1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

মোটরসাইকেল পার্টস কেনার দূর্দান্ত টিপস!

সঠিক মোটরসাইকেল কেনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে যাদের আগে কখনও মোটরসাইকেল ছিল না। এর জন্য সময়, এনার্জি এবং অনুসন্ধান করে সঠিক বাইকটি পছন্দ করতে হবে। আজকের আয়োজন মোটরসাইকেল পার্টস কেনার দুর্দান্ত দিক-নির্দেশিকা নিয়ে। যাই হোক, শুধুমাত্র মোটরসাইকেল কিনলে যে আর কিছু কিনতে হবে না তা চিন্তা করা ভুল। যদি আপনি একটি নতুন মোটরসাইকেল পার্টস কিনে থাকেন, তবে এটি অনেক সময় মেরামত এর প্রয়োজন পড়ে। তার মানে আপনাকে অবশ্যই বাইক এর পার্টস কিনতে হবে।

আপনি ইচ্ছে করলেই একজন মোটরসাইকেল মেকানিক দিয়ে আপনার বাইক এর পার্টস কমদামে কিনিয়ে নিতে পারেন, এতে আপনি নিজে কিভাবে আপনার বাইক এর মেরামত করবেন তা শিখতে পারবেন না এবং প্রতিবার মেরামত করতে আপনাকে মোটা অংকের টাকা গুনতে হবে। তাই প্রথমেই আপনাকে শিখতে হবে কিভাবে মোটরসাইকেল মেরামত করতে হয় এবং তার সাথে মোটরসাইকেল এর সঠিক পার্টস ক্রয় করা জানতে হবে। আপনি বাইক ম্যানুফেকচার কম্পানিতে অর্ডার করে আপনার মোটরসাইকেল পার্টস কিনতে পারেন। যে মডেল এর মোটরসাইকেল এর পার্টস ডিলার, অনলাইন শপ এ পাওয়া যায়।

প্রায় সকল ধরনের মোটরসাইকেল এর পার্টস গাড়ি, ট্রাক এর তুলনায় ছোট। এদের বিভিন্ন ধরনের পার্টস রয়েছে। যখন মোটরসাইকেল পার্টস কিনবেন, তিন ধরনের পার্টস রয়েছে। সকল পার্টস এই তিন ধরনের ক্যাটাগরির মধ্যেই বিক্রি হয়ে থাকে। ১. ওইএম মোটরসাইকেল পার্টস ২. আফটার মার্কেট মোটরসাইকেল পার্টস ৩. ব্যবহৃত মোটরসাইকেল পার্টস।

এই তিন ধরনের পার্টস এর মধ্য থেকেই আপনার বাইক মেরামতের জন্য কোন পার্টসটি পরিবর্তন করবেন তা খুঁজে পাবেন। প্রায় পার্টসের সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে।

ওইএম (OEM) মোটরসাইকেল পার্টস: বেশির ভাগ দোকান এবং মোটরসাইকেল পার্টস বিক্রেতা ওইএম মোটরসাইকেল পার্টস বিক্রি করে থাকে। ওইএম বলতে অরিজিনাল ইকুইপমেন্টস ম্যানুফেকচার বুঝায়। এর মানে সকল ওইএম পার্টস মোটরসাইকেল কম্পানি কর্তৃক তৈরি হয়ে থাকে। যেমন, ওইএম হোন্ডা মোটরসাইকেল পার্টস প্রস্তুত করে হোন্ডা কম্পানি। ওইএম পার্টস কেনা মানে আপনার বাইক এর যে পার্টসটি কিনবেন, তা পরিবর্তন করা। তবে আপনি একবারে নতুন ওইএম পার্টস পাবেন। এদের কিছু কিছু পার্টসে ওয়ারেন্টিও রয়েছে।

ওইএম মোটরসাইকেল পার্টস কিনার সুবিধা: ওইএম মোটরসাইকেল পার্টস কিনার সবচেয়ে বড় সুবিধা যে, এটি আপনার বাইকে সঠিকভাবে ফিট হবে। কারণ, এই পার্টসটি কম্পানি কর্তৃক আপনার বাইকের সাথে তৈরি করা হয়েছে। সাধারণভাবে, ওইএম মোটরসাইকেল পার্টস অনেকদিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। বাইক এর পার্টস রিপ্লেসমেন্ট এর জন্য ওইএম মোটরসাইকেল পার্টস কেনা সবচেয়ে ভালো। যেকোনো ধরনের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয় না বা আপনি আরো বেশি ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন। ওইএম মোটরসাইকেল পার্টসই হলো সুবিধাজনক পন্থা।

ওইএম মোটরসাইকেল পার্টস এর অসুবিধা: ওইএম পার্টস কেনার সবথেকে প্রধান সমস্যা এর খরচ অনেক বেশি। এ ছাড়াও ওইএম মোটরসাইকেল পার্টস সচরাচর পাওয়া যায় না। ওইএম মোটরসাইকেল পার্টস শুধুমাত্র মোটরসাইকেল এর ডিলার থেকে বিক্রি হয়ে থাকে। অন্যান্য ধরনের পার্টসগুলো আপনি অথোরাইজড ডিলার বা অনলাইনে এবং রিটেইল আউটলেট এ কমদামে পাওয়া যায়।

আফটার মার্কেট মোটরসাইকেল পার্টস: ওইএম পার্টস না পাওয়া গেলে, আপনার বাইকের অরিজিনাল পার্টস এর মতো অথোরাইজড পার্টস সাপ্লাইয়ারই হলো আফটার মার্কেট মোটরসাইকেল পার্টস। যা তৈরি হয় থার্ড পার্টি দ্বারা। আফটার মার্কেট মোটরসাইকেল পার্টস এর থার্ড পার্টি অথোরাইজড নয়, তবে কোন মাধ্যমে বাইক ম্যানুফেকচার কম্পানির সাথে তাদের সংযোগ থাকতে পারে। কিন্তু, কম্পানির জন্য তারা সঠিক ফিট মোটরসাইকেল পার্টস প্রস্তুত করে থাকে।

আফটার মার্কেট মোটরসাইকেল পার্টস সুবিধা: তারা বিভিন্ন কম্পানির আফটার মার্কেট মোটরসাইকেল পার্টস প্রস্তুত করে থাকে। আফটার মার্কেট পার্টস এর কিছু কিছু অনেম দাম এর রয়েছে। এগুলো অনেক ভালো মানের হয়ে থাকে। আফটার মার্কেট মোটরসাইকেল পার্টস কিনার আগে অবশ্যই আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন।

কিছু ব্র্যান্ড কমদামে পার্টস বিক্রি করে থাকে। যার ফলে এরা মার্কেট এ বেশি পরিচিত। আপনি অবশ্যই পার্টস কেনার আগে আপনার ব্র্যান্ড এর সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে নিন। আফটার মার্কেট মোটরসাইকেল পার্টস অনেকাংশে ওইএম পার্টস এর মতো ভালো মানের। আফটার মার্কেট পার্টস যেকোনো রিটেইলার এবং অনলাইন এ পাওয়া যায়।

আফটার মার্কেট মোটরসাইকেল পার্টস অসুবিধা
এর প্রধান সমস্যা হচ্ছে অনেক থার্ড পার্টি কম্পানি আফটার মার্কেট পার্টস প্রস্তুত করে থাকে। এর মধ্য থেকে সঠিক ব্র্যান্ড খুঁজে বের করা কষ্টসাধ্য।

আফটার মার্কেট মোটরসাইকেল পার্টস ফেয়ারিং: আফটার মার্কেট এর কমন পার্টস মোটরসাইকেল ফেয়ারিং। মোটরসাইকেল ফেয়ারিং শেল আকারে আপনার বাইক এ সংযুক্ত ফ্রেম এর সাথে এয়ার রেসিস্ট্যান্স নির্ণয় করে। মোটরসাইকেল ফেয়ারিং সাধারণ রেস মোটরসাইকেল এর ড্রাগ রেসিস্ট্যান্স কমিয়ে বিভিন্ন পরিবর্তন করে থাকে। অনেক সময় মোটরসাইকেল এর অরিজিনাল ম্যানুফেকচার পাওয়া যায় না।

ব্যবহৃত মোটরসাইকেল পার্টস: আপনার বাইক এর জন্য ওইএম পার্টস বা আফটার মার্কেট মোটরসাইকেল পার্টস কোনোটাই না পাওয়া গেলে আপনি আরেক ধরনের পার্টস ব্যবহার করতে পারেন। ব্যবহৃত মোটরসাইকেল পার্টস হলো শেষ উপায়। এসব পার্টস এর গ্যারান্টি নেই। আপনার মোটরসাইকেল রিপেয়ার করার সবচেয়ে সহজ উপায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল পার্টস লাগানো। তবে, পার্টস ক্রয় করার সময় অবশ্যই বায়ার এর সাথে সঠিকভাবে যাচাই করে নেবেন।

ব্যবহৃত মোটরসাইকেল পার্টস এক্সেসরিজ: মোটরসাইকেল পার্টস এর মধ্যে ইঞ্জিন রিপেয়ার বা ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ব্রেক কেনা অনেকটাই রিস্কি। এ জন্য আপনার মোটরসাইকেল এক্সেসরিজ সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন। এতে আপনি নিজেই স্বল্পখরচে ইচ্ছেমতো আপনার বাইক এর পার্টস কিনতে এবং রিপেয়ার করতে পারবেন।

তথ্যসূত্র: কালের কন্ঠ ডটকম।

More News Of This Category