1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা প্রবাসী আয়!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) আসা বাড়ছে। সদ্য সমাপ্ত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১৯৯ কোটি ৭৪ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছরে এসেছিল ১৬৮ কোটি ৮৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

সে হিসাবে এক বছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রবাসী আয় বেশি এসেছে ৩০ কোটি ৮৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার। প্রতি ডলার ৮৩ টাকা ধরে হিসাব করলে তা দাঁড়ায় ২ হাজার ৫৬১ কোটি ৬২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্যে এ হিসাব জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের মাসওয়ারি তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবচেয়ে কম ১৩ কোটি ৫৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার বাংলাদেশে এসেছিল গত সেপ্টেম্বর মাসে। আর সবচেয়ে বেশি ২০ কোটি ৩০ লাখ ১০ হাজার ডলার আসে জুন মাসে।

তবে দেশওয়ারি প্রবাসী আয় আসায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তৃতীয়। প্রবাসী বাংলাদেশিরা এখনো সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় পাঠান সৌদি আরব থেকে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। চতুর্থ মালয়েশিয়া ও পঞ্চম কুয়েত। এ ছাড়া ষষ্ঠ ওমান, সপ্তম যুক্তরাজ্য, অষ্টম কাতার, নবম ইতালি ও দশম স্থানে আছে বাহরাইন।ট

আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রবাসী আয় বৃদ্ধির বিষয়টি ভালো খবর। এক বছরে একটি দেশ থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা বেশি আসা কম কথা নয় এবং সে দেশটি যদি হয় যুক্তরাষ্ট্র। আশা করছি, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষে দেশটি থেকে আরও বেশি প্রবাসী আয় আসবে।’

প্রবাসী আয় আসায় শীর্ষ ৩০টি দেশের যে তালিকা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, তাতে দেখা যায়, ৩০তম অবস্থান চীনের। গত অর্থবছরে চীন ছিল ২৮তম স্থানে, সে বছর দেশটি থেকে ১ কোটি ২৮ লাখ ২০ হাজার ডলার প্রবাসী আয় এসেছিল। এই অর্থবছরে ২৯তম সাইপ্রাস, ২৮তম সুইডেন, ২৭তম হংকং ও ২৬তম স্থানে আছে ব্রুনেই।

তালিকায় দেখা যায়, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছে মালদ্বীপ থেকে। দেশটির অবস্থান ২৫তম। তালিকা অনুযায়ী ২৪তম অবস্থানে আছে জাপান। গত অর্থবছরে জাপান থেকে এসেছে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার, যা আগের অর্থবছরে ছিল ২ কোটি ২৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। তবে কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে লেবানন ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বেশি প্রবাসী আয় আসছে।

এদিকে ব্যাংকওয়ারি একটি হিসাবও আছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। এতে দেখা যায়, শুধু গত জুন মাসে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩ কোটি ৫৩ লাখ ১০ হাজার ডলার প্রবাসী আয় এসেছে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে। ১৩ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার ডলার এনে সোনালী ব্যাংক দ্বিতীয়। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম ইসলামী ব্যাংক।

অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামস-উল-ইসলাম বলেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশি এবং দেশে তাঁদের স্বজনদের সুবিধার দিক চিন্তা করে সব সময় সতর্ক থাকে অগ্রণী ব্যাংক। এ জন্য শুধু জুন মাসে নয়, গোটা অর্থবছরেই রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মধ্যে অগ্রণী ব্যাংকের অবস্থান প্রথম।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ১৭ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরে এ পরিমাণ ছিল ১ হাজার ২৭৭ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরে বেশি এসেছে ২২১ কোটি ডলার। যদিও দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৫৩১ কোটি ডলার প্রবাসী আয় আসে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে।

তথ্যসূত্র: প্রথমআলো ডটকম।

More News Of This Category