এখন থেকে কোনো ধরনের জামানত ছাড়াই দুগ্ধ খামারিরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবেন। তবে ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে অন্যান্য শর্তাবলী বজায় থাকবে। জানা গেছে, আগে দুগ্ধ খামারিদের ঋণ দেওয়ার বিপরীতে জামানত রাখার ব্যবস্থা ছিল।
এখন থেকে খামারিদের এই জামানতের ব্যবস্থা উঠে গেল। তবে তাদের আগের মতো ৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে।
এর আগের বাংলাদেশ ব্যাংকের অপর এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গাভী, বাছুর ক্রয় এবং লালন পালন, দুধ উৎপাদন, কৃত্রিম প্রজননের সঙ্গে জড়িতদের এককভাবে কিংবা যৌথভাবে এই ঋণ নেওয়া যাবে। ৫ বছর স্কিমে গ্রাহকরা ৩ বছরের মধ্যে আসল ও বছর শেষে সুদ প্রদান করবেন।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ১টি বকনা বাছুর ক্রয়ের জন্য ৪০ হাজার টাকা এবং তা লালন পালনের জন্য ১০ হাজার টাকা ঋণ নেওয়া যাবে। তবে বকনা বাছুরের জন্য সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যাবে। সবোর্চ্চ ৪টি বকনা বাছুর কেনার জন্য ২ লাখ টাকা নেওয়া যাবে।
ঋণ গ্রহীতাকে ৩৬ থেকে ৫৪ মাসের মধ্যে (গ্রেস পিরিয়ডসহ) গৃহীত ঋণ সমন্বয় করতে হবে। এই ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে নারী ও প্রান্তিক খামারিদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
দুগ্ধ খামারিদের বিনা জামানতে ঋণ দেওয়ার নির্দেশনা ইতোমধ্যে সোনালী, রূপালী, জনতা, অগ্রণী, বেসিক, ব্র্যাক, আইএফআইসি, মিডল্যান্ড, ন্যাশনাল ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, আইডিএলসি ফ্যাইন্যান্স, আনসার ভিডিপি ব্যাংক ও কর্মসংস্থান ব্যাংককে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, মৎস্য ও গবাদী পশু মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি বছরের শুরুর দিকে ২০০ কোটি টাকার একটি রিফাইন্যান্সিং স্কিম পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্প চালু করে। এর নাম ‘দুগ্ধ উৎপাদন ও কৃত্রিম প্রজননের জন্য পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্প’।
অংশগ্রহণকারী ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকল্পের সমুদয় অর্থ দুগ্ধ উৎপাদন ও গবাদি পশুর কৃত্রিম প্রজননে যুক্ত চাষিদের মধ্যে ঋণ হিসেবে বিতরণ করাই এই প্রকল্পের লক্ষ্য। এর মাধ্যমেও যেসব প্রান্তিক কৃষক দুগ্ধ উৎপাদন করেন তাদের জন্য সহজ ঋণ সুবিধার ব্যবস্থা করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অডিটরিয়ামে প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। যদিও এসংক্রান্ত ঋণ এবং ফান্ড গত বছর থেকেই দেশে চালু রয়েছে।