নতুন হোক আর পুরনো হোক, বাস-ট্রাক থেকে ভালো সেবা পেতে এগুলোকে রাখা চাই ঠিকঠাক। তাই সময়মতো সার্ভিসিং এবং উন্নত মানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার জরুরি। বিশেষ করে ব্রেকের মতো নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, টায়ার ও লুব্রিক্যান্ট বদলাতে হবে সময়মতো। গাড়ি সারাতে বা কোনো যন্ত্রাংশ বদল করতে প্রথমেই আসবে পুরান ঢাকার ধোলাইখাল ও বাংলাবাজারের নাম। বাংলামোটর, ইস্কাটন, তেজগাঁও, মহাখালী, মিরপুর ও বাড্ডায়ও পাওয়া যায়।
টায়ার: বাস-ট্রাকের জন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের টায়ার আমদানি করে রহিমআফরোজ। আকার ও ধরনভেদে দামও ভিন্ন হয়। লোডস্টার সুপার ব্র্যান্ডের ৮২৫-১৬, ১৮পিআর টায়ারের দাম ভ্যাটসহ ১৫ হাজার ১৭০ টাকা; ৬৫০-১৪, ১২পিআরের দাম ৯ হাজার ৬১০ টাকা; লোডস্টার সুপার এক্সপি ৫.৫০-১৩, ১২পিআরের দাম ছয় হাজার ৬৮০ টাকা; ৪৫০-১২, ৮পিআরের দাম চার হাজার ৩৫০ টাকা।
এ ছাড়া আমার গোল্ড ব্র্যান্ডের ৮২৫-১৬, ১৬পিআর মডেলের টায়ারের দাম ১৪ হাজার ৮১০ টাকা; ৭৫০-১৬, ১৬পিআরের দাম ১২ হাজার ৩০০ টাকা; ৫৫০-১৩, ১২পিআরের দাম ছয় হাজার ৫০০ টাকা। কার্গো রিপ ৬৫০-১৬, ১০পিআর মডেলের টায়ারের দাম ৯ হাজার ৩৬০ টাকা; ৬০০-১৪, ৮পিআর সাত হাজার ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দোকানে।
এ ছাড়া দেশি পণ্য হিসেবে রয়েছে গাজী টায়ার। বাস ও ট্রাকের জন্য বেশি বিক্রি হয় গাজী কমান্ডার, মহারাজা এবং এক্সপ্রেস মডেল। এগুলো খুব বেশি লোড সহ্য করার ক্ষমতা রাখে বলে জানাচ্ছিলেন রাজধানীর মহাখালীতে বিবি মোটরসের এক কর্মী। তিনি বলেন, এগুলো ছাড়াও গাজীর ছোট ট্রাক, বাসের জন্য বেশ কিছু টায়ার রয়েছে। মার্শাল, জাগুয়ার, রিবমাস্টার, রোডস্টার, ফ্রিডম, ইমপ্রেসসহ আরো কয়েকটি মডেল রয়েছে। এগুলো দাম ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্য বলে জানান তিনি।
ব্রেকপ্যাড: ভারত, চীন, জাপান, কোরিয়া এবং তাইওয়ানের তৈরি ব্রেকপ্যাড পাওয়া যায়। মডেল এবং মানভেদে দামের হেরফের হয়। গাড়ির নিয়ন্ত্রণ অনেকটা নির্ভর করে ব্রেকপ্যাডের ওপর। তাই ভালো মানের ব্রেকপ্যাড ব্যবহার করা উচিত। বাজারে অলটুর, নিবেকসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ব্রেকপ্যাড পাওয়া যায়। দাম সাড়ে পাঁচ থেকে আট হাজার টাকার মধ্যে।
মবিল: এইচএনএস গ্রুপের এসকে লুব্রিক্যান্ট বিভাগের সেলস ম্যানেজার মোহাম্মাদ সাজেদুল করিম মিয়াজি বলেন, তাঁরা দেশে বিভিন্ন দেশ থেকে বাস-ট্রাকসহ বড় গাড়ির জন্য মবিল ও বিভিন্ন অয়েল আমদানি করে থাকেন। এর মধ্যে পাঁচ লিটারের মবিল বিক্রি হয় এক হাজার ৭০০ থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে।
আর ২০ লিটারের প্যাকেজ বিক্রি হয় ছয় থেকে ছয় হাজার ৮০০ টাকার মধ্যে। দামের পার্থক্যের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দুবাই, ইউরোপের দেশ, ভারত, চীন, জাপানসহ নানা দেশ থেকে এসব পণ্য আমদানি করা হয়। তাই মানভেদে দামের এমন পার্থক্য হয়। তথ্যসূত্র: কালের কন্ঠ।