পাইকারি ও খুচরা বাজারে এক কেজি পণ্যের দামের পার্থক্য কত হতে পারে? ২০ টাকা, ৫০ টাকা, পণ্যভেদে খুব বেশি হলে ১০০ টাকা। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, দেশের বাজারে বিক্রি হওয়া সৌদি আরবের ‘আজওয়া’ খেজুরের ক্ষেত্রে পাইকারি ও খুচরায় দামের পার্থক্য ১ হাজার ২০০ টাকা! আমদানিকারকেরা বলছেন, এই খেজুর বিক্রি করে খুচরা বাজারের ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজিতে ১ হাজার টাকার বেশি লাভ করছেন।
গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের আমদানিকারকেরা আজওয়া খেজুর পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছেন প্রতি কেজি ১ হাজার ৬০০ টাকা। এই খেজুরই প্যাকেটজাত করে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় কয়েকটি শহরের অভিজাত দোকানে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ টাকায়। দেশের নামী সুপারশপগুলোতে প্লাস্টিকের প্যাকেটে মোড়ানো ৩০০ গ্রাম আজওয়া খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৮৪০ টাকায়।
সৌদি আরব থেকে আমদানি করা দামি আরেকটি খেজুর ‘আম্বার’। ৪০০ গ্রাম প্যাকেটের এই খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকায়। কেজিতে দাম পড়ছে ২ হাজার ৭৫০ টাকা। অথচ এই খেজুর আমদানিকারকেরা বিক্রি করছেন ১ হাজার ৫০০ টাকায়। প্রতি কেজিতে দামের ব্যবধান ১ হাজার ২৫০ টাকা।
খেজুর আমদানিকারক ফারুক ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার ফারুক আহমেদ বলেন, খাতুনগঞ্জে এখন যে দামে আজওয়া বা আম্বার খেজুর বিক্রি হচ্ছে, খুচরায় তার চেয়ে প্রতি কেজি ১০০-২০০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। খেজুর হিমাগারে সংরক্ষণ, পরিবহন ও প্যাকেটজাত করার খরচ হিসাবে নিলেও খুচরা বাজারে এত বেশি দাম স্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, এবার বিশ্বের ১৭টি দেশ থেকে খেজুর আমদানি হয়েছে।
তথ্যসূত্র: প্রথমআলো ডটকম।