1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

চেষ্টা আর পরিশ্রম যখন একসাথে হয় তখন ভাগ্য সাথে থাকে

নিজের চেষ্টায় কোটিপতি হওয়া এই বিস্ময়কর বাচ্চারা আপনাকে অনুপ্রাণিত করবে, যেখানে অন্যান্য বাচ্চারা ভালো চাকরি লাভের আশায় তাদের জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ সময় শিক্ষার্জনের জন্য বিদ্যালয়ে কাটিয়ে দেয়, অন্য দিকে কিছু বাচ্চা সিদ্ধান্ত গ্রহন করল যে তারা তাদের কিশোর বয়স প্রবেশের আগেই অনেক বড় অঙ্কের অর্থ বিত্তের মালিক হয়ে যাবে। আপনি কল্পনা করতে পারবেন না যে, আজকে আমরা এমন পাঁচজন শিশুর কথা বলছি যারা নিজের চেষ্টায় অনেক অর্থ-বিত্তের মালিক হয়েছে।

ফ্র্যাসার ডুহার্টি
http://thehumornation.com/…/…/06/Fraser-Doherty-Jam-Jars.png ফ্র্যাসার স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গ এর একটি তরুণ বয়সের বালক। সে সেখানে জ্যাম মাস্টার ডিজে হিসেবে পরিচিত কিন্তু সে উপলব্ধি করলো মিউজিক দিয়ে কিচ্ছু হবে না। মাত্র ১৪ বছর বয়সে ফ্র্যাসার তার দাদির পুরাতন রেসিপি গুলো দিয়ে ঘরে জ্যাম তৈরি করতে লাগলো।

সে স্থানীয় কৃষক বাজারে সেই গেম গুলো বিক্রি করতে লাগলো। পরবর্তী দেশে সম্পূর্ণ শতভাগ প্রাকৃতিক ফল দিয়ে তৈরি খাঁটি জ্যাম তৈরি করার পদ্ধতি আবিষ্কার করল। সেটা ব্র্যান্ড তৈরি করল তারে সৃষ্টিশীলতার জন্য এবং বড় বড় সরবরাহকারী খুঁজতে লাগল যাদের কাছে এসে এই পণ্য গুলো বিক্রি করবে।

সে তার তৈরি জ্যামের নাম দিল সুপার জ্যাম এবং যা ক্রেতাদের কাছে একটা বিশাল মনোযোগ আকর্ষণ করল। বস্তুত, তার তৈরি জ্যামের এত বেশি চাহিদা ছিল যে তাকে বিদ্যালয় ছেড়ে ব্যবসাতে মনোযোগী হতে হয়েছিল।

২০০৭ সালে যুক্তরাজ্যের নামিদামি সুপার মার্কেটগুলোতে সবচাইতে তরুণ ব্যবসায়ী হিসেবে জ্যাম সরবরাহ করতে লাগলো এবং যুক্তরাজ্য জুড়ে ১৮৪ টি সুপার শপে জ্যাম সরবরাহের প্রস্তাব পেল। ২০০৯ সালে ফ্র্যাসার জ্যাম বিক্রি থেকে ১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠান থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থিত নামিদামি ২০০০ এর বেশি সুপার মার্কেটে জ্যাম সরবরাহ করা হয়।

জেলেন ব্লেডসো
১২ বছর বয়সে জেলেন তার নিজস্ব তথ্যপ্রযুক্তি পরামর্শ ব্যবসা শুরু করে। তার প্রতিষ্ঠান নাম ছিল “Bledsoe t Technologies” প্রথম দিকে সে মাত্র ১০০ ডলার বিনিয়োগ করে ব্যবসা শুরু করে। কিন্তু দু’বছরের মধ্যে তার ব্যবসায়ের মূল্য বেড়ে ৩.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এ পৌছায়। তার অধীনে প্রায় ১৫০ জন কন্ট্রাক্টর কাজ করেন।

শুধুমাত্র তাই নয় তার বিভিন্ন তারকা যেমন জরডিন স্পার্কস, স্টিভ হারভে প্রায়ই তার প্রতিষ্ঠানে ভিজিট করতে যান। সাম্প্রতিক সময়ে জেলেন তার প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডনাম “Jaylen Bledsoe Global Group” হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং একটি তরুণ উদ্যোক্তার বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন। তারে বিশ্ববিদ্যালের উদ্দেশ্য হচ্ছে সংখ্যালঘু ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যোগ বিষয়ে শিক্ষাদান করা।

জেলেন বর্তমানে সারাদেশে একজন উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, মোটিভেশনাল স্পিকার এবং ব্যবসায় উন্নয়নমূলক পরামর্শক হিসেবে সুপরিচিত। তাকে ডিজনি ড্রিমার্সএকাডেমী, গুগল এবং ফেসবুক থেকে প্রধান বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

জন কুন
জন একজন চাইনিজ আমেরিকান যে মাত্র ১৬ বছর বয়সে কোটিপতি হয়েছেন। সে মূলত এটা সম্ভব করেছিল একটি কোম্পানি দিয়ে যার সাহায্যে সে এশিয়া থেকে বিভিন্ন গাড়ির যন্ত্রাংশের আমদানি করে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সরবরাহ করতো। তার কোম্পানির নাম ছিল “Extreme Performance Motorsports”। তার কোম্পানি প্রতিষ্ঠার কিছুদিনের মধ্যেই তার সাথে MTV চুক্তি সম্পন্ন করে যার মাধ্যমে সে কয়েক মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে।

পরবর্তীতে সে ফ্যাশন ব্যবসায়ী তার আগ্রহ প্রকাশ করে। পরবর্তীতে জিজির সাথে যৌথভাবে কাপড়ের কোম্পানি স্থাপন করে। অতি শীঘ্রই তার কোম্পানি অনেক ভালো সফলতা পায় এবং কুন এখান থেকেও মিলিয়ন ডলারের মত আয় করে। তখন থেকেই সে বিভিন্ন বিখ্যাত কাপড়ের ডিজাইনারদের সাথে যৌথভাবে তার কাপুরের কোম্পানি পরিচালনা করছেন এবং তার কোম্পানির বর্তমান বাজার মূল্য কয়েক মিলিয়ন ডলার।

নিক ডি’এলুইসিও
যখন তার বয়স ১৭ বছর ছিল, নিক ইন্টারনেটে একজন সেন্সেশন বনে যান যখন কিনা তার তৈরি সামলি নামক একটি অ্যাপ ইয়াহু ৩০ মিলিয়ন ডলারে কেনার ঘোষণা দেয়। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে সে এই অ্যাপটি তৈরি করে যা মূলত স্বয়ংক্রিয় সংক্ষেপণ অ্যালগোরিদম ব্যবহার করে যেকোনো বড় খবর ছোট আকারে তৈরি করে পাঠকদের সহজে পড়ার সুযোগ করে দেয়।

এটা নেকের জন্য আসলে এজন্যই সম্ভব হয়েছিল যখন সে মাত্র ১২ বছর বয়সে প্রোগ্রামিং শেখা যায়। পাশাপাশি নিক তার প্রজেক্ট এর জন্য যৌথ ভাবে অর্থায়নের ক্ষেত্রে একজন শীর্ষ ধনীর কাছ থেকে ৩,০০,০০০ মার্কিন ডলার পান।

এ্যাসলে কোয়াল
২০০৪ সালে, যদিও “Myspace” নামের ওয়েবসাইটটি তখনও জনপ্রিয় ছিল, এ্যাসলে কোয়াল নামের ১৪ বছর বয়সী বালিকা একটা ” whateverlive.com” ওয়েবসাইট শুরু করলো। সে কিছু ছবি এবং গ্রাফিক্স তৈরী করে অন্যদের দেখার জন্য সেই ওয়েবসাইটে দিতে লাগল। এবং এটা তার নিজস্ব একটা বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে ছিল যেখানে সে নিজের কাজগুলোকে বিশ্লেষণ করত এবং কোডিং দক্ষতা অর্জন করার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করত।

তাকে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট “Myspace” এর পক্ষ থেকে কিছু সৃজনশীল লে আউট এবং টিউটরিয়াল তার তৈরি ” whateverlive.com” এ দেখানোর জন্য প্রস্তাব দেয়া হলো মূলত যারা গ্রাফিক ডিজাইন এবং কোডিং শিখতে চাই তাদের যাতে “Myspace” এর পক্ষ থেকে বিষয় গুলো দেখানোর হয়।

এরপর থেকে তার নিজস্ব ওয়েবসাইটে একটা অনেক বড় সফলতা খুঁজে পায়। ২০০৫ সালে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তার নিজস্ব ওয়েবসাইট “Myspace” এ প্রচুর পরিমানের ভিজিট করতে লাগলো।

যেহেতু তার ওয়েবসাইটে অনেক বেশি পরিমাণ মানুষ প্রবেশ করছিল এজন্য গুগোল এর পক্ষ থেকে একটা এডসেন্স নামক প্রোগ্রামে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং সেখানে তাকে ব্যবহারকারীদের ক্লিক থেকে আসা আয়ের একটা অংশ প্রদান করা হয়। কিন্তু সে আসলে বুঝতেই পারেনি যে, সেই অর্থের পরিমাণ মিলিয়ন ডলার হতে পারে। হ্যাঁ, এই মুহূর্তে এ্যাসলে একজন তরুণ কোটিপতি যে প্রতিদিনই হাজার হাজার ডলার আয় হয়।

More News Of This Category