1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

চাকরীর স্থায়ীত্ব নিয়ে না ভেবে নিজেকে নিয়ে ভাবুন!

আমরা জব সিকিউরিটি নিয়ে যতটা চিন্তা করি, নিজেকে নিয়ে ততটা চিন্তা করি না। আমরা ভবিষ্যৎ নিয়ে যতটা চিন্তা করি, বর্তমান নিয়ে ততটা ভাবি না। ফলাফল? সবার জানা। কোন কারণে আজ যদি ইলন মাস্কের সব কোম্পানি থেকে শেয়ার হোল্ডাররা তাকে বহিষ্কার করে দেয়, তখন ইলন মাস্কের কি হবে? ধরে নিচ্ছি তার ব্যাংক ব্যালেন্স ও শূন্য হয়ে যাবে, তখন কি হবে? ইলন মাস্কের তেমন কিছুই হবে না।

কারণ তখন হয়তো সে নতুন আরেকটা কোম্পানি তৈরি করে বসবে। অথবা কোন বড় কোম্পানিতে কনসালটেন্ট হিসেবে যোগ দিবে। ইলন মাস্কের নতুন কোম্পানিতে ইনভেস্ট করার জন্য সব ইনভেস্টরা মুখিয়ে থাকবে। আর যদি সে কনসালটেন্ট হিসেবে কোথাও জব করে, তাকে কেন জব দিবে? কারণ তার দক্ষতা। সে নিজের উপর ভালো ভাবে ইনভেস্ট করতে সক্ষম হয়েছে। তার সম্পদ তার ব্যাংকে নয়, মাথায়।

আচ্ছা, স্টিভ জবসকে তো উনার নিজ কোম্পানি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর স্টিভ জবস কি করেছেন? নতুন কোম্পানি শুরু করেছেন। হয়তো বলতে পারেন উনার হাতে অনেক টাকা ছিল। কিন্তু সত্যিকার অর্থে টাকা ছাড়াও স্টিভ জবসের যেটা ছিল, তা হচ্ছে দক্ষতা। এছাড়া টাকা কার হাতে থাকে, তা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপন জুয়েলার্সের ছেলের হাতেও টাকা ছিল! ফলাফল? নিজে ডুবার পাশাপাশি নিজ ফ্যামিলি এবং বাপের ব্যবসা, সব ডুবিয়েছে।

এগুলো বলার কারণ হচ্ছে জব সিকিউরিটি বা এসব নিয়ে ভাবার আগে নিজেকে নিয়ে ভাবা দরকার। আপনি যত ভালো ইমপ্লোয়ি হোন না কেন, কোন কারণে কোম্পানি ফেইল করলে আপনার জব সিকিউরিটি বলতে কিচ্ছু থাকছে না। সো আপনি কি করতে পারেন? নিজের উপর ইনভেস্ট করতে পারেন। নিজের উপর ইনভেস্ট করা সহজ। শুধু বুঝতে শেখা কি আমার দরকার, কি আমার দরকার না। সত্যিকার অর্থে আমি কি চাই। এতটুকুই।

একটু একটু করে নতুন কিছু শিখতে পারেন। তা হতে পারে আপনার জব রিলেটেড, হতে পারে একদমই ভিন্ন কিছু। নতুন কিছু শিখলেই হলো। আমরা হয়তো এখন একটা বিষয়ের সাথে আরেকটা বিষয়ের সম্পর্ক খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু এক সময় দেখা যাবে সব কিছুই কি সুন্দর কানেক্টেড। একটা বিষয়ের সাথে আরেকটা বিষয় জোড়া দিয়ে দারুণ কিছু করা যায়।

বই পড়তে পারেন। জ্যামে বসে থাকার সময়, ঘুমানোর আগে অথবা উইকেন্ডের অলস দিনটিতে। নিজের মস্তিষ্কটা ভালো থাকবে। কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন। দেশে, দেশের বাহিরে। নিজের জন্যই। সময়টা এখন ইন্ডিভিজুয়ালিজমের। নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারেন। একটু একটু করে।

সবথেকে বেশি যেটা দরকার, তা হচ্ছে নিজের স্বাস্থ্যের দিকে দেখা। এটার কিছু হবে তো বাকি কোন কিছুর কোন মানে থাকবে না। একটু দেখে শুনে খাওয়া, একটু ব্যায়াম করা, এইতো।

অল্প কিছু পেয়ে মনে না করা আমার দ্বারা আর সম্ভব না। নিজেকে পুশ করতে থাকেন। একটু একটু করে। সুন্দর একটা প্রবাদ আছে, শরীরের নাম মহাশয়, যা সহায়, তা সহে। আরেক জনে করতে পারলে আমি কেন পারব না? চেষ্টা করে দেখতে দোষ কি? উদাহরণ সেট করা কঠিন। শত প্রতিকূলতা জয় করে উদাহরণ সেট করতে পারলে যে আত্মতৃপ্তি আসবে, তা আর কিছুইতেই পাওয়া যাবে না। নিজের উপর ইনভেস্ট করুন, একটু একটু করে। লেখক: জাকির হোসাইন। তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

More News Of This Category