কৃষিপণ্য নিয়ে আপনাকে ব্যবসা শুরু করার আগে কৃষকদের সাথে আপনাকে মিশতে হবে। কৃষি পণ্য সম্পর্কে আপনার ভাল অভিজ্ঞতা না থাকলে আপনি এই ব্যবসায় সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। এটি যে কোন ব্যবসা হোক না কেন, প্রতিটি ব্যবসা শুরু করার আগে উক্ত ব্যবসা সম্পর্কে আপনাকে গভীর জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
মনে রাখবেন অভিজ্ঞতা আর জ্ঞানের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার জ্ঞানের প্রয়োজন হবে কিন্তু প্রাথমিকভাবে অভিজ্ঞতার কোন প্রয়োজন নেই। আপনি আপনার ব্যবসা পরিচালনা করতে করতে ধীরে ধীরে আপনি অভিজ্ঞ হবেন। অভিজ্ঞতা আপনার কাজের মাধ্যমে অর্জন হবে। কিন্তু ব্যাবসায়িক জ্ঞান আপনাকে আপনার ব্যবসাটি শুরু করার আগেই অর্জন করতে হবে।
আপনার যদি কৃষি সম্পর্কে ধারনা থাকে, তাহলে ইতিমধ্যে আপনি জানেন যে। কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ও জৈব সার ব্যবহার করে থাকে। কৃষকদের ব্যবহূত এই জৈবসার ও কেমিকাল গুলো কম টাকা বিনিয়োগ করার মাধ্যমে উৎপাদন করা যায়। এখানে অনেকগুলো স্যার আপনি আপনার আশেপাশের পরিত্যক্ত ময়লা আবর্জনা থেকেই তৈরী করতে পারবেন।
জৈব সার তৈরি করার জন্য গরুর গোবর বিশেষ করে ব্যবহার করা হয়। আপনি আপনার এলাকাতে যারা গরু পালন করেন তাদের সাথে একটা পার্টনারশিপ করতে পারেন। তাদের কাছ থেকে গরুর গোবর সংগ্রহ করে জৈব সার তৈরি করে কৃষকদের মাঝে বিক্রয় করতে পারেন। অনেকগুলো বড় বড় কৃষক থাকে। যারা পাইকারিতে এ ধরনের সার গুলো সংগ্রহ করেন।
তবে আপনি পাইকারিতে এ ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য সরাসরি বিভিন্ন দোকান ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পাইকারিতে বিক্রয় করতে পারেন। এ ব্যবসার মজার বিষয় হচ্ছে। এখানে অনেকগুলো প্রোডাক্ট আপনি কোন টাকা বিনিয়োগ না করেই উৎপাদন করতে পারবেন। আপনি যদি আমাকে প্রশ্ন করেন। টাকা বিনিয়োগ না করে কিভাবে একটি পাইকারিতে ব্যবসা শুরু করা যায়? তাহলে আমি আপনাকে কৃষি ব্যবসার আইডিয়াটি দেব।
এ ব্যবসার শুধুমাত্র আপনি যদি জৈবসার উৎপাদন নিয়ে কাজ করেন। তাহলে আপনি প্রতি কেজি সার বিক্রয়ের জন্য ২৫ টাকা ২৬ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আপনি যদি পাইকারিতে এসকল সার সরবরাহ করতে চান, তাহলে আপনাকে আরো কিছু টাকা কমপ্লিট করে পণ্য সরবরাহ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি খুচরা বিক্রেতাদের কে পাইকারিতে ১৮ থেকে ২০ টাকা দামে প্রতি কেজিতে বিক্রি করতে পারেন। তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।