সৌদি আরবের দর্শনীয় স্থান কাসিমবাংলাদেশিরা এখন থেকে ওমরাহ ভিসার মাধ্যমেই সৌদি আরবের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে বেড়াতে পারবেন। যদিও আগে ওমরাহ পালনকারীদের জন্য দেশটির অন্যান্য শহরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে সেটি উঠে গেছে।
ফলে ওমরাহ পালন শেষে সৌদি আরবের দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখতে আর কোনও বাধা নেই। এ বিষয়ে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশিরা ওমরা পালনের জন্য ভিসা নিয়ে সেদেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করতে পারবেন। এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সৌদি সরকার। তবে এজন্য দেশটির ট্যুরিজম ও ন্যাশনাল হেরিটেজ অথরিটির অনুমোদিত ট্রাভেল অপারেটরের মাধ্যমে ভ্রমণ করতে হবে।
কয়েক বছর ধরে বিকল্প আয়ের উৎস খুঁজেছে তেলনির্ভর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব। তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে বিকল্প আয়ের উৎস খুঁজতে ধর্মীয় পর্যটনের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। দেশটি এই খাতে বেশকিছু সংস্কারের ঘোষণাও দিয়েছে।
জানা গেছে, ধর্মীয় পর্যটন খাতকে উদ্ধুব্ধ করতে ধর্মীয় কারণে যারা সৌদি আরবে যেতে চান, তাদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা হচ্ছে। বিশেষ করে যারা মক্কা ও মদিনায় যাবেন, তারা সেখানে থাকার মেয়াদও বাড়াতে পারবেন।
সৌদি আরবের মোট দেশজ উৎপাদনের মাত্র ২ দশমিক ৭ শতাংশ পর্যটন খাত থেকে পাওয়া যায়। এর বেশিরভাগই ধর্মীয় পর্যটন খাত থেকে আসে।
হজ ও ওমরাহ থেকে সৌদি আরবের বার্ষিক আয় হয় ১২ হাজার কোটি ডলার। সৌদি আরবের অন্য যেসব প্রাচীন স্থান রয়েছে, সেগুলোতেও যেন ভ্রমণপ্রেমীরা যেতে উৎসাহিত হন, সেই ব্যাপারে গুরুত্ব দিচ্ছে দেশটি।
যদিও আগে দেশটিতে ধর্মীয় রীতি পালন করতে আসা পর্যটকদেরও কড়াকড়ির মধ্যে পড়তে হতো। পর্যটনের বিকাশের লক্ষ্যে এসব শিথিল করা হচ্ছে।