1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

স্রোতের বিপরীতে এগিয়ে চলা তরুণ

মুক্তার ইবনে রফিক। স্রোতের বিপরীতে যাওয়া এক তরুণ। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির প্রতি তার ছিল ভীষণ ঝোঁক। ওই ঝোঁক থেকেই ২০১৬ সালে ভিন্ন ধরণের কনটেন্ট প্ল্যাটফর্ম ‘এগিয়ে চলো’ প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। তাকে নিয়ে লিখেছেন গোলাম মোর্শেদ সীমান্ত। মুক্তার ইবনে রফিকের স্কুল জীবনের অধিকাংশ সময় কেটেছে যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল হাই স্কুলে।

কলেজে জীবন ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজে। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে রয়েছে ভিন্ন কাহিনী। ছোট করে বলতে গেলে প্রথমে তিন বছর আইইউবিতে প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা করেন। কিন্তু তার মনে হচ্ছিল সময়টা শুধু শুধুই অপচয় হচ্ছে, প্যাশন খুঁজে পাচ্ছেন না। পরিশেষে ইউল্যাবে মিডিয়া এবং সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন তিনি।

ইউল্যাবে পড়ার সময় প্রথম আলো পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হন একজন প্রদায়ক হিসেবে। প্রথম আলোর খেলাধূলা বিভাগে নিয়মিত লিখতে থাকেন নানান বিষয়ে। শুরুটা অনলাইনে, পরবর্তীতে বেশ কয়েক মাস কাজ করেন প্রিন্ট ভার্সনেও। ২০১৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত প্রথম আলোতে প্রদায়ক হিসেবে কাজ করেন। সেই সময়ে মাথায় আসে ভিন্ন চিন্তা।

বাংলা ভাষায় তেমন কোনো ভালো কন্টেন্ট হাব নেই বললেই চলে। নিউজ পোর্টাল তো অনেক আছে, কিন্তু ফিচার অ্যান্ড অপিনিয়ন-ওরিয়েন্টেড পোর্টাল চোখে পড়ে না। সোস্যাল মিডিয়াতে প্রচুর পরিমাণ ভালো লেখা আসে। সেগুলো ধারণ করার মত কোনো পোর্টালও নাই। এইসব ভাবনা থেকেই ২০১৬ সাল শুরু করেন ‘এগিয়ে চলো’।

সেই গল্প জানতে চাইলে মুক্তার বলেন, ‘আমি যখন পত্রিকা পড়তাম তখন দেখতাম বিভিন্ন পত্রিকায় সম্পাদকীয় পাতায় অনেক পার্টিকুলার টপিকে অনেক সিনিয়ররা লিখেন। কিন্তু আমাদের মত তরুণ যারা, তারা যদি লেখা পাঠাতো সেটা চিঠিপত্র বিভাগে ছাপা হতো বা খুব ছোট করে ছাপা হতো। আমার মনে হলো, আমাদের মত যারা তরুণ তারা কোথায় লিখবে? তাদের জন্য তো কোনো প্ল্যাটফর্ম নেই।

সেরকম কোনো প্ল্যাটফর্ম তখনো ছিল না। শুরু করলাম ‘এগিয়ে চলো’। বিহাইন্ড দ্য সিন- কেউ ছিল না। একদম একা নেমেছি সাহস করে। এখন আমরা কয়েকজন একটা টিম হিসেবে কাজ করছি। এগিয়ে চলো নিয়ে গর্বের জায়গা একটিই, এটি বাংলাদেশের একমাত্র পোর্টাল যেখানে ফিচার এবং অপিনিয়ন-ওরিয়েন্টেড লেখার পাশাপাশি সিটিজেন জার্নালিজমেরও প্র্যাকটিস হয়।’

তরুণ এই উদ্যোক্তা জানান, সিনেমা, স্পোর্টস, ট্রাভেল, টেক থেকে শুরু করে মেন্টাল হেলথ এবং নারীদের পিরিয়ডের মত ট্যাবুসহ অজস্র বিষয় নিয়ে তারা কাজ করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের সমসাময়িক ইস্যু নিয়েও কন্টেন্ট তৈরি হয়। তারা সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলতেই চান। যত বাধাই থাকুক না কেন, তারা এগিয়ে চলো থেকে সেসব বিষয় নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেন।

এগিয়ে চলোর যাত্রা শুরুর আগেই লাইটার ইয়ুথ ফাউন্ডেশন নামে একটি নন-প্রফিট সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। কো-ফাউন্ডার ও ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত আছেন সেখানে, কাজ করছেন দেশের প্রান্তিক ও দরিদ্র মানুষদের সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট নিয়ে। এছাড়া সম্প্রতি ‘চলো ডিজিটাল’ নামে একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সিও প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি।

More News Of This Category