1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

২১ লাখের এক গাড়িতে পুরো পরিবার; সাথে কিস্তি সুবিধা!

সাত আসনের এ গাড়িতে সাতজন আরোহী একসঙ্গে বসলেও পা রাখতে কোনো সমস্যা হয় না। পেছনের সারিতেও মিলবে মোবাইল চার্জিং সুবিধা। এছাড়া গাড়িটির প্রতিটি সারিতে বোতল রাখার সুব্যবস্থা রয়েছে। এনএ জাকির পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। মা-বাবা, স্ত্রী ও তিন সন্তানসহ তার সাত সদস্যের পরিবার। নিজেই গাড়ি চালাতে পছন্দ করেন। পাঁচ আসনের তার একটি সেডান কার রয়েছে। অফিস ও বাসার সাধারণ কাজ করার জন্য গাড়িটি যথেষ্ট। সমস্যা হয় পারিবারিক অনুষ্ঠানে।

কখনো সব সদস্য মিলে সেই গাড়িতে যেতে পারেন না। চিন্তা করছিলেন, সাধ্যের মধ্যে কি সাত আসনের একটি ব্র্যান্ড নিউ গাড়ি মিলবে? খুঁজতে খুঁজতে পেলেন ২০১৮ মডেলের একটি গাড়ি। প্রয়োজন ও সাধ্যের সমন্বয়ে যে গাড়িটি তার আশা পূরণ করতে পারে, সেটি হলো সুজুকি আর্টিগা।

ভিভিটি ইঞ্জিনসমৃদ্ধ এ গাড়ির সর্বশেষ সারিতে যাওয়ার জন্য দ্বিতীয় সারির আসনের একটি বাটন চাপ দেয়াই যথেষ্ট। আসনটিকে সামনে এগিয়ে প্রবেশের ব্যবস্থাও রয়েছে। সাত আসনের এ গাড়িতে সাতজন আরোহী একসঙ্গে বসলেও পা রাখতে কোনো সমস্যা হয় না। পেছনের সারিতেও মিলবে মোবাইল চার্জিং সুবিধা।

এছাড়া গাড়িটির প্রতিটি সারিতে বোতল রাখার সুব্যবস্থা রয়েছে। তবে গাড়িতে যাত্রী কম থাকলে পেছনের সারিকে ফোল্ড করে স্টোরেজ বাড়ানো যায়। গাড়িটির সাধারণ বুট স্পেস ১৩৫ লিটার। পেছনের সিট ভাঁজ করে লাগেজ বহন করার এ স্থানকে ৬০০ লিটার পর্যন্ত বাড়ানো যাবে।

চার সিলিন্ডারবিশিষ্ট ১ হাজার ৩৭৩ সিসির এ গাড়ির অর্শ্বশক্তি ৬০০০ আরপিএম এ ৯৪ এইচপি। ১৬ ভাল্বের ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ টর্ক ৪০০০ আরপিএম এ ১৩০ এনএম। ১ দশমিক ৪ লিটার ইঞ্জিন হওয়ায় এ গাড়ি প্রতি লিটার জ্বালানি খরচ করে শহরের রাস্তায় ১২-১৩ কিলোমিটার এবং হাইওয়েতে ১৪-১৫ কিলোমিটার পাড়ি দিতে সক্ষম। শূন্য থেকে ১০০ কিলোমিটার গতি তুলতে গাড়িটির মাত্র ১৩ দশমিক ৫ সেকেন্ড প্রয়োজন। গাড়িটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৭০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে।

গাড়িটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে উৎপাদিত এ গাড়ি বাংলাদেশের রাস্তা অনুপাতে যেকোনো গতিরোধক বা বন্ধুর পথ নির্বিঘ্নে পাড়ি দিতে পারে। ১৮৫ মিলিমিটার গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স থাকায় গাড়িটির তলদেশ রাস্তার সঙ্গে ঘর্ষণ লাগার সুযোগ নেই। দ্বৈত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (ডুয়াল এসি) থাকার ফলে শেষের সারির যাত্রীরাও গরমে আরামদায়ক ভ্রমণের আশা করতে পারে।

সুজুকি আর্টিগা ২০১৮ গাড়িটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যথাক্রমে ৪ হাজার ২৬৫ ও ১ হাজার ৬৯৫ মিলিমিটার। গাড়িটির উচ্চতা ১ হাজার ৬৮৫ মিলিমিটার। ফলে ছয় ফুট উচ্চতার যেকোনো লোক এ হেডরুমে সহজেই ভ্রমণ করতে পারবেন। ৫ দশমিক ২ মিলিমিটার টার্নিং রেডিয়াস থাকায় আর্টিগাকে সহজেই ঘুরিয়ে ফেলা যায়। গাড়িটিতে জ্বালানি ধারণ করার জন্য ৪৫ লিটারের ফুয়েল ট্যাংক রয়েছে।

২০১৮ মডেলের এ গাড়িতে নিরাপত্তার জন্য অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেমসহ (এবিএস) ইলেকট্রনিক ব্রেকফোর্স ডিস্ট্রিবিউশন (ইবিডি) রয়েছে। ডুয়াল এয়ারব্যাগ, সিকিউরিটি অ্যালার্ম সিস্টেম, রিমোট কি-লেস এন্ট্রি (চাবি ছাড়া প্রবেশ), অডিও কন্ট্রোলসমৃদ্ধ স্টিয়ারিং হুইল, পাওয়ার উইন্ডোজ, চাবি ফেলে গেলে অ্যালার্ম ওয়ার্নিংসহ অন্যান্য সুবিধা গাড়িটিকে সাশ্রয়ী মূল্যে আকর্ষণীয় করেছে।

দেশের বাজারে ব্র্যান্ড নিউ সুজুকি গাড়ি আমদানি করে উত্তরা মোটরস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয় উপপরিচালক মো. গোলাম মোস্তাফা বলেন, ১৯৮৫ সাল থেকে উত্তরা মোটরস বাংলাদেশে সুজুকি মোটরসের একমাত্র পরিবেশক। ২০১২ সালে আমরা আর্টিগা মডেলের গাড়িটিকে প্রথম বাংলাদেশে নিয়ে আসি। গাড়িটি মাল্টিপারপাস ভেহিকল (এমপিভি) ক্যাটাগরির।

পারিবারিক ব্যবহার ছাড়াও করপোরেট অফিসে কর্মকর্তাদের আসা-যাওয়া ব্যবস্থাপনা করার জন্য এটি একটি অন্যতম গাড়ি। সাশ্রয়ী মূল্যের সুজুকি আর্টিগা দেশের বাজারে সবচেয়ে কম দামের সাত আসনের ব্র্যান্ড নিউ গাড়ি। এরই মধ্যে আমরা ৮৫টির বেশি ইউনিট গাড়ি বিক্রি করেছি। শতভাগ গ্রাহক গাড়িটি কিনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

পৃথিবীর কোনো গাড়ি স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। সুজুকি আর্টিগা গাড়িটিরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। গাড়িটির চাকায় অ্যালয় হুইল দেয়া হয়নি, নেই কোনো মাল্টিমিডিয়া ডিসপ্লে প্লেয়ার। এতে পার্কিং সেন্সর থাকলেও ব্যাক ক্যামেরা নেই; থাকছে না পুশ স্টার্টও। ২০১৮ মডেলের গাড়ি হলেও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালনা করা যায় না।

ছয়টি রঙে সুজুকি আর্টিগা দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এটির মূল্য ২১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ টাকা এককালীন পরিশোধ করে বাকি টাকা কিস্তিতে দেয়ার সুবিধা রয়েছে। গাড়িটি রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস করাতে ৫৮ হাজার টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে। চারটি বিনা মূল্যে সার্ভিসিংসহ এক বছর বা ২০ হাজার কিলোমিটার (যেটা আগে আসে) বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদান করবে উত্তরা মোটরস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির সারা দেশে ১৩টির বেশি সার্ভিসিং সেন্টার রয়েছে।

More News Of This Category