1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

চামড়াজাত পণ্যের ই-কমার্স পোর্টাল উদ্বোধন!

চামড়াজাত পণ্যের ই-কমার্স পোর্টালের (www.gooseyours.com) উদ্বোধন করা হয়েছে। জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে পোর্টালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ই-কমার্স একটি নতুন দিগন্ত। বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। দেশের যেকোনো প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘরে বসে অনলাইনে ঢুকতে পারছে। যেকোনো মানুষ ঘরে বসে ই-কমার্সের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন। তিনি বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের প্রধান প্রতিবন্ধকতা হলো আর্থিক সীমাবদ্ধতা। যেমন কোনো ব্যবসা শুরু করতে হলে বাণিজ্যিক শপিং মলে দোকান নিতে হয়। এর জন্য অনেক টাকাপয়সার দরকার হয়। সে টাকা নারী উদ্যোক্তারা সব সময় জোগাড় করতে পারেন না। সেদিক থেকে ই-কমার্স অনেক সুবিধাজনক একটি প্ল্যাটফর্ম।

স্পিকার বলেন, গুজ লিমিটেডকে এমন করে ব্র্যান্ডে পরিণত করতে হবে, যাতে এর পণ্য বিশ্বের নামী ব্র্যান্ড গুচি বা মাইকেল কোরসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারে। সে ক্ষেত্রে পণ্যের দামের সঙ্গে আপস করা যাবে না। বৈশ্বিক মার্কেটে যে দাম আছে, সে দামেই বিক্রি করতে হবে। স্থানীয় মার্কেটের ভোক্তাদের সামর্থ্য বিবেচনায় নিয়ে সে অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করে পণ্য সরবরাহ করতে হবে।

তৈরি পোশাক খাতের উদাহরণ তুলে ধরে শিরীন শারমিন বলেন, ‘এইচএনএমসহ বিশ্বের যেকোনো ব্র্যান্ডের শোরুমে ঢুকলে মেড ইন বাংলাদেশ নামের পণ্য পাওয়া যায়। সুতরাং এখন সময় হয়েছে আমাদের পণ্য আমাদের ব্র্যান্ড হিসেবে বৈশ্বিক মার্কেটে যাবে। আমি আশা করি, গুজ সেভাবেই বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশকে তুলে ধরবে।’

বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের প্রশংসা করে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রোকেয়া আফজাল রহমান বলেন, ‘নারীরা পরিশ্রমী, যুদ্ধ করতে পারেন। তাঁরা ধৈর্য নিয়ে কাজ করতে পারেন। কেউই হার মানেন না। আমরা ইউরোপের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাই। পণ্যের মান নিশ্চিত করতে পারলে বিদেশে আমাদের পণ্য রপ্তানি হওয়ার সুযোগ অনেক। ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আমরা অনায়াসে ইউরোপের বাজারে ঢুকতে পারি। সে জন্য পণ্যের মানের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’

ল্যাব এইড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম শামীম বলেন, ‘বিদেশে চামড়ার ব্যাগের দাম অত্যন্ত চড়া। বিশ্বের বড় ব্র্যান্ডের একটি ব্যাগের দাম ১ হাজার ডলার হলে হয়তো দেখা যায় ব্যাগের দাম ১০ ডলার। আর বাকি ৯৯০ ডলার যায় ব্র্যান্ডিংয়ে। এর অর্থ হলো বিদেশি কোম্পানিগুলো আমাদের কাছ থেকে প্রচুর টাকা নিয়ে যাচ্ছে। নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরি করে বৈশ্বিক বাজারে ছেড়ে দিয়ে এই টাকা দেশে নিয়ে আসা সম্ভব।’ অনুষ্ঠানে গুজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিতা বোস উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যসূত্র: প্রথমআলো ডটকম।

More News Of This Category