1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

পুরুষদের জন্য সেরা সব সুগন্ধি

আধুনিক যুগে এসে সুগন্ধির শক্তি পরিমাপ করতে যাওয়া বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। এটি এখন পুরুষদের অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে গেছে। তাছাড়া ছেলেদের শরীরে নিয়মিত পারফিউম, বডি স্প্রে বা ডিওডোর্যান্ট ব্যবহার করা জরুরি। শরীরের দুর্গন্ধ কাটিয়ে সুগন্ধ আনতে এগুলোর বিকল্প মেলা ভার। সুগন্ধির ব্যবহার আবার স্মৃতি ও আবেগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

কিছু সুগন্ধি পুরনো স্মৃতি বা আবেগকে জাগিয়ে তুলতে পারে। এসব দিক বিবেচনায় ক্ল্যাসিক সুগন্ধি বেছে নিতে সচেতন হতে হয়। এক্ষেত্রে ক্ল্যাসিক সুগন্ধিগুলো সময় ও প্রকৃতির সঙ্গে এক ধরনের যোগাযোগ গড়ে তোলে। তাই দিন বা রাতে শরৎ কিংবা বসন্তে একটি ভালো সুগন্ধি নির্বাচন আপনার ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তোলে

সুগন্ধি নির্বাচনে আপনার সহায়তার জন্য এখানে সেরা কয়েকটি ক্ল্যাসিক সুগন্ধি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আপনার জীবনের কোনো না কোনো মুহূর্তে আপনি সম্ভবত এগুলোর গন্ধ পেয়েও থাকতে পারেন।

অ্যাকুয়া ডি পারমা: বিশ্বসেরা সুগন্ধির তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে সাইট্রাস ও কাঠের সুগন্ধযুক্ত ইতালিয়ান বিলাসবহুল এই সুগন্ধি। বার্গামোট কমলা, লেবু ও রোজমেরিবেষ্টিত ইতালির দক্ষিণাঞ্চলের সিসিলির উপকূলে এটি প্রস্তুত হয়। ১৯১৬ সাল থেকে উডি ভেটিভার ও চন্দন সুগন্ধযুক্ত পুরুষদের এ সুগন্ধি ল্যান্ডভার, বুলগেরিয়ান গোলাপ ও ইলাং-ইলাং দিয়ে প্রস্তুত করা হয়।

ব্লু ডি শ্যানেল: এর পরই সেরার আলোচনায় যে নামটি আসে, সেটা হলো ব্লু ডি শ্যানেল। এটি নিঃসন্দেহে বিশ্বের অন্যতম স্বীকৃত একটি সুগন্ধি, যা রুচিশীল পুরুষদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে। ২০১০ সালে ফরাসি কাউচার হাউজ শ্যানেল এই জলজ সুগন্ধি বাজারে ছাড়ে। বর্তমানে এটি পুরুষদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে এটার ঘ্রাণ প্রশংসা পেয়ে আসছে। যেকোনো সময়, যেকোনো পরিস্থিতিতে এটি আপনার মন-মেজাজ ভালো করে দিতে পারে। আঙুরের তীব্র ঘ্রাণ থাকায় অধিকাংশ পুরুষের কাছে এটি পছন্দনীয়। এছাড়া এটার সতেজতাও সবসময় এক নয়, এটি কখনো ভেটিভার, সিডারউড আবার কখনো স্তরীভূত ধূপের মতো।

এনক্রি নোয়াহ: স্মোকি ও উডি কলোনির ঘ্রাণসমৃদ্ধ জনপ্রিয় এ সুগন্ধটি বনের মধ্যকার ক্যাম্প ফায়ারকে স্মরণ করিয়ে দেবে। এটির সবচেয়ে বিশেষ ব্যাপার হলো কেডারউড তেল, কাশ্মীরি কাঠ ও কস্তুরীসমৃদ্ধ ইনক্রি নয়ারকে ‘মাটির সুগন্ধি’ বলা হয়। ২০০৬ সালে বাজারে আসা এই সুগন্ধিকে আপনি ভালোবাসেন আর না-ই বাসেন, এটির যে শক্তিশালী এক সম্মোহনশক্তি রয়েছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই।

সভেজ: ব্লু ডি শ্যানেলের সঙ্গে কিছুটা মিল রয়েছে সভেজের। তারা উভয়ই বহুমুখী ও পরিষ্কার ঘ্রাণযুক্ত। ব্লু ডির ঘ্রাণ যেখানে অত্যধিক প্রমোদপূর্ণ, সেখানে সভেজ কিছুটা কড়া। বার্গামোট সাইট্রাস, মিষ্টি উডি, ফিউজিং অ্যাম্বার, সিডারউড ও ভ্যানিলাসমৃদ্ধ এ সুগন্ধ এখন সেরাদের কাতারে জায়গা করে নিয়েছে। ভারসাম্য ও বহুমুখিতার জন্য সুভেজ অত্যধিক জনপ্রিয়।

ইজি মিয়াকো: ১৯৯৪ সাল থেকে সুগন্ধির বাজারে আধিপত্য ধরে রেখেছে ইজি মিয়াক। শুরুর দিকে লেবু ও বার্গামোটের পাশাপাশি জাপানি সাইট্রাস ফল ইউজু দিয়ে এটির যাত্রা শুরু হয়েছিল। তবে পরবর্তী সময়ে জায়ফল, তামাক ও ভেটিভার যুক্ত করে ঘ্রাণে ভারসাম্য নিয়ে আসা হয়েছে। এটির ঘ্রাণ পরিণত পুরুষদের পরিশীলিত করে তোলে। গরম আবহাওয়ায় এটি বেশি উপযোগী।

রাল্ফ লরেন: বলা হয়ে থাকে যে ১৯৭৮ সাল থেকে সবুজ রাল্ফ লরেন পোলো ব্যবহার করেই তত্কালীন আমেরিকান তারকা অ্যাথলিটরা বড় হয়েছেন এবং আধুনিক ভদ্রলোক হয়েছিলেন। কাঠ, শ্যাওলা ও ভেটিভারের সমন্বয়ে চামড়া ও ধোঁয়ার মতো সুগন্ধি এটি। তবে এটির ঘ্রাণ প্রকট হওয়ায় হালকা ব্যবহার করা ভালো। সূত্র: ফোর্বস

More News Of This Category