1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

দ্রুত কোটিপতি হওয়া যায় এমন কিছু কম্পিউটার নির্ভর স্মার্ট পেশা!

কোটিপতি হতে কে না চায়? আসলে মানুষ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী ও ধনী হওয়ার জন্য ক্রমাগত চাকরি পরিবর্তন করে এবং বড় চাকরির সন্ধান করে। এমনকি মূলধন জোগাড় করতে পারলে ব্যবসা শুরু করে। আবার এই প্রচেষ্টায় তারা ঝামেলামুক্ত স্মার্ট ক্যারিয়ার আশা করে। কিন্তু এইসব প্রত্যাশা কী কোনো একটি চাকরি পূরণ করতে পারে? সহজ কথায় বললে, এমন কোনো চাকরি কী আছে যা করলে অবসরে যাওয়ার আগেই কোটিপতি হওয়া যায়, আবার ঝামেলামুক্ত স্মার্ট কর্মজীবন অতিবাহিত করা যায়?

নিশ্চয়ই আছে। বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে স্মার্ট এবং বহুমুখী ব্যবহার উপযোগী ডিভাইস হলো কম্পিউটার। এই কম্পিউটার নির্ভর বেশকিছু স্মার্ট পেশা আছে যা করলে অবসরে যাওয়ার আগেই কোটিপতি হওয়া যায়, আবার ঝামেলামুক্ত স্মার্ট কর্মজীবন অতিবাহিত করা যায়। এমনকি অন্য কারো কাছে নিজের পরিচয় দেওয়ার সময় নিজেকে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে উপস্থাপন করা যায়। চলুন কম্পিউটার নির্ভর এমন কিছু স্মার্ট পেশা সম্বন্ধে জেনে নিই, যা আপনাকে অল্পদিনেই কোটিপতি বানিয়ে দিতে পারে।

সফটওয়্যার ডেভলপার: বাংলাদেশের মতো বৈশ্বিক চাকরির বাজারেও মন্দা চলছে, অর্থাৎ পছন্দনীয় চাকরি খুঁজে পাওয়া দুরূহ হয়ে পড়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এমন কিছু চাকরি রয়েছে যার ব্যাপ্তি এবং চাহিদা ক্রমশ বাড়ছেই। সফটওয়্যার ডেভলপার তেমনি একটি পেশা, বিশ্বব্যাপী যার চাহিদা এবং মান ক্রমশ বাড়ছেই। সফটওয়্যার ডেভলপারের চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত বিকশিত হচ্ছে। ফলে যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীদের জন্য নতুন কাজের ক্ষেত্র উন্মোচিত হচ্ছে।

তাছাড়া বিশ্বব্যাপী মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের বিপ্লব শুরু হয়েছে। যে কারণে সব কোম্পানি এখন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বানাতে তৎপর হয়ে উঠেছে। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের এই বিশাল বাজার উন্মোচিত হওয়ায় সফটওয়্যার ডেভেলপারদের কদর আরো কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। তাছাড়া পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্থানীয় চাকরির সংকট সৃষ্টি হলেও, সফটওয়্যার ডেভেলপারদের কর্মক্ষেত্র বিশ্বব্যাপী।

তাই এই ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে আপনার জন্য পুরো পৃথিবী অপেক্ষা করছে। পৃথিবীর যেকোনো উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশে সফটওয়্যার ডেভেলপারের কাজ নিয়ে আপনি অল্প দিনেই কোটিপতি হয়ে যেতে পারেন। কেননা এই ক্ষেত্রে সম্মানীও চোখ কপালে ওঠার মতো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একজন সফটওয়্যার ডেভেলপারের গড় বেতন এক লক্ষ মার্কিন ডলারের বেশি। সুতরাং সফটওয়্যার ডেভেলপার হতে পারলে কোটিপতিদের দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম।

ডেটা সায়েন্টিস্ট বা তথ্য বিজ্ঞানী: আপনি কী জানেন, অনলাইনে কেনাকাটার সময় আপনি যেসব তথ্য প্রবেশ করান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যত কথা লেখেন আর যত ছবি আপলোড করেন, গুগল সার্চ করে প্রতিদিন যা কিছু অনুসন্ধান করেন, কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে যতবার ক্লিক করেন, যত নিবন্ধ পড়েন, এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়?

কোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করার সময় আপনি যেসব সমস্যার সম্মুখীন হন, বা যা কিছুর অভাব বোধ করেন, অল্প দিনের মধ্যেই ওয়েবসাইটটি আপডেট ভার্সন এনে আপনার সেই সমস্যা সমাধান বা অভাব পূরণ করেন। প্রশ্ন হলো ওয়েব সাইটটি আপনার মনের কথা বুঝলো কীভাবে?ইন্টারনেট জগতে আপনার মনের কথা বোঝার এই গুরুদায়িত্ব ডেটা সায়েন্টিস্ট তথা তথ্য বিজ্ঞানীদের। আর এই কারণেই বিশ্বব্যাপী তথ্য বিজ্ঞানীদের এত কদর। অন্যান্য ক্ষেত্রে যখন একটি পদের বিপরীতে কয়েক হাজার বায়োডাটা জমা পড়ে, ডেটা সায়েন্টিস্টের একাধিক পদের বিপরীতে মাত্র কয়েকজন দক্ষ কর্মী খুঁজে পাওয়া যায়।

ইন্টারনেটে আপনার আমার মতো লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারীর সকল কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রযুক্তি ব্যবহারের নতুন নতুন দিক উন্মোচন করাই হলো ডাটা সায়েন্টিস্টের কাজ। সুতরাং অল্প দিনে কোটিপতি হতে চাইলে, হতে পারেন ডাটা সায়েন্টিস্ট তথা তথ্য বিজ্ঞানী। কেননা এই ক্ষেত্রে কর্মীদের বেতন সফটওয়্যার ডেভেলপারদের চেয়েও বেশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডেটা সায়েন্টিস্টের গড় মাসিক বেতন ১ লক্ষ ১৪ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি।

তথ্য নিরাপত্তা বিশ্লেষক: আগের দিনে মানুষ লোহার সিন্দুক বানাত নগদ অর্থ এবং গহনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। কেননা তখন এগুলোই ছিল সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। কিন্তু বর্তমান দুনিয়ায় তথ্য, অর্থ এবং স্বর্ণালংকারের চেয়েও মূল্যবান। তাই কোম্পানিগুলোকে নিজস্ব সার্ভার এবং তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন হয় তথ্য নিরাপত্তা বিশ্লেষকের।

কোম্পানিগুলো এমন দক্ষ কর্মী অনুসন্ধান করেন যারা তাদের নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের সকল তথ্যে অবৈধ প্রবেশাধিকার রোধ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে। এই পদে চাকরির জন্য কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার বা সমমানের স্নাতক ডিগ্রি প্রয়োজন হয়। তবে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় অভিজ্ঞতার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিজ্ঞ তথ্য নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা প্রতি মাসে গড়ে ৯৯ হাজার মার্কিন ডলার সম্মানী পেয়ে থাকে।

ডাটাবেজ প্রশাসক: কোম্পানিগুলোর বিপুলসংখ্যক তথ্য সংরক্ষন এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজন হয় ডাটাবেজ প্রশাসকের। তাই এই পেশার গুরুত্ব কম্পিউটার নির্ভর অন্যান্য কাজের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। যদিও বাংলাদেশে এখনো ব্যাপকভাবে এই পেশার চাহিদা সৃষ্টি হয়নি। তবে উন্নত বিশ্বে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই পেশায় নিয়োজিত কর্মীদের প্রায় ৯০ হাজার মার্কিন ডলার মাসিক স্যালারি দেওয়া হয়।

কম্পিউটার নির্ভর এসব স্মার্ট পেশা বেছে নিতে হলে আপনাকেও হতে হবে স্মার্ট নাগরিক। দীর্ঘক্ষণ এক টেবিলে বসে কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে। হতে হবে কঠোর পরিশ্রমী। আসলে কোটিপতি হওয়ার কোনো সহজ রাস্তা নেই। আপনাকে দ্রুত কোটিপতি হতে হলে সময় উপযোগী এমন সব পেশা বেছে নিতে হবে যা বাজার চাহিদার শীর্ষে রয়েছে এবং সর্বোচ্চ স্যালারি পাওয়া যায়। আজকের নিবন্ধে আলোচিত পেশাগুলো নিশ্চয়ই আপনার সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে সক্ষম হবে। তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

More News Of This Category