1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

দেশে কোটিপতির সংখ্যা এখন ১ লাখ ৭৬ হাজার ছাড়িয়ে

এক দশক আগেও কোটিপতির সংখ্যা ছিল ৪৫ হাজারের কম। বর্তমানে এর সংখ্যা লাফিয়ে প্রায় চার গুণ বেড়েছে। শুধু আওয়ামী লীগ সরকারের দুই মেয়াদ শেষে তৃতীয় মেয়াদের জুন পর্যন্ত হিসাবে কোটিপতি বেড়েছে ৬৮ হাজারের বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো সর্বশেষ তথ্যের ভিত্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জুন ২০১৯) কোটিপতির সংখ্যা এক লাখ ৭৬ হাজারের বেশি হয়েছে। এর মধ্যে আমানতকারী বেড়েছে চার হাজার ৮৩৩ জন এবং ঋণগ্রহীতা বেড়েছে পাঁচ হাজার ১৯৫ জন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশের ব্যাংক খাতে মোট কোটিপতির সংখ্যা ছিল এক লাখ ৬৬ হাজার ৭২৮ জন।

এর মধ্যে আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ৭৫ হাজার ৫৬৩ জন এবং ঋণগ্রহীতার সংখ্যা ছিল ৯১ হাজার ১৬৫ জন। অর্থাৎ ছয় মাসে মোট কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে ১০ হাজারের বেশি জন। অথচ এক দশক আগেও দেশের এ চিত্র ছিল ভিন্ন। ২০০৮ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশের ব্যাংক খাতে কোটিপতির মোট সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজার ৩৬৯ জন।

এর মধ্যে আমানতকারী ১৯ হাজার ১৬৩ ও ঋণগ্রহীতা ২৫ হাজার ২০৬ জন। আর ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশের ব্যাংক খাতে মোট কোটিপতির সংখ্যা দাঁড়ায় এক লাখ ৬৬ হাজার ৭২৮ জন। সে হিসাবে, গত এক দশকে দেশে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে এক লাখ ২২ হাজার ৩৫৯ জন বা চার গুণ। বছরে গড়ে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে ১২ হাজার ২৩৫ জন।

বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সরকারের দুই মেয়াদে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে ৬৮ হাজার ১৩৭ জন। আওয়ামী লীগের প্রথম মেয়াদ (২০০৯-২০১৩) শেষে ব্যাংক খাতে মোট কোটিপতির সংখ্যা ছিল ৯৮ হাজার ৫৯১ জন। এর মধ্যে আমানতকারী ৪৯ হাজার ৬৪০ ও ঋণগ্রহীতা ৪৮ হাজার ৯৫১ জন। এ সময়ে মোট কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে ৫৪ হাজার ২২২ জন।

আর দ্বিতীয় মেয়াদ (২০১৪-২০১৮) শেষে দেশের ব্যাংক খাতে কোটিপতির মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৬৬ হাজার ৭২৮ জন। এর মধ্যে আমানতকারী ৭৫ হাজার ৫৬৩ ও ঋণগ্রহীতা ৯১ হাজার ১৬৫ জন। তবে শুধু আওয়ামী লীগ সরকারের দুই মেয়াদ নয়, যে সরকারই ক্ষমতায় এসেছে পালাবদলে কোটিপতি বেড়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৯৭২ সালে দেশে কোটিপতি ছিলেন মাত্র পাঁচজন।

More News Of This Category