1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

নিরাপদ পোশাক কারখানার শীর্ষে বাংলাদেশ

রানাপ্লাজার ধকল সামলে বিশ্বের নিরাপদ শিল্পগুলোর একটি বাংলাদেশের পোশাক শিল্প। কিন্তু সংস্কারের জন্য বিপুল বিনিয়োগ করতে গিয়ে, ঝরে পড়েছেন অনেক উদ্যোক্তা। ক্রেতারা ঠিকমতো দাম না দেয়ায়, যারা টিকে আছেন, তারাও ভালো নেই।

উদ্যোক্তাদের স্বার্থে পোশাকের ন্যূনতম দাম ঠিক করার উদ্যোগ নেয়ার পরিকল্পনা করছে বিজিএমইএ’র নতুন কমিটি। বিশ্বসেরা ১০টি পোশাক কারখানার ৭টিই বাংলাদেশে। রানাপ্লাজা ট্রাজেডির পর গত ৬ বছরে পোশাক কারখানায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি একটিও।

বিজিএমইএ সাবেক সহ সভাপতি শহীদুল্লাহ আজীম জানান, ‘কেউ বাংলাদেশের পোশাক শিল্প সম্পর্কে আঙ্গুল তুলে প্রশ্ন করতে পারবে না, কারণ আমরা শিল্পের তালিকায় শীর্ষে রয়েছি। আমাদের মাঝামাঝি পর্যায়ের কারখানারও প্রায় পাঁচ থেকে ছয় কোটি টাকা খরচ হয়েছে নিরাপত্তা নিশ্চিতের যেই যন্ত্রাদি রয়েছে সেগুলো স্থাপন করতে।’

নিরাপদতম কারখানার স্বীকৃতি মিললেও পোশাকের দামে তার প্রতিফলন নেই। বরং গত ৫ বছরে অন্তত ১০ শতাংশ দাম কমেছে ইউরোপ আর আমেরিকার বাজারে। বিজিএমইএ রুবানা হক সভাপতি জানান, ‘এতো সবুজ কারখানা রয়েছে কিন্তু সবুজ দাম নেই। কাজেই এই জায়গাটিতে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি।

একসাথে যদি আমরা সবাই ঘুরে দাঁড়াতে পারি, যদি এক পা ঘুরে দাঁড়িয়ে বলি আমরা এর কমে বিক্রি করবো না, তাহলে বাংলাদেশের চেহারাটা বদলাবে। আর বেঞ্চমার্ক মূল্য নির্ধারণের বিষয়টা আমরা একটা প্রকল্প হিসেবে নেব।’

সংস্কার কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে পোশাক কারখানার শক্ত ভিত্তি তৈরিতে সহায়তা করেছে দুই ক্রেতা জোট অ্যালায়েন্স-অ্যাকর্ড। অ্যালায়েন্স চলে গেলেও, অ্যাকর্ড আছে অন্তত জুলাই পর্যন্ত। তারপরও যেন কারখানার নিরাপত্তা কার্যক্রমে ঘাটতি না পড়ে সেই তাগিদ দিয়েছেন শিল্পখাত বিশেষজ্ঞরা।

সিপিডি গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম জানান, ‘সরকারের এককভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিজস্ব লোকবল দিয়ে করাটি দূর্সাধ্য ব্যাপার।

পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপের অধীনে যৌথ উদ্যোগে এবং সরকার সেখানে একটি অভিভাবক হিসেবে থেকে এই কাজগুলো যেন আগামী দিনে তারা অব্যাহত রাখে।’ পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে উৎপাদন সক্ষমতা এবং প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোরাও পরামর্শ এসেছে। তথ্যসূত্র: ডিবিসি।

More News Of This Category