সফলতা নিয়ে কেউ জন্মগ্রহণ করে না। সফল হতে হলে ছোট ছোট পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যেতে হয়। তাছাড়া সফল হতে হলে বিশেষ কোনো ক্ষমতাও থাকতে হয় না। সফলতা নির্ভর করে প্রতিদিনের অভ্যাসের উপর। নিচের অভ্যাসগুলো প্রতিদিন নিয়মিত মেনে চললে সফল হওয়া সম্ভব।
নিয়ম করে ঘুম থেকে ওঠা
সফলদের একটি সাধারণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট হলো তারা যথাসময়ে ঘুম থেকে উঠতে পারেন। সম্প্রতি ‘ফাস্ট কোম্পানী’ সফল মানুষদের প্রতিদিনের অভ্যাসের উপর একটি জরিপ চালান। ওই জরিপে দেখা যায় তাদের মধ্যে কেউই সকাল ৭টার পরে ঘুম থেকে ওঠেন না। তারা সবাই সকাল ৬টার পূর্বেই শয্যা ত্যাগ করে থাকেন।
সফলতাকে কল্পনা করা
সফলতাকে কল্পনা করতে হবে। নিজেকে কোথায় দেখতে চান তার ছবি কল্পনায় আঁকতে হবে। এই কল্পনা শক্তি সফল হতে উৎসাহ যোগানোর পাশাপাশি আত্নবিশ্বাসী করে তুলবে। এছাড়া আপনার করণীয় সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা দেবে। তাই সফল হওয়ার জন্য অন্তর্দৃষ্টি থাকা দরকার।
একটি মাত্র লক্ষ্য
সফল হওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করা অতি প্রয়োজন। সফলরা নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়েই বিনিয়োগ করে থাকেন। তারা জানেন যে তাদের কি করা উচিত বা কি করা উচিত নয়। কিভাবে কর্মসম্পাদন করতে হবে তাও লিপিবদ্ধ করে রাখেন তারা। তবে শুধু লক্ষ্য নির্ধারণ করলেই হবে না চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে পর্যায়ক্রমে প্রত্যেকটা ধাপের জন্য পরিকল্পনাও থাকতে হবে।
নেটওয়ার্ক তৈরি করা
বিশ্বের অধিকাংশ সফল ব্যক্তিরা অভিজ্ঞদের সাথে নেটওয়ার্কিং করে থাকেন। তাই সফল হতে হলে নেটওয়াকিংয়ের চর্চা করতে হবে। বিস্তৃত নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারলে তা দীর্ঘস্থায়ী সফলতার জন্য সহায়ক হবে। নতুন ব্যবসায়িদের জন্য নেটওয়াকিং চর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নিজের সাথে কথা বলা
নিজের সাথে প্রতিনিয়ত কথা বলা সফল মানুষদের আরেকটি অভ্যাস। তবে নিজের সাথে কথা বলার সময় নিজেকে দুর্বল ভেবে কথা বলার চেয়ে দৃড়ভাবে কথা বলা উচিত। এটা আত্মবিশ্বাস তৈরি করবে। সফল হতে হলে বারবার নিজেকে বলতে হবে ‘আমি যা করছি তাই সেরা’, ‘এমন কোনো জিনিস নেই যা আমি পারবো না’। এসব চিন্তাভাবনা আপনাকে ভালো অবস্থানে নিয়ে আসবে।
তথ্যসূত্র: বাংলা ইনসাইডার