1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

টাকার মানের পতন ঠেকাতে ডলার বিক্রি!

টাকার দর পতন ঠেকাতে বাজারে ডলার সরবরাহ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রিজার্ভ থেকে বাজারে ডলার ছাড়া হচ্ছে। গত তিন মাসে প্রায় ১৮ কোটি ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। বেশ কিছুদিন ধরেই টাকা-ডলার বিনিময় হার কিছুটা অস্থিতিশীল।

ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় মূল্য কমে গেছে। এ মাস আগেও আন্ত:ব্যাংক লেনদেনে এক ডলারের বিনিময় মূল্য ছিল ৮২ টাকা ৭৫ পয়সা। তা বেড়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েঠে ৮৪ টাকা ৭৫ পয়সা। এমন পরিস্থিতিতে বাজার স্থিতিশীল করতে বাজারে ডলার বিক্রি করে চলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সূত্র অনুসারে, বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি মাসের প্রথম চার কার্যদিবসে চার কোটি ৫০ লাখ ডলার বাজারে ছেড়েছে। আগের দুই মাসে ছাড়া হয়েছিল সাড়ে পাঁচ কোটি ডলার। জুলাই মাসে ছাড়া হয়েছিল তার প্রায় দ্বিগুণ। ওই মাসে বাজারে ১০ কোটি ডলার বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিশ্বব্যাপী মার্কিন ডলার শক্তিশালী হয়ে উঠায় বেশ কয়েক মাস ধরেই উন্নয়নশীল অনেক দেশের মুদ্রা দর হারাচ্ছে। এর সঙ্গে রয়েছে কোনো কোনো দেশের অভ্যন্তরীন সংকট। চলতি বছরে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর স্থানীয় মুদ্রার ব্যাপক দর পতন হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিবেশি দেশ ভারতের মুদ্রা রুপি চলতি বছরে প্রায় ১৭ শতাংশ দর হারিয়েছে। এক ডলারের বিনিময় মূল্য ৭৪ রূপি উঠে যায়।

টাকাও অনেকটা অভ্যন্তরীন কারণেই চাপে পড়েছে। গত কয়েক মাসে আমদানি ব্যয় অস্বাভাবিকরকম বেড়ে গেছে। কিন্তু তার বিপরীতে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ সেভাবে বাড়েনি। তাতে বাজারে ডলারের সরবরাহ কমে যাওয়ায় টাকার বিপরীতে তার বিনিময় মূল্য বেড়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিশেষ করে করে নির্বাচনের আগে টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্য বেড়ে যেতে দিতে চায় না তারা। কারণ টাকার মূল্য কমে গেলে বা ডলারের মূল্য বেড়ে গেলে ভোগ্য পণ্যের মূল্য বেড়ে যেতে পারে। ভোগ্য পণ্যের চাহিদার একটি বড় অংশ আমদানি করে পূরণ করতে হয় বলে ডলারের মূল্য বাড়লে আমদানি খরচও বেড়ে যায়। তার প্রভাব পড়ে স্থানীয় বাজারে।

এদিকে আমদানি ব্যয়ের উচ্চ প্রবৃদ্ধির বিপরীতে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ ততটা না বাড়ায় দেশে বৈদেশিক মুত্রার রিজার্ভও কমছে। এক বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ ৩২ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন থেকে ৩১ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এই রিজার্ভ আমাদের পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় পূরণ করতে পারবে। তথ্যসূত্র: অর্থসূচক।

More News Of This Category