1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

ভারতীয় ‘নিম্নমানের ক্যাপসুল’ কিনতে বাধ্য করা হয়েছে

ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সরকারে একটি সফল কার্যক্রম। দেশব্যাপী এ কার্যক্রমের গ্রহণযোগ্যতাও ছিলো ব্যাপক। কিন্তু এ বছর ক্যাপসুলের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। অবশ্য ২০১২ সালেও ভিটামিন এ ক্যাপসুল নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। তবে তা ছিলো মূলত কার্যাদেশ দেয়া নিয়ে। আর এ বছর জটিলতা দেখা দেয় ক্যাপসুলের মান নিয়ে। নাম সর্বস্ব কোম্পানির কাছ থেকে নিন্মমানের ওষুধ কেনায় ব্যাহত হয়েছে জাতীয় ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন কার্যক্রম।

কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেছেন, মামলা করে ভারতীয় একটি অখ্যাত কোম্পানির কাছ থেকে নিম্নমানের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল কিনতে সরকারকে বাধ্য করা হয়েছে। সরবরাহ করা এসব ক্যাপসুল কৌটার সঙ্গে লেগে আছে। লাল ক্যাপসুল নিয়ে কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কেন এ রকম হলো পরীক্ষার পর তা বলা যাবে। তবে দেশের কোম্পানি থেকে কেনা সবুজ রঙের ট্যাবলেটে কোনো সমস্যা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, ক্যাপসুলের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় এবং শিশুদের যাতে কোন সমস্যা না হয় সে কথা ভেবেই এ কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। তবে শিগগিরই এ কার্যক্রম শুরু হবে।

সূত্র মতে, এ ক্যাপসুল কেনার কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। প্রথমে একটি দেশি ওষুধ কোম্পানি সরবরাহের কার্যাদেশ পেয়েছিল। কিন্তু ওই কার্যাদেশের বিরুদ্ধে আদালতে যায় অ্যাজটেক নামে ভারতীয় একটি কোম্পানি। আদালত ওই ভারতীয় কোম্পানিকে সরবরাহের কাজ দেয়ার নির্দেশ দেন। এরপর থেকে লাল রঙের এ ক্যাপসুল সরবরাহ করে আসছে কোম্পানিটি।

তবে বড় কোনো দুর্ঘটনার আগে বিষয়টি নজরে আসায় এবং সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও অভিভাবকরা। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন না হতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

উল্লেখ্য, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারা দেশে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা ছিল। গত ডিসেম্বরে এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা থাকলেও বার্ষিক পরীক্ষা, জাতীয় নির্বাচনসহ নানা কারণে তা পিছিয়ে যায়।

জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচির আওতায় প্রতিবছর দু’বার ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে নীল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। মূলত রাতকানা রোগ প্রতিরোধের জন্য ১৯৯৪ সাল থেকে দেশের শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। তথ্যসূত্র: ইনকিলাব।

More News Of This Category