1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

নতুন নামে ফারমার্স ব্যাংক

আজ থেকে পদ্মা ব্যাংক নামে যাত্রা করছে অনিয়ম-দুর্নীতিতে বিপর্যস্ত ফারমার্স ব্যাংক। নতুন নামে কার্যক্রম শুরু করার জন্য ২০১৯ সাল বেছে নিয়েছে ব্যাংকটি। নতুন নাম পদ্মার মাধ্যমে ব্যাংকটির ইমেজ বাড়বে বলে মনে করছেন ফারমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সারাফাত।

একটি বিপর্যস্ত পরিস্থিতি থেকে ফারমার্স ব্যাংককে টেনে তোলার দায়িত্ব নিয়েছি। এরই মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংক ও আইসিবি ফারমার্স ব্যাংকের অংশীদার হয়েছে। মূলধন বাড়ায় ব্যাংকের ভিত শক্তিশালী হয়েছে। গ্রাহকদের আস্থা ফিরে এসেছে। ব্যাংকের বিদ্যমান সাইনবোর্ডগুলো পরিবর্তন করতে কিছুদিন সময় লাগবে। তবে এর মধ্যে পদ্মা নামেই ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

অনিয়ম-দুর্নীতিতে বিপর্যস্ত ফারমার্স ব্যাংককে টেনে তুলতে ২০১৭ সালের শেষের দিকে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই বছরের ২৭ নভেম্বর ব্যাংকটির পর্ষদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর। তিনি ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। একই দিন ব্যাংকটির অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহাবুবুল হক চিশতীও পদচ্যুত হন।

আরেক পরিচালক ড. মোহাম্মদ আতাহার উদ্দিন ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর বৈঠকে ব্যাংকের পরিচালক মোহাম্মদ মাসুদকে চেয়ারম্যান ও মারুফ আলমকে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। নতুন করে ব্যাংকটির সবক’টি কমিটি পুনর্গঠন করে ঢেলে সাজানো হয়।

ব্যাংকটির পুনর্গঠিত পর্ষদের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই বৈঠক থেকে সাতদিনের মধ্যে পরিচালকদের অন্তত ২০০ কোটি টাকার জোগান দিতে গভর্নর ফজলে কবির নির্দেশ দেন। একই দিন ব্যাংকটিকে টেনে তুলতে নতুন পর্ষদকে তিন মাস সময় বেঁধে দেয়া হয়। কিন্তু পরিচালকরা টাকা না দেয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি ব্যাংকটির।

এরপর মোহাম্মদ মাসুদকে সরিয়ে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হিসেবে চৌধুরী নাফিজ সারাফাত দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্বে অবহেলা ও ব্যাংক পরিচালনায় ব্যর্থতার দায়ে ২০১৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর ব্যাংকের এমডি একেএম শামীমকে অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে ব্যাংকটির এমডির দায়িত্ব পালন করছেন এহসান খসরু।

সরকারি সিদ্ধান্তে ফারমার্স ব্যাংককে উদ্ধারে ৭১৫ কোটি টাকা মূলধন জোগান দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। এ অর্থের বড় অংশই খরচ হয়ে গেছে ভবনের ভাড়াসহ বিভিন্ন খাতে বকেয়া পরিশোধে।

এছাড়া আগে থেকেই মেয়াদি আমানত ও কলমানি হিসেবে ফারমার্সকে ধার দেয়া প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা আটকে আছে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের। পরে ফারমার্স ব্যাংকে ৫০০ কোটি টাকা ঢালার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক ও আইসিবি। ফারমার্স ব্যাংকের বন্ড কেনার মাধ্যমে এ অর্থ দিচ্ছে সরকারি পাঁচ প্রতিষ্ঠান।

More News Of This Category