1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

ফিলিপাইনে ওষুধের বাজার ধরতে চায় বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের আকার সাড়ে ৫ কোটি ডলার। ফিলিপাইনে ওষুধ রফতানির বড় বাজার রয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে ফিলিপাইনে ৭০ লাখ ডলারের ওষুধ রফতানি করে। বিশ্বমানের ওষুধ প্রস্তুতকারক দেশ হিসেবে ফিলিপাইনের বাজার ধরার চেষ্টা করতে পারে বাংলাদেশ।

সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত ভিসেন্তে ভিভেনসিও টি বানদিল্লোর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের আকার আরো বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের প্রতি ফিলিপাইনের আগ্রহ রয়েছে। তাদের উৎপাদনের প্রধান খাত ইলেকট্রনিকস পণ্য। তাদের মানবসম্পদ রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে খাদ্যাভ্যাস ও মানসিকতায় মিল রয়েছে। আমাদের দুই দেশেরই ইচ্ছা হলো ভবিষ্যতে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা।

মন্ত্রী জানান, ফিলিপাইনে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে পোশাক ও গার্মেন্ট অ্যাকসেসরিজ বেশি রফতানি হয়। এছাড়া ওষুধ রফতানি হয় প্রায় ৭০ লাখ ডলারের। বাংলাদেশের ওষুধ বিশ্বমানের। আমি রাষ্ট্রদূতকে এ কথা বলেছি। একই ওষুধ তারা পশ্চিমা দেশ থেকে নিলে দাম অনেক বেশি পড়বে। ফিলিপাইনের ওষুধের বাজারটা আমরা ধরার চেষ্টা করতে পারি।

মতবিনিময়কালে ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূতকে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আপনাদের দক্ষতা আছে ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদনে। বাংলাদেশে শ্রম ব্যয় কম। আপনারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছেন না কেন? এখানে উৎপাদনের পর ইলেকট্রনিক পণ্য তৃতীয় দেশে রফতানিও করা সম্ভব। আমরা সব ধরনের সহযোগিতা দেব। মন্ত্রী ফিলিপাইনের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে শিল্প গড়ে তোলার পরামর্শ দিতে রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফিলিপাইন বাংলাদেশের বৈদ্যুতিক সামগ্রী, অ্যাগ্রো ফুড প্রসেসিং ও চামড়া শিল্পে বিনিয়োগের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সেবা খাতে ফিলিপাইনের কিছু জনবল বাংলাদেশে কাজ করছে। ফিলিপাইন বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করবে।

বাংলাদেশ ফিলিপাইনে মূলত তৈরি পোশাক শিল্পের অ্যাকসেসরিজ, ওষুধসহ কিছু পণ্য রফতানি করছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ ফিলিপাইনে ৪ কোটি ৭০ লাখ ৪০ হাজার ডলারের পণ্য রফতানি করেছে। একই সময়ে আমদানি করেছে ৮০ লাখ ৭০ হাজার ডলারের পণ্য। তথ্যসূত্র: বানিক বার্তা।

More News Of This Category