1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

অভিযানের পর ১ টাকা গ্লাস পানি এখন ২ টাকা

হঠাৎ করেই রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকার ব্যবসায়ীরা পানির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এতোদিন যেখানে এক গ্লাস পানি ১ টাকায় বিক্রি হতো তারা এখন সেটা বিক্রি করছে ২ টাকায়। তবে এজন্য ব্যবসায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানকে দায়ী করছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, র‌্যাব ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) এর ভ্রাম্যমাণ আদালতের গত কয়েকদিনের অভিযানে অবৈধ পানির কোম্পানিগুলো সিলগালা এবং জারগুলো ভেঙে দেয়া হয়েছে। আর এ কারণেই কোম্পানিগুলো পানির দাম বাড়িয়েছে।

রাজধানীর সর্বত্র রেস্তোরাঁ, চায়ের দোকান ও অফিসে ভোক্তারা সুপেয় পানির জন্য জারের পানির ওপর নির্ভর করে। তবে জারের পানি কতটা বিশুদ্ধ ও জীবাণুমুক্ত এটি অনেকাংশেই প্রশ্নবিদ্ধ। সুপেয় পানির নামে মানুষকে খাওয়ানো হচ্ছে ময়লাযুক্ত ও দূষিত পানি।

রাজধানীর কলাবাগানের ঢালি রোডের প্রতিটি চা দোকানে এক গ্লাস পানির দাম ২ টাকা করে রাখছে দোকানিরা। যা আগে ১ টাকা করে রাখা হতো। সেখানকার প্রতিটি চায়ের দোকানদারের এক কথা। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পর প্রতিটি পানির কোম্পানি জারের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতি জার আগের থেকে ৪০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে।

কলাবাগানের ঢালি বাড়ি রোডের চায়ের দোকানদার জামাল হোসেন বলেন, আমরা পানির দাম বাড়ায়নি। পানির দাম বাড়িয়েছে কোম্পানিগুলো। এখন প্রতিটি জার ৪০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তাই পানির দাম প্রতিটি গ্লাস ১ টাকার জায়গায় এখন ২টাকা করে রাখা হচ্ছে।

পানির জারের সরবরাহকারী রুবেল হোসেন বলেন, ‘আমি কারওয়ান বাজারে বিভিন্ন হোটেল ও চায়ের দোকানে পানি সাপ্লাই দিই। মধুবাগ ডিপ পাম্প থেকে পানি কিনে নিয়ে আসি। আগে তেজগাঁও থেকে নিয়ে আসতাম।

তবে সম্প্রতি র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ওই কোম্পানির পানির মধ্যে সমস্যা পাওয়ায় ডিপ পাম্প বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। র‌্যাব ও বিএসটিআই এর অভিযানে আমাদের জারও নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু পানির দাম আমরা বাড়াইনি।’

র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার আলম বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম। আমরা নিয়মিতভাবেই অভিযান চালাই। আর সে কারণেই পানির কোম্পানিগুলোতে অভিযান চালানো হয়েছে।

পানির জারগুলোর মধ্যে যেসব জার ফুডগ্রেড না এবং জীবাণু পাওয়া গেছে, সেসব জার ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। এসব কোম্পানির লাইসেন্স নবায়ন করা হবে না এবং কোম্পানিগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’

More News Of This Category