1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

ওয়ারেন বাফেটকে টপকে বিশ্বের তৃতীয় ধনী বার্নার আরনো

ইউরোপের সবচেয়ে বড় ধনী এখন ফরাসি ব্যবসায়ী বার্নার আরনো। এ মাসের শুরুতে তিনি ওয়ারেন বাফেটকে অতিক্রম করে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ ধনী হয়েছেন। আরনোর সম্পদ বেড়ে হয়েছে ৮৪.২ বিলিয়ন ডলার। এর বিপরীতে বাফেটের সম্পদ ৮৩ বিলিয়ন ডলার।

সফল ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী ও আর্ট সংগ্রাহক বার্নার আরনো এলভিএমএইচ ময়েট হেনেসি লুই ভুইট এসইর চেয়ারম্যান ও সিইও। বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিলাস পণ্য কম্পানিটি এলভিএমএইচ নামে পরিচিত। এ কম্পানির বদৌলতেই ফ্যাশন শিল্পের সবচেয়ে বড় ধনী তিনি।

২০১৮ সালে এলভিএমএইচের রাজস্ব আসে রেকর্ড ৫৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ৭০টি কম্পানি নিয়ে এ শিল্প গ্রুপে রয়েছে ক্রিস্টিয়ান ডায়র, লুই ভুইট, ডম পেরিগনন চ্যাম্পেগন, টিএজি হিউয়ার এবং রিমওয়ার মতো নামিদামি ব্র্যান্ড।

ফোর্বস ম্যাগাজিনের ২০১৯ সালের বার্ষিক তালিকা অনুযায়ী আরনোর নেট সম্পদ ৭৬ বিলিয়ন ডলার। তাঁর পাঁচ সন্তানের চারজনই এলভিএমএইচ সাম্রাজ্যের অংশ। তাঁর মেয়ে ডেলফিন লুই ভুইটের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং এলভিএমএইচের নির্বাহী কমিটির সদস্য। তাঁকেই এলভিএমএইচ সাম্রাজ্যের পরবর্তী উত্তরসূরি মনে করা হয়।

স্নাতক সম্পন্ন করার পর বার্নার আরনো ১৯৭১ সালে বাবার নির্মাণ কম্পানিতে যোগ দেন। ১৯৭৬ সালে তিনি বাবাকে বোঝাতে সক্ষম হন নির্মাণকাজের চেয়ে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় বেশি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। ফলে তাঁরা আগের কম্পানি বিক্রি করে দিয়ে ফেরিনেল নামে নতুন কম্পানি গড়ে তোলেন। যেটি হলিডে অ্যাকোমোডেশনের কাজ করত।

১৯৭৭ সালে তিনি কম্পানিটির সিইও হন এবং বাবার মৃত্যুর পর ১৯৭৯ সালে কম্পানির প্রেসিডেন্ট হন। বিশ্ব জয়ের উচ্চকাঙ্ক্ষা থেকেই ১৯৮৭ সালে তিনি এলভিএমএইচ গড়ে বিলাস পণ্যের বাজারে প্রবেশ করেন। এ কম্পানিটিকে গড়ে তোলার পাশাপাশি তিনি আরো অনেক কম্পানিতে বিনিয়োগ করেন। এর পাশাপাশি বিরল শিল্পকর্ম সংগ্রহ করে নিজের শৈল্পিক মনেরও পরিচয় দেন। তিনি ১৯৪৯ সালের ৫ মার্চ ফ্রান্সের প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন।

তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ব্যবসার জন্য ধের্য অত্যন্ত প্রয়োজন, যা আমি কাজ করতে গিয়ে শিখেছি। কোনো কিছু পেতে হলে তোমাকে অপেক্ষা করতে হবে এবং তা পাবে যখন সঠিক সময় আসবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘একটি ভালো পণ্য সব সময় টিকে থাকে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের কম্পানিতে তাই করি, যা বিশ্বায়নের খারাপ প্রভাবের বিপরীত। আমরা উৎপাদন কারি ইতালি ও ফ্রান্সে এবং বিক্রি করি চীনে। অন্য কম্পানিগুলো সাধারণত যার বিপরীতটি করে থাকে।’ সূত্র : ফোর্বস ম্যাগাজিন, বিজনেস ইনসাইডার, উইকিপিডিয়া।

More News Of This Category