1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

ঘরের সিঁড়ির গাছগাছালি সজ্জা!

ইট-কাঠের এই শহরেও বাগান করতে চান অনেকে। ইচ্ছা থাকলেও সময় ও জায়গার অভাবে তা সম্ভব হয় না। তারপরও অনেক গাছপ্রেমী ঠিকই জায়গা বের করে ফেলেন। বাড়ির বারান্দা কিংবা ঘরের এক কোণকে সবুজ করে ফেলেন। ঘরের গাছ বা ইনডোর প্ল্যান্ট রাখার আরও একটি ভালো জায়গা হতে পারে সিঁড়ি। সিঁড়ির ল্যান্ডিং বা চৌকিতে ইচ্ছা করলেই টবে গাছ রাখা যায়। ঝুলন্ত টবেও থাকতে পারে গাছ।

বাড়ির ভেতরে যেসব গাছ রাখা হয়, সেগুলোই সিঁড়িতে রাখা যাবে। আইভি লতা, মনস্টেরা, মানি প্ল্যান্ট, পাতাবাহার, ড্রাসেনা, ফাইলো ডেনড্রন, ক্রোটন, বাহারি কচু, পাম ইত্যাদি গাছ চোখে আরাম দেবে আর বাড়াবে সিঁড়িঘরের সৌন্দর্য।

সিঁড়িতে গাছ রাখার ক্ষেত্রে আলোর উপস্থিতির ওপর নির্ভর করে গাছ রাখার পরামর্শ দেন ডিজাইন স্টেশনের স্থপতি মোশরুর হেলাল। তিনি বলেন, সিঁড়িতে সাধারণত আলো কম প্রবেশ করে। তাই কম আলোতে বেড়ে ওঠে এমন গাছ সিঁড়ির জন্য উপযোগী। অর্কিড, বিভিন্ন ধরনের পাতাবাহার সিঁড়িতে রাখা যায়। তবে সিঁড়ির পরিসর ও রং বিবেচনা করে গাছ রাখার পরামর্শ দেন তিনি।

গাছের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের আলো, মোমবাতি, শোপিস ও আয়নার সংযোজন সিঁড়িকে আকর্ষণীয় ও নান্দনিক করে তুলতে পারে বলে জানান তিনি।

রাজধানীর শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নিপা মোনালিসাবলেন, সিঁড়ির জন্য পাতাবাহার, মানি প্ল্যান্ট অথবা ক্রোটন টাইপ গাছ খুবই উপযোগী। এসব গাছ লাগানোর সময়ই সারমিশ্রিত মাটি ব্যবহার করলে পরে আর খুব বেশি কিছু করার প্রয়োজন পড়ে না। শুধু পর্যাপ্ত পানি দিলেই গাছ দীর্ঘদিন ভালো থাকবে বলে জানান তিনি।

একটুখানি সবুজের ছোঁয়া সিঁড়ির একঘেয়ে ভাব দূর করে বৈচিত্র্য নিয়ে আসে বলে মনে করেন ইনস্টিটিউট অব ইনোভেটিভ ডিজাইনের স্বত্বাধিকারী স্থপতি সাইদা ফজিলাতুন নাজ। তিনি বলেন, বড় সিঁড়ি হলে টবে এবং ছোট সিঁড়ি হলে দেয়ালে গাছ ঝুলিয়ে রাখা যেতে পারে। ছায়ায় বাঁচে, বিশেষ করে মোটা ও শক্ত পাতার গাছগুলো সিঁড়িতে রাখার উপযোগী। তবে সপ্তাহে এক দিন গাছ রোদে দিতে হবে, কিছুটা আলো-ছায়ায় রাখলে ভালো হয়। কেননা, কড়া রোদে ছায়ার গাছ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সিঁড়িতে গাছ রাখলেও এমনভাবে রাখা উচিত, যাতে চলাচলে বাধা সৃষ্টি না করে।

কিছু টিপস

  • ঘরের দরজা বা লিফটের সামনে রাখা যায় মাঝারি আকৃতির গাছ (মানি প্ল্যান্ট, ড্রাসিনা ইত্যাদি)।

  • গাছ লাগানোর জন্য বেলে ও বেলে-দোআঁশ মাটি উপযুক্ত। মাটির সঙ্গে জৈব সার মিশিয়ে দিতে হবে।

  • নকশা করা মাটি, তামা, পিতল, প্লাস্টিক, সিরামিক ও সিমেন্টের তৈরি টবে গাছ লাগানো যায়।

  • গাছগুলো এমনভাবে ঝোলাতে হবে, যাতে অনায়াসে পানি দেওয়া যায়। মাঝে মাঝে পানি স্প্রে করে গাছের পাতা ধুয়ে দিলে ভালো হবে।

  • গাছের পুষ্টি উপাদান নিশ্চিত করতে তরল সার ব্যবহার করা ভালো। মাঝে মাঝে গাছের গোড়ার মাটি উল্টেপাল্টে দিন।

  • পোকামাকড় আক্রমণ করলে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। পানিতে গাছ থাকলে সপ্তাহে একবার পানি পরিবর্তন করতে হবে।

  • সিঁড়িতে ক্যাকটাস বা কাঁটাযুক্ত গাছ না রাখাই নিরাপদ।

তথ্যসূত্র: প্রথমআলো ডটকম।

More News Of This Category