন্য অনেক বিকল্প বের হয়ে যাবে। আমরা দেখছি, কোনো প্রতিষ্ঠানে অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা তৈরি হলে প্রথমেই ভাবে কর্মী ছাঁটাই করতে হবে।

কিন্তু কর্মীরা যে শক্তি, একেকটি পিলার, তা কেউ ভাবে না। ছাঁটাই করে সাময়িক হয়তো ভালো থাকা যায়। অদূর ভবিষ্যতে তার ফল শুভ হয় না। কারণ, কর্মী ছাঁটাইয়ের সঙ্গে সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানের শক্তি যেমন কমে যায়; তেমনি তিনি ছাঁটাইয়ের শিকার হন, তিনি তার ভাগ্যটাও নিয়ে যান।

ধরুন, আপনি একটি বড় প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে আপনি ছাঁটাইয়ের শিকার হয়েছেন। অথবা অন্য কোনো কারণে আপনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। তখন আপনি কি হতাশায় ভেঙে পড়বেন? আপনি কি মনে মনে ভাববেন, আপনি সাগরে পড়ে গেছেন? খবরদার! আপনি এমনটি কখনোই ভাববেন না। আপনি মাথা ঠাণ্ডা রাখুন।

যে আপনি নিজেকে তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন, সেই আপনিই ঠুনকো কারণে ভেঙে পড়বেন না। মনোবল বেতের মতো শক্ত রাখুন। আপনি ঘুরে দাঁড়াতে শিখুন। দেখবেন, আপনার সামনে হাজারো বিকল্প হাজির হয়ে গেছে। আপনি কোনটা ছেড়ে কোনটা ধরবেন তা নিয়ে গোলকধাঁধাঁয় পড়ে যাবেন। সেই মুহূর্তেও আপনি ঠাণ্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিন। দেখবেন আপনি আগের চেয়ে অনেক বড় জায়গা পেয়ে গেছেন।

মনে রাখবেন, কোনো কিছুতেই হতাশ হওয়া যাবে না। জীবনে অনেক বাঁধা আসবে। আপনি প্রায়শ ঈর্ষা এবং প্রতিহিংসার শিকার হবেন। এটা জীবনের এক স্বাভাবিক ঘটনা। গাছ বড় হলে ঝড় একটু বেশিই লাগে। ছোট গাছে ঝড় কম লাগে। বিষয়গুলো মাথায় নিয়ে সাবধানে পা ফেলুন। আপনি সফল হবেনই। তথ্যসূত্র: কালের কন্ঠ।

More News Of This Category