পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় আবারো ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৮শ’ কোটি টাকা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরবে-বলছে সংস্থাটি। সরাসরি ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংককে এই তহবিল থেকে ঋণ দিলে বেশি সুফল মিলবে- বলছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় ২০১২ সালে প্রণোদনা স্কিমের আওতায় ৯০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করে সরকার। এই তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী, মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারহাউজকে ঋণ দেয় ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ। যার প্রায় পুরোটাই ফেরত পেয়েছে সংস্থাটি।
আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হক বলেন, শেয়ার রি কভারির রেট কিন্তু অনেক ভালোই পাচ্ছি। বেশিরভাগ টাকাই কিন্তু রিকভারি হয়েছে।
পুঁজিবাজারের চলমান সংকট কাটানোর জন্য আবার আইসিবির মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ৮৫৬ কোটি টাকা ঋণ দেয়ার অনুমতি দিয়েছে অর্থ বিভাগ। প্রথম দফার ঋণ থেকে ফেরত পাওয়া অর্থেই গঠিত হয়েছে এই তহবিল।
আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, এ ধরণের স্কীম থাকলে মার্কেটের জন্য ভালো হবে। আশা করতে পারি এ সমস্ত বিনিয়োগকারীরা মার্কেটে আবার ফিরে আসবে। মার্কেটের প্রতি যে আস্থা হারিয়ে গিয়েছিল সেটি আবার ফিরে আসবে। এতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের তারল্য সংকট কমবে বলছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা হক বলেন, বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে যেটা হবে তা হলো তারা যে মার্জিন লোন নিয়েছিল সেই মার্জিন লোনের যে উচ্চ মূল্য তারা দিচ্ছিল সেটা থেকে বেরিয়ে আসবে। নতুন করে তারা যদি ওই টাকাটা বিনিয়োগ করতে চান তবে মার্কেটে একটা ফান্ড ফ্লো হবে।
এই ঋণ তহবিলের জন্য সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনা ও কম হতে হবে সুদ হার। তাহলেই সুফল পাবে পুঁজিবাজার। ব্রাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ এম এ রহমান বলেন, আকর্ষণীয় সুদে লোন দিতে হবে। যাতে মানুষ নিতে আগ্রহী হয়।
এই তহবিলের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২২ সাল পর্যন্ত। আর বিতরণ করা ঋণ পরিশোধ করতে হবে ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে। তথ্যসূত্র: ডিবিসি